রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসে করার উদ্যোগ!!
অস্তিত্ব বাঁচাতে বাম-কংগ্রেস জোট বিলোনীয়ায় নারী সমাবেশে বিপ্লব!!
অনলাইন প্রতিনিধি :- লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে শুক্রবার বিলোনীয়া বিকেআই স্কুল ময়দানে পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবের সমর্থনে বিশাল নির্বাচনি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মূলত এই নির্বাচনি সমাবেশ ছিল মহিলাদের। বিজেপি বিলোনীয়া মণ্ডলের মহিলা মোর্চার উদ্যোগে ‘শক্তিস্বরূপা’ নামে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা, পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, বিজেপি রাজ্যসভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, বিজেপি মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী মিমি মজুমদার।
এছাড়াও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি দক্ষিণ জেলা এবং বিলোনীয়া মণ্ডলের নেতৃত্বরা। সমাবেশে মহিলাদের উপস্থিতি ছিলো লক্ষ্যণীয়। এই নারী সমাবেশ থেকেই জয়ের বার্তা দিলো বিজেপি। সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা বলেন, জনগণ এখন সব বুঝে। যে সরকার শান্তি বজায় রাখবে, সম্প্রীতি বজায় রাখবে, মহিলাদের সুরক্ষিত রাখবে, সমাজের সব অংশের জনগণের কল্যাণে কাজ করবে, তার প্রতি ভরসা করবে। সমর্থন রাখবে। ভারতীয় জনতা পার্টি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনে সক্ষম হয়েছে। সিপিএম, কংগ্রেস গণতন্ত্রের কথা বলছে। গণতন্ত্র কাকে বলে ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি সরকার দেখিয়ে দিয়েছে। শুধু রাজ্যে নয়, এত সুন্দর এবং অভূতপূর্ব নির্বাচন ভারতবর্ষের সব জায়গায় সুনামের সাথে নজির গড়ে তুলেছে। গণতন্ত্র কাকে বলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শিখিয়েছেন। গণতন্ত্রের মাধ্যমে মানুষ কাকে সমর্থন করবে, তাঁর অধিকার বজায় রাখবে, ২০২৩ এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে আমরা দেখিয়েছি।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সিপিএমের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না। ৩৫ বছরে জয় তাদের শাসনে রাজ্যে কি গণতন্ত্র ছিল আমরা দেখেছি। নারীদের সম্মানহানি এন হয়েছে। সন্ত্রাস, দাঙ্গা, দুর্নীতি কোনও কিছুই বাদ নেই।
কংগ্রেসের শাসনে দেশে ইমার্জেন্সির সময় কি অবস্থা তা আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে। সাংবাদিক থেকে শুরু করে বিরোধী রাজনীতি বিদ থেকে শুরু করে কতজন যে জেলে গেছে তা অগণিত। তারা আজ গণতন্ত্রের কথা বলছে। কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার মহিলাদের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়িত করছে। ত্রিপুরা রাজ্য এর থেকে বাদ নেই। চাকরির ক্ষেত্রে ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ, আরক্ষা বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে মহিলাদের সংরক্ষণ, মহিলাদের জন্য সুরক্ষিত শৌচাগার নির্মাণ, ভালো ফলাফল করার ক্ষেত্রে স্কুটি দেওয়ার প্রকল্প, রাজ্যের ৮ জেলায় নয়টি মহিলা থানা- মহিলাদের স্বঃশক্তিকরণের ক্ষেত্রে গুরুত্ব আরোপ, সহায়ক দলের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি সহ আরও বিভিন্ন প্রকল্প রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতবর্ষের প্রধানমমত্রী নরেন্দ্র মোদিজি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নের যথেষ্ট আন্তরিক। উনার আশীর্বাদে