রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসে করার উদ্যোগ!!
বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে মান্দাই, রাণীরবাজারে র্যালি-পদযাত্রা!!
অনলাইন প্রতিনিধি :- লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ যত এগিয়ে আসছে, ততই প্রচারে জোর দিচ্ছেন পশ্চিম আসনের বিজেপি প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব। শুক্রবারও তিনি একাধিক প্রচার কর্মসূচির সাথে সাথে সাংগঠনিক সভাতেও অংশ নিয়েছেন। এ দিন রাণীরবাজারে বাইকর্যালি এবং মান্দাই বিধানসভা কেন্দ্রে বিশাল পদযাত্রায় অংশ নেন। দুটি কর্মসূচিতেই মানুষের স্বত:স্ফূর্ততা এবং উচ্ছ্বাস দেখে শ্রীদেব দাবি করেন, সারা দেশেই সাধারণ মানুষ মোদিজির পক্ষে, বিজেপির পক্ষে। দেশের আমজনতা নিশ্চিত করে নিয়েছে, তৃতীয়বারের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদিকেই দেখতে চান। মানুষেরস্বত:স্ফূর্ততা সেটাই জানান দিচ্ছে। মানুষ শুধু সময়ের অপেক্ষায় আছে। দেশের প্রতিটি মানুষ আজ উপলব্ধি করতে পারছে।
আজ থেকে দশ বছর করার আগে দেশ কোথায় ছিল। দশ বছর পর মোদির নেতৃত্বে ভারত আজ কোথায় পৌঁছেছে। গোটা বিশ্ব আজ ভারতকে সম্মান করছে। মোদির নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতি মজবুত হয়েছে। দেশ আরও শক্তিশালী হয়েছে। মোদির নেতৃত্বে ভারত আজ আত্মনির্ভর হচ্ছে। দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে আজ উন্নয়ন চোখে ভঙে পড়ছে। তাই তৃতীয়বারের মতো নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পদে বসাতে ছে। রাজ্যের দুটি আসনে বিজেপি প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়ী করার আহ্বান তির জানান। এ দিন মান্দাইয়ে বিপ্লব দেবের সমর্থনে পদযাত্রায় জনজাতি অংশের মানুষের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। শুধু তাই নয়, রাজ্যের খাদ্য ও ছে। পরিবহণমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর নেতৃত্বে এ দিন রাণীরবাজারে বিপ্লব দেবের সমর্থনে বাইক র্যালিতে যুবকদের অংশগ্রহণ ছিলো লক্ষণীয়। সুশান্তবাবু বলেন, বে। কমিউনিস্টকে মানুষ বিসর্জন দিয়েছে। আগামী ১৫-২০ বছরে রাজ্য ও দেশে এবং ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না এই দল। পশ্চিম বাংলা ও কেরালায় একটি আসনেও করি জয়ী হতে পারবে না সিপিএম। এই দলের কোনও ভবিষ্যৎ নেই। ২০২৩ পুরা সালে রাজ্যে কংগ্রেসকে নিয়ে সরকার গড়ার ডাক দিয়েছিল। মানুষ তার যোগ্য জবাব দিয়েছে। শুক্রবার পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে স্বাগত জানানোর লক্ষ্যে যুবমোর্চা আয়োজিত বাইক র্যালিতে অংশগ্রহণ করার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে এ কথাগুলো বলেন খাদ্য পরিবহণ ও পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। কংগ্রেস সিপিএমের জোটকে তিনি রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা বলে আখ্যায়িত করেন। মন্ত্রী বলেন, কংগ্রেস-সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে বহু কংগ্রেস কর্মী সর্বশান্ত হয়েছে। সেই কংগ্রেস দল এখন সিপিএমের সঙ্গে খর গলাগলি করছে।
প্রকৃত কংগ্রেসীরা সিপিএম-কংগ্রেসকে ভোট দেবে না। তারা নর ভোট দেবে বিজেপিকে। মন্ত্রী ২০২৮ নয় ২০৩৮ সালেও রাজ্য এবং দেশ থেকে বিজেপি দলকে হটাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, শার্ট রাষ্ট্রনায়কদের মধ্যে মোদিজির বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে কর্মদক্ষতার মাধ্যমে বি- ভারতকে যে নতুন দিশায় নিয়ে গেছে মানুষ তাতে আওয়াজ তুলছে আব কি বার ৪০০ পার, ফের একবার মোদি সরকার। মন্ত্রী বলেন, সারা দেশে ও -ও রাজ্যের দুটি আসন এবং রামনগর কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপির জয় শুধু সময়ের অপেক্ষামাত্র।তিনি বলেন, ব্যবসায়ী গরিব মানুষ ৩৭০ ধারা অবলুপ্তি, তিন তালাকের মতো অভিশাপ থেকে মুসলিম মহিলাদের মুক্তি, ৩৩ শতাংশ মহিলাদের জন্য । আসন সংরক্ষণ, স্বচ্ছ নিয়োগ নীতি সহ বহু কারণে মানুষ বিজেপিকে ভোট দেবে। সারা দেশের প্রতিটি মানুষের কন্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে ফির সে একবার মোদি সরকার। ইন্ডিয়া জোট প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই জোট গঠনের আগেই ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে। জোট ছেড়ে বিভিন্ন রাজ্যের নেতারা এনডিএতে শামিল হচ্ছেন। এই জোটের কোনও ভবিষ্যৎ নেই। আমজনতা শ্রমিক কৃষক দিনমজুর যুবক – মহিলা ব্যবসায়ীরা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদিকে পেতে মন স্থির করে নিয়েছে। তিনি ৪০০-রও বেশি আসন নিয়ে দেশে তৃতীয়বারের মতো নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সরকার গঠন শুধু সময়ের অপেক্ষা বলে আশা ব্যক্ত করেন। এ দিন যুব মোর্চার উদ্যোগে আয়োজিত বাইক র্যালি করে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে স্বাগত ও সমর্থন জানিয়ে মান্দাই পর্যন্ত পৌঁছে দেন। তার আগে রাণীরবাজারে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে মন্ত্রী পশ্চিম আসনের প্রার্থী প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। ছিলেন যুব মোর্চার সভাপতি শিবায়ন দাস, রাণীরবাজার পুর পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রবীর কুমার দাস, মণ্ডল নেতা পার্থসারথি সাহা সহ অন্যরা।