কংগ্রেসের ইস্তাহারে ন্যায় দলিল!!

 কংগ্রেসের ইস্তাহারে ন্যায় দলিল!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :- ১০০ দিনের কাজের গ্যারান্টির মতো গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পের ধাঁচে এবার শহরেও আসবে এরকমই রোজগার গ্যারান্টি প্রকল্প। কংগ্রেসের দাবি এমনই। যদি তারা ক্ষমতাসীন হয়। সংরক্ষণের আওতাকে পঞ্চাশ শতাংশের সীমারেখা থেকে বাড়ানো হবে। দশ শতাংশ নতুন সংরক্ষণ দেওয়া হবে আর্থিকভাবে যারা দুর্বল সেই শ্রেণীকেও। অর্থাৎ জাতপাত বাদ দিয়েই। পাশাপাশি পিছিয়ে থাকা অনগ্রসর অংশকে আরও বেশি দেওয়া হবে সংরক্ষণ। শুক্রবার কংগ্রেস ঘোষণা করেছে নির্বাচনি ইস্তাহার। ঠিক যে দাবিগুলি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে রাহুল গান্ধী করেছেন, সেই প্রতিটি ইস্যুকেই স্থান দেওয়া হয়েছে নির্বাচনি ইস্তাহারে। কৃষকদের দীর্ঘদিনের দাবি ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যকে রচিত করা হোক আইনের মাধ্যমে। কংগ্রেসের নির্বাচনি ইস্তাহারে ঠিক সেই প্রতিশ্রুতি স্থান পেয়েছে। এমএসপি আইন আনা হবে বলে জানিয়েছে এই ইস্তাহার। পঁচিশ বছরের মধ্য বয়সী প্রতিটি যুবককে
কাজের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আনা হবে একটি অ্যাপ্রেন্টিসশিপ আইন। যার মাধ্যমে প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবে প্রত্যেক শিক্ষিত যুবক-যুবতী। এরপর তাদের দেওয়া হবে চাকরি। নির্বাচনি ইস্তাহার প্রকাশ করে রাহুল গান্ধী বললেন, এই ২০২৪ সালের
লোকসভা ভোট দুই চিন্তাধারার মধ্যে হচ্ছে। এটা নিছক রাজনীতিক লড়াই নয়। একদিকে তারা রয়েছে, যারা সংবিধান ধ্বংস করতে চায়। গণতন্ত্রকে সমাপ্ত করতে চায়। আর অন্যদিকে রয়েছে যারা সংবিধানকে রক্ষা করতে চায়। গণতন্ত্রকে বজায় রাখার জন্য যারা শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াই করবে। রাহুল বলেন, একদিকে থাকছে ধনীতম অংশ এবং তাদের সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়া রাজনৈতিক শক্তি বিজেপি। আর অন্যদিকে থাকছে গরিব মানুষ ও মধ্যবিত্তের অধিকার পাইয়ে দেওয়ার আর একটি জোট। সুতরাং ইন্ডিয়া বনাম এনডিএ জোটের এই ভোটযুদ্ধের আসল কুশীলব হল, ধনী বনাম দরিদ্র। কর্পোরেট বনাম আমজনতা। গণতন্ত্র বনাম স্বৈরতন্ত্র। রাহুল বলেন, যারা বলছে চারশো আসন পার হবে, তারা জেনে রাখুন এবার ইন্ডিয়া শাইনিং স্লোগানের মতোই হাল হবে তাদের। অর্থাৎ রাহুলের মতে ২০০৪ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে যা হয়েছিল, সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে ফের। সেই বছর ইন্ডিয়া শাইনিং স্লোগান দেওয়া হয়েছিল। আর এবার অমৃতকাল স্লোগান দেওয়া হয়েছে। ফলাফল একই হবে। বিজেপি এতটাই মুখ থুবড়ে পড়বে যে, সেটা আজ কল্পনাই করা যাবে না। প্রসঙ্গত, রামলীলা ময়দানে রাহুল বলেছিলেন, বিজেপি ১৮০ আসন পেরোবে না। মোদির চারশো পার এবং রাহুলের ১৮০ না পেরোতে দেওয়ার দাবি, কার্যত মনস্তাত্ত্বিক লড়াইও শুরু হল যুযুধান দুই শিবিরে। তবে সব থেকে বড় আলোচনা শুরু হচ্ছে সংরক্ষণ রাজনীতি নিয়ে। আবার ১৯৯০ সালের পর সংরক্ষণ ইস্যু হিসাবে সামনে এলো। কংগ্রেসের এই সংরক্ষণের সীমা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতিকে কীভাবে নেবে ২০২৪ সালের ভারত? আপাতত সেটাই দেখার। এদিন কংগ্রেস যে নির্বাচনি ইস্তাহার প্রকাশ করেছে তাতে স্বাস্থ্যবিমা নিয়ে রাজস্থান মডেল চালুর কথা বলা হয়েছে। রাজস্থানে পঁচিশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্যাশলেস স্বাস্থ্যবিমা চালু করেছিল পূর্বতন কংগ্রেস সরকার। একই সাথে কংগ্রেসের ইস্তাহারে মণিপুরের হিংসার প্রসঙ্গও স্থান পেয়েছে। কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে মণিপুরে সরকারকে বরখাস্ত করা হবে এবং মণিপুরবাসীর সমস্যা সমাধানে একটি রিকনসিলেশন কমিশন গঠন করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।


Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.