রাজ্যে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে। রেল যোগাযোগের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে রাজ্যে। অনেকগুলি এক্সপ্রেস রাজ্য থেকে আসা যাওয়া করছে। রেলের বৈদ্যুতিকরণের মাধ্যমে শীঘ্রই রাজ্যে প্রবেশ করবে বন্ধে ভারত রেল। বিমান – যোগযোগ, হাইওয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজ্য এগিয়ে চলেছে। পশ্চিম ত্রিপুর – লোকসভা আসনে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যসভার সম্মানিত সদস – বিপ্লব কুমার দেব প্রার্থী হয়েছেন।আপনারা বিপুল ভোটে বিপ্লব দেবকে জয়ী করুন, বললেন মুখ্যমন্ত্রী।সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এদিনও বিস্ফোরক ভূমিকায় ছিলেন পশ্চিম আসনের বিজেপি প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব। তিনি বলেন, এই রাজ্যে সিপিএম- কংগ্রেস যে পাপ করেছে তার প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে তাদের। তিনি বলেন, সারা দেশেই কংগ্রেস আজ অস্তিত্বহীন। পরিবার বাঁচাতে এখন লড়াই করছে। আর সিপিএম লড়ছে পার্টি ও ক্যাডারদের বাঁচাতে। অস্তিত্ব বাঁচাতেই এই দুই দল নীতি আদর্শ সব বিসর্জন দিয়ে একে অপরের সাথে জোট করেছে। আবার কেরালা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম। এরা মানুষের জন্য নয়, রাজনৈতিন স্বার্থেই একে অপরের হাত ধরেছে। কংগ্রেস-সিপিএম মানুষের সাথে প্রতারণ করেছে। রাজনৈতিক সন্ত্রাসে এই দক্ষিণ জেলাতে ৬৯ জন খুন হয়েছেন। তারাই এখন একে-অপরের গুণকীর্তন করছে। শ্রীদেব বলেন, ২৫ বছরে রাজ্যে আবা যোজনায় ঘর মাত্র ৪৮ হাজার, আর বিজেপির ৬ বছরে ৪ লক্ষ ১০ হাজার ম বন্টন করা হয়েছে। এটাই পার্থক্য। তিনি প্রশ্ন করেন, সিপিএম মহিলাদের জন্য কি করেছে? মহিলাদের উপর অত্যাচার। অন্যায় ছাড়া আর কিছুই করেনি কমিউনিস্ট। তিনি বলেন, মহিলা টিএসআর ব্যাটেলিয়ন গড়ে তোলা হয়েছে বিজেপি সরকার আসার পর। আরক্ষা দপ্তরে চাকরির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। স্ব- সহায়ক দল কমিউনিস্টদের সময় ছিল ৬০০০। আর রাজ্যে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর তার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০,০০০। এর মধ্যে ৫ লক্ষ মহিলা রোজগার করছে। মহিলাদের জন্য পানীয় জলের সংযোগ, গ্যাসের সংযোগ, আরও বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। যা রাজ্যের মহিলারা উপকৃত হচ্ছেন। জিতেনবাবু বলছেন, ত্রিপুরায় নীরব বিপ্লব হবে। তিনি বুঝতে পেরেছেন ত্রিপুরার জনগণ
নীরব বিপ্লবের মাধ্যম সিপিএম-কংগ্রেসকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে। জামানত বাজেয়াপ্ত করে দেবে। দক্ষিণ জেলায় সিপিএম রাজত্বে যেভাবে কংগ্রেস কর্মীরা খুন হয়েছে, নলুয়া গণহত্যার হত্যাকাণ্ড, এগুলো মানুষ ভুলবে না সিপিএম-কংগ্রেসের আগে উচিত সন্ত্রাসে যারা মারা গেছে তাদের বাড়িঘরে গিয়ে ক্ষমা চাওয়া। বিপ্লব দেব বললেন, পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনে আমি আপনাদের আশীর্বাদ চাইছি। কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি সরকারকে পুন:প্রতিষ্ঠা করার জন্য আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। এছাড়া সমাবেশে রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী মিমি মজুমদার এবং ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য সিপিএম এবং কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করে বক্তব্য রাখেন। এ দিন সভায় প্রাক্তন বিধায়ক দিলীপ চৌধুরী সহ তিনশতাধিক পরিবারের মানুষ বিজেপি দলে যোগ দিয়েছেন।