তরমুজ বন্ধুদের জন্য পার্টি জলাঞ্জলি দিয়ে দিয়েছে সিপিএম!!

 তরমুজ বন্ধুদের জন্য পার্টি জলাঞ্জলি দিয়ে দিয়েছে সিপিএম!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১৯ এপ্রিল পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সরব প্রচারের জন্য হাতে আছে আর প্রায় ২৭ দিন।

কিন্তু পশ্চিম আসনে বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই প্রচারে রীতিমতো ঝড় তুলেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী,সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব।বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব প্রথম দফায় যে ১৯৫ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে, তাতে পশ্চিম আসনে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে তার নাম রয়েছে।এরপর থেকে এখন পর্যন্ত শ্রীদেব ৫০ থেকে ৬০টি দলীয় সাংগঠনিক সভা করেছেন।একাধিক জনসভাও করেছেন।এরমধ্যে কয়েকটি রোড শো রয়েছে। বৃহস্পতিবারও গোমতী এবং সিপাহিজলা জেলায় চারটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।এরমধ্যে একটি করেছেন জনসভা।এদিন প্রথমে উদয়পুর রাজর্ষি
কমিউনিটি হলে সাংগঠনিক সভায় অংশ নেন।সেখানে মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, বিধায়ক অভিষেক দেবরায় সহ জেলার অন্যান্য কার্যকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সাংগঠনিক সভা শেষে বিজেপি মাতাবাড়ি মণ্ডলের উদ্যোগে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির সংলগ্ন মাঠে নির্বাচনি জনসভায় প্রধানবক্তা হিসেবে
উপস্থিত ছিলেন।সেখান থেকে কাকড়াবন হাসপাতাল চৌমুহনী এবং সন্ধ্যায় মেলাঘর কালীবাড়ি মাঠে সাংগঠনিক সভায় বক্তব্য রাখেন।


এদিন প্রতিটি সভাতেই সিপিএম এবং কংগ্রেসকে নিশানা করেন শ্রীদেব। মাতাবাড়িতে আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, যে দল এই রাজ্যে মানুষকে বিভ্রান্ত করে পঁয়ত্রিশ বছর রাজত্ব করেছে, মাত্র ছয় বছরে তাদের এমন অবস্থা হয়েছে যে আজ পশ্চিম আসনে প্রার্থীই দিতে পারেনি।তরমুজ বন্ধুদের একজনকে প্রার্থী করেছে। সিপিএম তরমুজ বন্ধুদের জন্য নিজের পার্টি জলাঞ্জলি দিয়ে দিয়েছে।ওই তরমুজ বন্ধু প্রার্থীকে মাতাবাড়ির ক’জন মানুষ চেনেন, জানেন? এরা এমন বন্ধু যে নির্বাচন এলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। নির্বাচন শেষ হলেই বন্ধুদের আর দেখা পাওয়া যায় না। আর অন্য দিকে মোদির সৈনিক বিপ্লব কুমার দেব কেমন মানুষ, তা মাতাবাড়ির মানুষ, ত্রিপুরার মানুষ ভালো করেই জানে-বুঝে।যে দুই দল একে অপরের শত্রু ছিলো, একে অপরের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে ত্রিপুরার মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে। শত শত মানুষকে খুন করেছে। হাজার হাজার বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে, ধর্ষণ করেছে।তারাই আজ একে অপরের বন্ধু।প্রচারে এলে তাদের ধরে জিজ্ঞাসা করবেন, গত পঁয়ত্রিশ বছর এবং ৮৮ থেকে ৯৩ সাল পর্যন্ত এই রাজ্যে শত শত মানুষ খুন হয়েছে, রাজনৈতিক সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে,মহিলাদের ইজ্জত লুণ্ঠিত হয়েছে।হাজার হাজার বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই সবের প্রায়শ্চিত কে করবে?
মাতাবাড়ি মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে শ্রীদেব বলেন, মাতা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির শুধু একটি মন্দির নয়, এটা ত্রিপুরার উন্নয়নের মন্দির। শত শত মানুষের রোজগারের মন্দির। দেশের অন্যান্য মন্দিরকে ঘিরে যদি রোজগারের ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে মাতা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরকে ঘিরে কেন রোজগারের ব্যবস্থা করা যাবে না।মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সরকার সেই কাজই করছে।এই কাজ আরও অনেক আগেই হতে পারতো। কিন্তু এই রাজ্যের কমিউনিস্টরা ধর্মের নামে সনতনের নামে মানুষকে বিভ্রান্ত করে গেছে। কমিউনিস্টরা চাইতো না, মানুষ আত্মনির্ভর হোক, স্বনির্ভর হোক।কেননা, স্বনির্ভর মানুষ কমিউনিস্ট দল করবে না।পরনির্ভর যারা তারাই কমিউনিস্ট দল করে।২০১৮ সালে এই রাজ্যে সিপিএম দলকে বিসর্জন দিয়ে ত্রিপুরার মানুষ ইতিহাস
রচনা করেছে।ত্রিপুরাবাসী প্রমাণ করে দিয়েছে যে তারা ইতিহাস সৃষ্টি করতে পারে। ত্রিপুরাবাসী দূরদর্শী।তিনি বলেন বিপ্লব দেবকে পরিচয় দিয়েছে ত্রিপুরার মানুষ। ত্রিপুরাবাসীই বিপ্লব দেবকে নাম দিয়েছে। এই প্রতিদান আমি কোনওদিন ভুলবো না। যতদিন বেঁচে থাকবো আমার রাজ্যের জন্য, আমার ত্রিপুরাবাসীর জন্য কাজ করে যাবো। এদিন মেলাঘর কালীবাড়ি মাঠে আয়োজিত সভায় শ্রীদেব বলেন, ত্রিপুরার মানুষ ত্রিপুরা থেকে সিপিএম ও কংগ্রেস দলকে চিরবিদায় জানিয়েছে।সিপিএমের এমন অবস্থা হয়েছে যে তাদের শরীরের হাড্ডি ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। সিটিস্ক্যান কিংবা এমআরআই করলেও কোনও কাজ হবে না। পঁয়ত্রিশ বছরের দানবের মতো শক্তিশালী সিপিএম দলের আজকের কি অবস্থা? তিনি বলেন, একই অবস্থা কংগ্রেস দলেরও। সিপিএম দানব হলে কংগ্রেস হলো রাক্ষস। তাদের এমন অবস্থা হয়েছে যে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.