পেটের ভিতর থেকে জ্যান্ত মাছ বের করলেন ডাক্তাররা!!
৩৪ বছরের ভিয়েতনামি যুবকের পেটের মধ্যে ছিল এক ফুট লম্বা একটি জ্যান্ত মাছ!পেটের যন্ত্রণায় চিল-চিৎকার শুরু করেছিলেন রোগী। চিকিৎসকেরা বেরিয়াম এক্স রে এবং আল্টা সোনোগ্রাফি করে ভিতরে যা দেখেন, তাতে তারা স্তম্ভিত হয়ে যান। দেখেন,পেটের ভিতরে প্রায় ১ ফুট লম্বা একটি ইল মাছ রীতিমতো ‘ছটফট’ করছে। কালবিলম্ব না করে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা।পেট কেটে বের করা হয় ওই মাছটিকে। আশ্চর্যের ঘটনাটি ঘটেছে ভিয়েতনামের উত্তর কুয়াংনিন প্রদেশে।রোগীর অস্ত্রোপচারটি হয়েছে হাই লা জেলা হাসপাতালে।
ওই হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, পেটের ভিতরে যে জ্যান্ত মাছ রয়েছে,এমনটা তারা কল্পনাও করতে পারেননি।কিছুটা ঝুঁকি নিয়েই অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়।পেটের পাশাপাশি মলদ্বারের উপরের কিছুটা অংশও আড়াআড়ি ভাবে কাটা হয়।অস্ত্রোপচার করতেই রোগীর পেটের ভিতর থেকে প্রায় তিরিশ সেন্টিমিটার লম্বা একটি ইল মাছ বেরিয়ে আসে। পেটের ভিতরে মাছটি কুণ্ডলি পাকিয়ে রোগীর মলদ্বার পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।শুধু তাই নয়, বের করার সময়েও সেটি জীবিত ছিল।পেটের ভিতরে এক ফুটের জ্যান্ত ইল দেখে চমকে যান চিকিৎসকেরা।
কিন্তু কী ভাবে এত বড় ইল পেটের ভিতরে গেল তা জানা যায়নি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এ রকম ঘটনা আগে কখনও দেখা যায়নি। সময়মতো যদি ওই ইল মাছটিকে অস্ত্রোপচার করে বার না করা হতো,তা হলে পেটের ভিতরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ত। এই রোগকে বলা হয় পেরিটোনাইটিস।এই রোগে পেটের উপরের আস্তরণ স্ফীত হয়ে যায়। এমন হলে রোগীর জীবন বিপন্ন হতে পারে।প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসকেরা জানতে পেরেছেন, কিছু দিন ধরে পেটের যন্ত্রণায় ভুগছিলেন ওই ব্যক্তি।ওই সময়ের মধ্যে তার পেটের ভিতরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে।কিন্তু মাছটি কী ভাবে বেঁচে থাকল,সে ব্যাপারেই হতবাক হয়ে গেছেন চিকিৎসকেরা। তবে তারা জানিয়েছেন, ইল মাছটিকে বার করা হলেও এখনও বিপদ কাটেনি রোগীর।
সংক্রমণ না কমা পর্যন্ত রোগীকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।স্থানীয় নিউজ আউটলেট সংবাদ পোর্টালে লেখা হয়েছে, ডাক্তাররা এমন সুন্দর অস্ত্রোপচার করে মাছটিতে বের করেছেন যে, রোগীর পেটের ভিতরে কোনও টিস্যুর ক্ষতি হয়নি। চিকিৎসকদের অনুমান, কোনও ভাবে মলদ্বার দিয়ে ইল মাছটি রোগীর শরীরে প্রবেশ করেছিল।