মিনারেল ওয়াটারের নামে অস্বাস্থ্যকর জল বাজারজাত, দপ্তর নির্বিকার!!

 মিনারেল ওয়াটারের নামে অস্বাস্থ্যকর জল বাজারজাত, দপ্তর নির্বিকার!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-পানীয় জলের মিনারেল বোতল তথা পেকেজ ড্রিংকিং মিনারেল জলের বোতল অবাধে বিক্রি হলেও জলের গুনমান
সঠিক স্বাস্থ্যসম্মত কি না তা নিয়ে বিভিন্ন মহলেই গভীর সংশয় ও সন্দেহ দেখা দিয়েছে।যে বিধি ও নিয়ম
অনুযায়ী পেকেজ ও ড্রিংকি মিনারেল জলের বোতল ম্যানুফ্যাকচারিং করে বাজারজাত করার কথা সেই বিধি ও নিয়ম অনেক সংস্থা অমান্য করে বাজারজাত করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।আর সেই কারণে একাংশ ত্রুটিযুক্ত ও অবৈধ সংস্থার বাজারজাত করার মিনারেল নামক ড্রিংকিং ওয়াটার পান করে অস্বস্তি বোধ করছেন।অস্বাস্থ্যকর ও পানের অযোগ্য এই সব বোতলের জল পান করে অনেকে প্রায়ই পেটের রোগ ও নানা রোগে ভুগছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আগরতলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পেকেট মিনারেল ওয়াটার ম্যানুফ্যাকচারিং ফ্যাক্টরি খুলে সেই জল বোতলে ভরে বাজারজাত করছে।নানা নামের নানা সংস্থা নানা জায়গায় জলের ফ্যাক্টরি খুলে রমরমা ব্যবসা করে চলেছে।প্রচণ্ড গরমের এই সময়ে মিনারেল নামক এই জলের বোতল দোকান থেকে কিনে তৃষ্ণা নিবারণ করছেন। কিন্তু এইসব পানীয় জলের সংস্থা সবই কি আসলে মিনারেল ওয়াটার ম্যানুফ্যাকচারিং করে বোতল ও জার (২০লিটারের ড্রামে) বাজারজাত করছে কিনা তা নিয়েই বিভিন্ন মহলে গভীর সংশয় ও সন্দেহ দেখা দিয়েছে।জলের বোতল পেকেটজাত করার সব বিধি ও নিয়ম অনেক জলের সংস্থায় মানছে না বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠছে।কিন্তু তারপরও কীভাবে মিনারেল ওয়াটারের নামে এই সব জলের বোতল ও জার (২০লিটার ড্রাম) বাজারজাত হচ্ছে তা নিয়ে ক্রেতা সাধারণ সহ বিভিন্ন মহলে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।মূলত রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের তত্ত্বাবধানে খাদ্য সুরক্ষা বিভাগ এই সব বোতল জাত মিনারেল নামক ওয়াটারের গুণগত মান, ম্যানুফ্যাকচারিং, জলের ফ্যাক্টরির সঠিক পরিকাঠামো সহ সব নিয়ম বিধি ও গাইড লাইন মেনে বোতলজাত করছে কিনা দেখার দায়িত্ব।খাদ্য সুরক্ষা বিভাগের পাশাপাশি লিগ্যাল মেট্রোলজি দপ্তরের উপরেও দায়িত্ব রয়েছে জলের বোতল ও জারের পেকেট আইন ও নিয়ম সঠিকভাবে মেনে বাজারজাত করা হচ্ছে কিনা।কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠছে রাজ্য সরকারের খাদ্য সুরক্ষা বিভাগ, লিগ্যাল মেট্রোলজি দপ্তর এই সব বিষয়ে সঠিক নজরদারি করছে না।শুধু তাই নয়, আরও অভিযোগ, জলের কিছু সংস্থা বিধি নিষেধ, গাইডলাইন অমান্য করে মিনারেল নামক জলের বোতল ও জার বাজারজাত করলেও গোপনে সংস্থাগুলি থেকে মোটা অংকের টাকা ওনে নিয়ে সব ঠিক আছে বলে জলের বোতল বাজারজাত করার অনুমতি দিয়ে দিচ্ছে।আর সেই কারণে অবৈধ সংস্থায়গুলি অস্বাস্থ্যকর ও পানের অযোগ্য জল অবাধে বোতলজাত করে বাজারজাত করছে বলেও অভিযোগ।জলের বোতলের গায়ে বিআইএস লাইসেন্স নম্বর,এফএসএসএ আই লাইসেন্স নম্বর, ব্যাস নম্বর, ম্যানুফ্যাকচারিং তারিখ, এক্সপেয়ার তারিখ, মূল্য জলের ফ্যাক্টরির পুরো ঠিকানা ফোন ইমেল নম্বর সহ বড় বড় অক্ষরে লিখে রাখার নিয়ম থাকলেও অনেক জলের সংস্থার বোতলে তা লেখা থাকে না। তারপরও কীভাবে এই সব জলের বোতল ও জার বাজারজাত হচ্ছে তা নিয়ে ক্রেতা সাধারণের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর, খাদ্য সুরক্ষা বিভাগ, লিগ্যাল মেট্রোলজি প্রশাসনের নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় প্রশ্ন উঠেছে।গত প্রায় দুই বছর আগে এই সব মিনারেল ওয়াটারের জলের গুণমান, জলের ফ্যাক্টরির পরিকাঠামো নিয়ে ত্রিপুরায় উচ্চ আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলাও হয়। তারপর উচ্চ আদালত ১৪ টি জলের সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেয় জলের ফ্যাক্টরিগুলি বন্ধ করে দেওয়ার জন্য। সেই সব জলের ফ্যাক্টরি বন্ধ থাকলেও বাঁকা পথে আবার জল বাজারজাত করছে বলেও অভিযোগ।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.