রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসে করার উদ্যোগ!!
সিপিএম-কংগ্রেস সার্কাসকেও হার মানিয়েছে, প্রচারে বিস্ফোরক বিপ্লব!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-শুক্রবার
রাজধানীর চন্দ্রপুরে আয়োজিত একটি সভায় রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে বিজেপি দলে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন বিজেপির পশ্চিম আসনের প্রার্থী
বিপ্লব কুমার দেব।শনিবার
সূর্যমণিনগর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত আনন্দনগরে আয়োজিত নির্বাচনি জনসভায় আরও বিস্ফোরক
ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন বিজেপি প্রার্থী শ্রীদেব।এদিন সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, আমি মানিক সরকারের মুখোশ খুলে দিতে চাই।আমি দেখতে চাই তিনি আশিস কুমার সাহাকে সাথে
নিয়ে একই মঞ্চে বসে সিপিএম কর্মী সমর্থকদের কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার
কথা বলছেন কি না।তবেই উনার মুখোশটা উন্মোচিত হবে ত্রিপুরাবাসীর কাছে। তিনি তো আজীবন নীতি
আদর্শের কথা বলে এসেছেন।
জনগণকে নীতি আদর্শের জ্ঞান দিয়ে গেছেন।আমরা দেখতে চাই, ত্রিপুরাবাসী দেখতে চায় মানিকবা বুর সেই নীতি, আদর্শ অটুট থাকে কি না। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরীকেও এদিন তীব্রভাবে নিশানা করেন বিজেপি প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব।জিতেনবাবুকে উদ্দেশ্য করে বলেন, রাজনৈতিক স্বার্থে আপনারা সিপিএম দলটাকেই সার্কাস বানিয়ে নিয়েছেন।সার্কাসেও কিছু নিয়ম কানুন,নীতি আদর্শ থাকে।জনগণের স্বার্থ আপনাদের কাছে বড় নয়, বড় হচ্ছে পার্টির স্বার্থ।গত ৩৫ বছর ধরে এই রাজ্যে যে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন,তার জবাব দেবে কে?আপনারা এখানে কংগ্রেসের সাথে সই পেতেছেন,আর কেরালায় রাহুল গান্ধীকে হারানোর জন্য স্লোগান দিচ্ছেন।রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে প্রার্থী দাঁড় করিয়েছেন।এখানে বলছেন হাত চিহ্নে ভোট দিতে।আর কেরালায় বলছেন আরেক কথা।কি পেয়েছেন আপনারা?ত্রিপুরার মানুষকে বোকা পেয়েছেন?নির্লজ্জ হলে পরে এসব করা যায়। চারবারের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের কাছে জানতে চাই, আপনি সেই কংগ্রেসীদের সাথে একমঞ্চে বসতে পারবেন?যে জোট আমলের ভয়াবহ রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ক্যাসেট বাজিয়ে আপনি এবং আপনার দল একটানা ২৫ বছর ক্ষমতায় আসীন ছিলেন, সেই কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার কথা বলতে পারবেন?যদি পারেন তাহলে বলবো,এটাই আপনার আদর্শ?এটাই আপনার নীতি? তাহলে এখন কি সেই নীতি আদর্শে জং ধরেছে? উইপোকা ধরেছে?জানতে চায় ত্রিপুরাবাসী।জবাব আপনাকে এবং আপনার দলকে দিতেই হবে। শ্রীদেব বলেন, এই রাজ্যে সিপিএমকে আমাদের শেষ করতে হবে না। ২০২৪ নির্বাচনের পরই শেষ হয়ে যাবে সিপিএম-কংগ্রেস। কেন না, ত্রিপুরাবাসী এবার ৩৫ বছরের সীমাহীন সন্ত্রাস, রাজনৈতিক খুন, ধর্ষণ, লুঠ, নারী নির্যাতন, লাঞ্চনা, বঞ্চনা ও শোষণের হিসাব চাইবে। ৩৫ বছর রাজত্ব করেও মাত্র পাঁচ বছর টিকতে পারলেন না মানিকবাবু, জিতেনবাবুরা। কংগ্রেসের হাত ধরতে হয়েছে। আর কংগ্রেসের কথা বলে কোনও লাভ নেই।বর্তমান রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব এরা নিজেদের বিশাল বড় রাজনীতিবিদ বলে মনে করে। এতো বছর রাজনীতি করেও ক্ষমতায় আসতে পারলো না। সুদীপ বর্মণের নাম না করে বলেন, একবার মন্ত্রী হয়েছেন তাও বিজেপির কল্যাণে। এটাই লাস্ট।জিতেনবাবু তো ফাঁক দিয়ে বিরোধী দলনেতা হয়েছেন।নিজেদের ক্ষমতাবলে হতে পারেননি।
সভায় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত দশ বছরে মানুষকে বিনামূল্যে চাল, আবাস যোজনার ঘর, উজ্জ্বলা যোজনায় গ্যাস, কৃষক সম্মান নিধি, আয়ুষ্মান ভারত যোজনা, এয়ায়পোর্ট, জাতীয় সড়ক, একাধিক রেল, মহিলাদের ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ, তিন তালাক বাতিল, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ প্রত্যাহার, প্রতি ঘরে জল, বিদ্যুৎ, শৌচালয় সহ আরও অনেক কিছু দিয়েছে। সিপিএম-কংগ্রেস জনগণকে কি দিয়েছে। দিয়েছে সন্ত্রাস, দাঙ্গা, ইনসারজেন্সি, মাদক বাণিজ্য, নিগো বাণিজ্য, মাফিয়া সংস্কৃতি, উগ্রবাদী গোষ্ঠী, শোষণ, বঞ্চনা, গরিবি, নারী নির্যাতন, রাজনৈতিক হিংসা তালিকা অনেক দীর্ঘ। শনিবারও সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন শ্রীদেব।