সুশাসনে একাংশ আমলার আয়েশে উজাড় হচ্ছে কোষাগার!!

 সুশাসনে একাংশ আমলার আয়েশে উজাড় হচ্ছে কোষাগার!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-সুশাসনে রাজ্য সরকারের একাংশ আমলা জনগণের অর্থে দেদার আরাম-আয়েশ চালিয়ে যাচ্ছে।একাংশ আমলার এই ধরনের কর্মকাণ্ডে উজাড় হচ্ছে সরকারী কোষাগার।অথচ এই সব ব্যাপারে দেখার কেউ নেই।সব থেকে বিস্ময়কর ঘটনা হলো, একাংশ আমলার এই ধরনের অপকর্ম সম্পর্কে সকলেই কমবেশি ওয়াকিবহাল। তাদের আরাম আয়েশের জন্য কীভাবে জনগণের অর্থ অপচয় হচ্ছে।অথচ কারোর মুখে টুঁ শব্দটি পর্যন্ত নেই। ব্যবস্থা নেওয়াতো দূরের কথা। বিশেষ করে আমলাদের গাড়ি ব্যবহার করা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজ্য প্রশাসনে এমন অনেক আমলা আছেন যারা সরকারী গাড়ি এবং সরকারী গাড়ির চালকদের বসিয়ে রেখে ভাড়া গাড়ি ব্যবহার করেন।আর ওই সব গাড়ি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমলাদের ব্যক্তিগত এবং পরিবারের কাজে দিনরাত ব্যবহৃত হচ্ছে।রাতে জলসার পার্টি থেকে শুরু করে বাজার-হাট,স্ত্রী ওসন্তানদের যাবতীয় চাহিদা এবং প্রয়োজন মেটানো থেকে শুরু করে সব কাজেই ব্যবহৃত হচ্ছে ওইসব ভাড়া করা গাড়ি।বহু ভাড়া করা গাড়ির চালক সকাল থেকে রাত বারোটা একটা পর্যন্ত আমলাদের পরিবারের কাজে নিযুক্ত থাকতে হচ্ছে।এইসব অভিযোগের খোঁজখবর করতে গিয়ে যে সব তথ্য পাওয়া গেছে,তা রীতিমতো চোখ কপালে উঠার মতো। রাজ্য সরকারের একাংশ সচিব একাধিক দপ্তরের দায়িত্বে থাকেন।নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি দপ্তর থেকেই সচিবদের গাড়ি পাওয়ার কথা।কিন্তু একটি গাড়িতেই কাজ চালিয়ে যাওয়া যায়। এই ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।অভিযোগ, কেউ কেউ একাধিক গাড়ি নিচ্ছেন।সেই সব গাড়ি পরিবারের কাজে ব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগ।
এই ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি ভাড়া করা গাড়ির লক বুকের পাতা যাচাই করে দেখা গেছে, ওই সব গাড়ি যতটা না সরকারী কাজে ব্যবহার হচ্ছে, তার চাইতে তিনগুণ বেশি ব্যবহার হচ্ছে আমলাদের ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক কাজে।এখানেই শেষ নয় কোনও ছুটি নেই।মাসের ত্রিশদিনই ওইসব গাড়ি ব্যবহার হচ্ছে।এই ক্ষেত্রে একটি উদাহরণ তুলে ধরলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে। যেমন আরডি দপ্তরের সচিব। তিনি একটি স্করপিও গাড়ি ব্যবহার করতেন। সেই গাড়ির গত দুই-তিন মাসের যে তথ্য আমাদের হাতে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে মাসের ত্রিশ দিনই গাড়ি ব্যবহার হয়েছে।কোনও ছুটি নেই।তার মধ্যে প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন বাজার সহ অন্যান্য ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার হয়েছে গাড়ি।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে তিনি একই সাথে দুইটি গাড়ি ব্যবহার করছেন।একটি প্রাইভেট নম্বরের গাড়ি।এবং অপরটি ইনোভা।প্রাইভেট নম্বরের গাড়িটির অর্থ দিচ্ছে টিআরএলএম দপ্তর।কেননা, তিনি টিআর এল এমের দায়িত্বে রয়েছেন।ইনোভা গাড়ির অর্থ দিচ্ছে আর ডি দপ্তর।এর আগে তিনি স্বাস্থ্য দপ্তর থেকেও গাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন।স্বাস্থ্য দপ্তরে তিনি তিন মাস দায়িত্বে ছিলেন।তিন মাস ওই গাড়ি ভাড়া খেটেছে।এখন অবশ্য সেই গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।যতটুকু জানা গেছে, আরডি দপ্তরের সচিবের জন্য একটি সরকারী গাড়ি বরাদ্দ করা আছে।আছেন সরকারী চালকও।অথচ সেই গাড়ি এবং চালককে মাসের পর মাস বসিয়ে রাখা হয়েছে। সরকারী গাড়ির চালক বসে বসেই প্রতিমাসে বেতন দিয়ে যাচ্ছেন।প্রশ্ন হচ্ছে, রাজ্য সরকারের একজন সচিবের জন্য কয়টি গাড়ি লাগে? এইভাবে জনগণের অর্থের অপচয়ের কোনও যুক্তি আছে কি? এই নিয়ে বিভিন্ন মহলেই প্রশ্ন উঠেছে। শুধু তাই নয়, এ ব্যাপারে তদন্তেরও দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.