রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসে করার উদ্যোগ!!
মোদির গ্যারান্টিতেই আস্থা জনতার মুখ্যমন্ত্রী।।
অনলাইন প্রতিনিধি :- মোদির গ্যারান্টিতেই বিশ্বাস এবং ভরসা রাখছেন সকল অংশের জনগণ।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ত্রিপুরা সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন।তাই ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়ী করতে গণদেবতার কাছে আহ্বান রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা।তিনি বলেছেন, রাজ্যে উন্নয়নের ধারা ধরে রাখতে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত করতে হবে।
বৃহস্পতিবার রামনগর বিধানসভার বর্ডার গোলচক্করে আসন্ন লোকসভা
নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব ও রামনগর বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রার্থী দীপক মজুমদারের সমর্থনে আয়োজিত এক নির্বাচনি সমাবেশে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
ওই সুবিশাল সমাবেশে অন্য দল ছেড়ে আসা ৩৭০ পরিবারের ১৫০০ ভোটারকে ভারতীয় জনতা পার্টিতে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী,রাজ্য বিজেপি সভাপতি,রামনগর উপভোটের প্রার্থী মেয়র দীপক মজুমদার সহ অন্যরা।
সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যে কোনও রাজ্য বা দেশের উন্নয়ন তখনই সম্ভব যখন শান্তি বিরাজ করবে।ভারতীয় জনতা পার্টি রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।এর আগে রাজ্যবাসী দেখেছে কীভাবে একটি অংশ রাজ্যের শান্তি বিনষ্ট করার জন্য কাজ করেছে।মানুষ এটা চায় না,তারা চায় শান্তিতে বসবাস করতে। ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকার রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শ্রদ্ধেয় সুরজিৎ দত্ত যখন হঠাৎ প্রয়াত হন তখন দল ভাবছিল এই আসনে কাকে দায়িত্ব দেওয়া যায়।অনেক আলোচনার পর দল আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদারকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রয়াত জননেতা সুরজিৎ দত্তের সঙ্গে সবার সম্পর্ক অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল এবং তিনি একজন আদর্শ ব্যক্তি ছিলেন।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রামনগরের মানুষ দীপক মজুমদার ও পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবের পক্ষেই ভোট দেবেন।তিনি আরও বলেন, রামনগরের মানুষ খুবই ভাগ্যবান যে একসঙ্গে দুবার ভোট দিতে চলেছেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লক্ষ্য হচ্ছে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর মানুষের সার্বিক উন্নয়ন। প্রধানমন্ত্রী মোদি মানেই উন্নয়নের গ্যারান্টি।তিনি বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার সূচনা করেছেন, যাতে সকল অংশের মানুষ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জনমুখী প্রকল্প থেকে উপকৃত হতে পারেন।একইভাবে রাজ্য সরকারও মানুষের মৌলিক অধিকার পৌঁছে দিতে প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযান চালু করেছে।প্রধানমন্ত্রীর অ্যাক্ট ইস্ট পলিসির কারণে ত্রিপুরা সহ অন্যান্য উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি ব্যাপক উন্নয়নের সাক্ষী হয়েছে।
শান্তির কারণে ত্রিপুরায় এখন বাইরের অনেকেই রাবার, বাঁশ, চা শিল্প সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সব সময় মানুষের কথা ভাবেন। উন্নয়নের প্রবাহ বজায় রাখতে এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির হাতকে শক্তিশালী করতে অবশ্যই বিজেপি প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে।
এদিন সভায় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, রাজ্যের মানুষ খুবই সচেতন।তারা বাম-কংগ্রেসের জোটে মোটেও সায় দেবেন না। যার জন্যই প্রতিনিয়ত অন্যান্য দল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে চলে আসছেন মানুষ।
এদিনও বাম আমলের প্রাক্তন কাউন্সিলার মীরা বিশ্বাস সহ বিভিন্ন দলের বেশ কয়েকজন নেতৃত্ব পদ্ম শিবিরে চলে এসেছেন।এদিনের সমাবেশে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, এএমসির মেয়র-ইন-কাউন্সিল তুষার কান্তি ভট্টাচার্য, সদর শহর জেলার সভাপতি অসীম ভট্টাচার্য, সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি বিল্লাল মিয়া, জসিম উদ্দিন সহ দলের অন্যান্য শীর্ষনেতৃত্ব ছিলেন।