বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে তৃণমূল: মানিক!!

 বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে তৃণমূল: মানিক!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দিয়ে মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি করার চেষ্টা করছে তৃণমূল, ঘাটালে দলীয় প্রার্থীর প্রচারে গিয়ে আজ এমনই মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা। কংগ্রেস বা সিপিএমও একই কৌশল নিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, এবারের লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি ও সহযোগী দলগুলি চারশোর অধিক আসন নিয়ে জয়যুক্ত হবে।
সোমবার ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী ড. হিরন্ময় চট্টোপাধ্যাপায়ের সমর্থনে আয়োজিত জনসমাবেশে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহা বলেন, ‘আমরা জানি এটা ১৮তম লোকসভা নির্বাচন।এই নির্বাচন নরেন্দ্র মোদিকে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখার জন্য নির্বাচন।আমরা দুর্বল
প্রধানমন্ত্রী চাই না।যেভাবে ইন্ডি জোট হয়েছে তর্কের খাতিরে বা স্বপ্নেও আমরা যদি ভাবি যে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে তবে ৫ বছরে ৫ জন প্রধানমন্ত্রী হবেন।কারণ কে প্রধানমন্ত্রী হবেন এখন পর্যন্ত তারা ঘোষণা করতে পারেনি। আমরা পশ্চিমবাংলায় দেখলাম এই ইন্ডি জোটের কোনও অস্তিত্ব নেই। কেরালাতেও ইন্ডি জোটের অস্তিত্ব নেই। তবে এটা কি ধরনের জোট? মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য এই ইন্ডি জোট করা হয়েছে।আমি প্রায়শই বলি শোলে সিনেমার কথা।সেখানে অমিতাভ বচ্চন ও ধর্মেন্দ্র জেলার আছরানিকে জেলে পিস্তল আসার খবর দেন।এরপর জেলার স্যান্ট্রিদের নিয়ে পিস্তল খুঁজতে গিয়ে ডানে বামে সকলকে পাঠিয়ে নিজের সঙ্গে কিছু আসতে বলেন।কিন্তু দেখা যায় তার সাথে কেউ ছিল না।ইন্ডি জোটের অবস্থাও এমন পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। অদ্ভুত এক অবস্থা চলছে।”
সংখ্যালঘুদের বার্তা দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি আসার সময় শুনলাম এখানে প্রচুর সংখ্যায় সংখ্যালঘু অংশের মানুষ বসবাস করেন।আপনাদের অবগতির জন্য জানাতে চাই, কিছুদিন আগে ত্রিপুরায় উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে সিপাহিজলা বলে একটা জেলার বক্সনগর ও ধনপুরে উপনির্বাচন হয়েছে। এই বক্সনগরে ৬৫ শতাংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন।সেখানে কি হয়েছে এই বক্সনগর সিপিএমের ঘাঁটি বলে পরিচিত ছিল।এক দুবার কংগ্রেস জিতলেও বাকি সময় সিপিএমের দখলে ছিল।এ জন্য উপনির্বাচনকে ঘিরে আমি নিজেই প্রতিদিন সেখানে গিয়েছি।ধনপুরে আমরা জিতেছিলাম মাত্র সাড়ে ৩ হাজার ভোটে। ত্রিপুরা ছোট জায়গা।এক একটা বিধানসভা এলাকায় ৩৭ থেকে ৩৮ হাজার ভোটার থাকে।সেখানে আমি মসজিদের ইমাম সহ সকল অংশের মানুষের কাছে গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। শুধু বলেছি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র প্রমাদি সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা প্রয়াস, সবকা বিশ্বাসের কথা বলেন।আর এই উপনির্বাচনে আমরা শুধু বিজয়ী হয়নি, তাদের প্রার্থীদের জামানত পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত করে দিয়েছি। মানুষ শুধু আস্থা চায়, বিশ্বাস চায়।আর এই বিশ্বাস কে দিতে পারেন?একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেটা দিতে পারেন।’
ডা. সাহা আরও বলেন, ‘বিরোধী দল বিশেষ করে তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ায়।কেন ওরা এই বিভেদ, বিভাজন করছে? আসলে তারা ঘোলা জলে মাছ ধরতে চায়।তারা মানুষকে গরিব রাখতে চায়। সেটা তৃণমূল হোক, কংগ্রেস হোক বা সিপিএম।আর প্রধানমন্ত্রী মোদি বলছেন সবার উন্নতি আমরা যাই। তিনি সকলের জন্য উন্নয়নের গ্যারান্টি দিচ্ছেন। আর সেই গ্যারান্টিরও ব্যারান্টি দিচ্ছেন।’

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.