বহি:রাজ্য থেকে আমদানি বন্ধ হতেই কুমারঘাটে অগ্নিমূল্যে বিক্রি হচ্ছে মাছ!”

 বহি:রাজ্য থেকে আমদানি বন্ধ হতেই কুমারঘাটে অগ্নিমূল্যে বিক্রি হচ্ছে মাছ!”
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-কুমারঘাট মহকুমাজুড়ে মাছ,মাংসের আকাল দেখা দিয়েছে। বহি:রাজ্য থেকে মাছ না আসার কারণে কুমারঘাট মহকুমা এলাকার বাজারগুলিতে মাছের দাম আকাশছোঁয়া।মাছের মতোই মাংসের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।মাছ এবং মাংসের বাজারগুলির উপর সরকারী কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই।মহকুমা প্রশাসন থেকে মাঝেমধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের উপর নজরদারি চালালেও নজরদারি নেই মাছ, মাংসের বাজারের উপর। ফলে মাছ এবং মাংসের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
বর্ষার মরশুমে যাতে রাজ্যের বিভিন্ন বাজারগুলিতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের কালোবাজারি না হয় এবং মূল্যবৃদ্ধি না করা হয় এর জন্য রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন। রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী মূল্যবৃদ্ধি না করার জন্য রাজ্যের ব্যবসায়ীদের সতর্ক করলেও কুমারঘাট মহকুমার বিভিন্ন বাজারগুলিতে মাছ, মাংসের সংকটের নামে মাছ, মাংসের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।মাছ,মাংসের দাম সাধারণ জনগণের হাতের নাগালের বাইরে চলে গেছে। সম্প্রতি ভারী বর্ষণের কারণে আসামে জাতীয় সড়ক এবং রেলপথে ধস পড়ে।রেলপথ এবং সড়কপথে ধস পড়ার কারণে ইতিমধ্যে যানবাহন এবং রেল চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।মাল পরিবহণকারী যানবাহন এবং রেল চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ার ফলে রাজ্যে দেখা দিয়েছে মাছ এবং মাংসের সংকট।রাজ্যে সরকার যতই প্রচার করুক না কেন যে রাজ্যে মাছ, মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।বাস্তবে এখনও বহিঃরাজ্য থেকে মাছ এবং মাংসের জন্য পল্ট্রি মোরগের বাচ্চা না এলে রাজ্যে সংকট শুরু হয়ে যায়।সম্প্রতি বর্ষণের কারণে আসাম রাজ্যে ধসের কারণে যানবাহন চলাচল এবং রেল চলাচল বন্ধ হতেই মাছ, মাংসের সংকট দেখা দেয়।মাছ, মাংসের সংকটের সুযোগে কুমারঘাট মহকুমা এলাকার
বিভিন্ন বাজারগুলিতে মাছ এবং মাংসের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।মহকুমা প্রশাসন থেকে কুমারঘাট মহকুমার বিভিন্ন বাজারগুলিতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অভিযান চালায়।কিন্তু মাছ এবং মাংসের বাজারের উপর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই প্রশাসনের।মাছ,মাংসের বাজারের উপর প্রশাসনের কোনও নিয়ন্ত্রণ না থাকার কারণে এবং বর্তমানে বহি:রাজ্য থেকে মাছের আমদানি না হবার সুযোগে এক শ্রেণীর মাছ ব্যবসায়ী সুযোগ বুঝে ক্রেতাদের পকেট কাটতে শুরু করেছে। বর্তমানে যা-ও কিছু বহি:রাজ্যের মাছ বাজারে উঠছে সেই মাছের দাম চারশো থেকে পাঁচশো টাকা দরে বিক্রি করছে। বাজারে বহি:রাজ্যের মাছের জোগান কম থাকায় লোকাল মাছের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে অস্বাভাবিকভাবে। বর্তমানে কুমারঘাট শহর সহ আশপাশের বাজারগুলিতে লোকাল রুই মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে চারশো টাকা দরে। এক কেজির উপরে রুই, কাতলা, মৃগেল, কারফু মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে পাঁচশো থেকে সাড়ে পাঁচশো টাকা দরে। এছাড়াও ছোট মাছ মকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে পাঁচশো থেকে ছয়শো টাকা দরে। চিংড়ি মাছ প্রতি কেজি আটশো থেকে এক হাজার টাকা দরে। নদীর ছোট মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকা দরে। মাছের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি মাংসের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে অস্বাভাবিকভাবে। মাসখানেক আগে কুমারঘাট শহরে পল্ট্রির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে দুশো টাকা দরে। আর বর্তমানে সেই মাংস বিক্রি হচ্ছে তিনশো পঞ্চাশ টাকা থেকে তিনশো পঁচাত্তর টাকা দরে। মাছ, মাংসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে মাছ এবং মাংসের ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, বহি:রাজ্য থেকে মাছ আসছে না।পল্ট্রি মোরগের বাচ্চা না আসায় ও তীব্র গরমে মোরগের বাচ্চা মরে যাবার – কারণে মাংসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।কুমারঘাট মহকুমা – এলাকার ক্রেতাদের বক্তব্য হলো, প্রশাসনের মাছ এবং মাংসের বাজারের উপর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই।ফলে ব্যবসায়ীরা সুযোগ বুঝে নিজের ইচ্ছামতো দাম বৃদ্ধি করছে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.