অবৈধ মিনারেল ওয়াটার তৈরির ফ্যাক্টরি অবাধে চলছে, ক্ষোভ

 অবৈধ মিনারেল ওয়াটার তৈরির ফ্যাক্টরি অবাধে চলছে, ক্ষোভ
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি: বাজারে মিনারেল ওয়াটারের নামে ভেজাল যুক্ত অস্বাস্থ্যকর পানীয় জলের বোতল, জার অবাধে বিক্রি হচ্ছে। সেই সঙ্গে খাবারের দোকানগুলিতেও ভেজালযুক্ত অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন ও বিক্রি অবাধেই চলছে। এই সব অস্বাস্থ্যকর ও পানের অযোগ্য জলপান করে ও খাবারের দোকানের ভেজালযুক্ত অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে মানুষ অসুস্থবোধ করছেন। পেটের রোগ সহ বিভিন্ন জটিল রোগেও আক্রান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পানীয় জলের বোতল, জাড়ও কন্টেনার জলের ম্যানুফ্যাকচারিংগুলিতে অভিযান করার জোরদার দাবি উঠেছে। মিনারেল ওয়াটারের নামে বাজারে সিল করাজলের বোতল, কুড়ি লিটারের জাড় (ড্রাম), কন্টেনার অবাধে বিক্রি হলেও সেই জলগুলি সবই কি স্বাস্থ্যসম্মত – মিনারেল ওয়াটার কিনা তা নিয়ে ক্রেতা সাধারণ ও বিভিন্ন মহলে গভীর সন্দেহ ও সংশয় দেখা দিয়েছে। নানা নামের সংস্থা মিনারেল ওয়াটারের নামে জলের বোতল, জাড়, কন্টেনারে মুখ সিল করে বাজারে বিক্রির জন্য ছাড়ছে। বিভিন্ন মহল থেকে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠছে মিনারেল ওয়াটারের নামে (আগরতলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জলের ম্যানুফ্যাকচারিং ফ্যাক্টরি খুলে ভেজাল, অস্বাস্থ্যকর, পানের অযোগ্য বাজারজাত করছে। বিশুদ্ধ মিনারেল ওয়াটার ম্যানুফ্যাকচারিং করার জন্য যে ধরনের মেশিনপত্র পরিকাঠামো থাকা দরকার সেই সব ব্যবস্থা একাংশ জল সংস্থাই নেই। প্রয়োজনীয় লাইসেন্সও নেই।বোতল, জাড়ে, কন্টেনারের গায়ে যে ধরনের ডিক্লেরাশন উল্লেখ থাকার কথা সেই বিষয়গুলিও থাকছে না। কোনও কোনও সংস্থায় বোতলের গায়ে অনিয়ম ঢাকতে নিয়ম রক্ষার্থে খুব ছোট ছোট অক্ষরে উল্লেখ থাকলেও চোখে পাওয়ার চশমা পড়েও পড়া যাচ্ছে না। দিনের পর দিন মিনারেল ওয়াটারে নামে একাংশ সংস্থা নিয়মকাননকে বৃদ্ধাঙুষ্ঠ দেখিয়ে মিনারেল ওয়াটারের নামে জালিয়াতি করে চললেও, রাজ্য সরকার ও প্রশাসন নির্বিকার বলেই অভিযোগ। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরকে এই বিষয়টি দেখার দায়িত্ব থাকলেও সরকারের এই দপ্তর ও নির্লিপ্ত। রাজ্য সরকারের খাদ্য সুরক্ষা বিভাগ ও রহস্যজনকভাবে নীরবতা পালন করছে বলেও অভিযোগ। গত ২৪ মে লিগ্যাল মেট্রোলজি দপ্তর দশমীঘাটস্থিত মহাবীর ক্লাব সংলগ্ন প্রণব দেবনাথ নামের এক জল ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে। অভিযানে গিয়ে লিগ্যাল মেট্রোলজির অফিসারের দল মিনারেল ওয়াটার ম্যানুফ্যাকচারিং করার নামে অবৈধ ভেজাল জলের ফ্যাক্টরির সন্ধ্যান পান। তারপরই এই জলের ফ্যাক্টরি সিল করে দেওয়া হয়। পেকেট লাইসেন্স সহ মিনারেল ওয়াটার তৈরি করার কোনও পরিকাঠামো নেই। জলের ব্যবসায়ী প্রণব দেবনাথকে ৭,৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা মিটিয়ে দিলেও ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত এক দেড় বছর আগে ত্রিপুরা হাইকোর্টে রাজ্যে মিনারেল ওয়াটারের নামে অবাধে ও অবৈধ উপায়ে অস্বাস্থ্যকর পানের অযোগ্য জল বিক্রি করার বিষয়ে জন স্বার্থে জনৈক নাগরিক মামলা করেছিলেন। হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি এই ধরনের জলের ফ্যাক্টরির ১৪ টির নামের তালিকা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে পাঠান। তারপরও নানা দাম দিয়ে জলের ফ্যাক্টরি অবৈধ ও বাঁকা পথে চালু রাখার অভিযোগ উঠেছে। দাবি উঠেছে প্রশাসন, স্বাস্থ্য দপ্তর লিগ্যাল মেট্রোলজি খাদ্য সুরক্ষা বিভাগ, খাদ্য দপ্তর, এনফোর্সমেন্ট টিম শীঘ্রই যাতে উপযুক্ত ও কঠোর ব্যবস্থা নিতে সক্রিয় হয়ে উঠে। এদিকে কেক অ্যান্ড বাস নামক শহরের একটি কেক প্রস্তুতকারক দোকানকে লিগ্যাল মেট্রোলজি দপ্তর অবৈধ উপায়ে ও মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্য সামগ্রী দিয়ে কেক ম্যানুফ্যাকচারিং করার জন্য কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা করেছে। জরিমানার টাকা শুক্রবার দোকান মালিক মিটিয়ে দিয়েছে। সিদ্ধি আশ্রমে এক দোকান থেকে এই ধরনের কেক উদ্ধার করা হয়। কেক অ্যান্ড বান্স মালিকের বোধজংনগরে কেক তৈরির ফ্যাক্টরি রয়েছে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.