মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, বন্ধ ইন্টারনেট,, কার্ফু জারি!!
জাল নথিতে টেন্ডার জমা, আইটি দপ্তরের ভূমিকা রহস্যজনক!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-সুশাসনে আইটিতে বড় ঘোটালা,তিনবার টেন্ডার বাতিল কার স্বার্থে’ শীর্ষক তথ্যনিষ্ঠ সংবাদ বৃহস্পতিবার পত্রিকায় প্রকাশিত হতেই দপ্তরে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে বলে খবর।অভিযোগ, দুর্নীতি আড়াল করতে নানা ফন্দি খোঁজা হচ্ছে।সব থেকে বড় কথা হচ্ছে, টেন্ডারে দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসার পরও দপ্তর রাজ্যের (ট্রিনিটি ফিল্মস) সংস্থাটির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।এর পিছনে কী রহস্য রয়েছে তা রাজ্যবাসী জানতে চায়। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল যে,সংশ্লিষ্ট কাজের জন্য তিনবার টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে।প্রথম দুইবার টেন্ডার বাতিল করা হয়েছে। তৃতীয়বার যখন টেন্ডারে আহ্বান করা হয়, তখন টেন্ডারে গুরুত্বপূর্ণ শর্ত শিথিল করে দেওয়া হয়, যাতে রাজ্যের (ট্রিনিটি ফিল্মস) সংস্থাটি টেন্ডারে অংশ নিতে পারে এবং বাঁকা পথে তারাই কাজটি হাসিল করে নিতে পারে।শর্তটি হলো বাইরের কোনও যোগ্যতাসম্পন্ন কোম্পানি বা এজেন্সির সাথে চুক্তি করে এই কাজ করা যাবে এবং টেন্ডারে অংশ নেওয়া যাবে।সেই মোতাবেক রাজ্যের (ট্রিনিটি ফিল্মস) সংস্থাটি ‘Dygicom Visual Technology Pvt. Ltd.’ নামে ভুবনেশ্বরের একটি সংস্থার সাথে গত ৪ অক্টোবর ২০২৩ (Consor-tium Agreement) চুক্তি করে। এই চুক্তিতে ট্রিনিটি ফিল্মস-এর পক্ষে – স্বাক্ষর করে জনৈক পিনাকী দাস এবং Dygicom Visual Technology Pvt. Ltd.-এর পক্ষে স্বাক্ষর করে জনৈক দেবাশিষ ঘোষাল।এই Dygi- com Visual Technology সংস্থাটি আবার বিজু পট্টনায়েক ফিল্মস অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ওড়িশা (কটক) এর একটি ওয়ার্ক অর্ডারের কাগজও জমা দেয়।এই ওয়ার্ক অর্ডার জমা দেওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে, ট্রিনিটি ফিল্মস যে সংস্থার সাথে চুক্তি করেছে (Dygicom) সেটি এই কাজের জন্য যোগ্য এবং তাদের এই ধরনের কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে সেটা দপ্তরকে বোঝানোর জন্য। এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, Dygicom এবং বিজু পট্টনায়েক ফিল্মস অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট- এই দুই সংস্থার পক্ষেই স্বাক্ষর করেছেন একই ব্যক্তি।তিনি দেবাশিস ঘোষাল।প্রশ্ন হচ্ছে, কে এই দেবাশিস ঘোষাল? এই সমস্ত নথিপত্র দিয়েই রাজ্যের সংস্থা ট্রিনিটি ফিল্মস টেন্ডার জমা দিয়েছে।আদতে এই সবই ভুয়ো এবং জাল নথি। বাঁকাপথে কোটি টাকার কাজ হাতিয়ে নিতেই এই সব ভুয়ো নথিপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। এই দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসে যখন Dygicom Visual Technology Pvt. Ltd. এর পক্ষ থেকে সংস্থার এরিয়া ম্যানেজার গত ৪ নভেম্বর ২০২৩ রাজ্য সরকারের আইটি দপ্তরের সিনিয়র ইনফরমেটিক্স অফিসারকে চিঠি দিয়ে জানায়।কোনও একটি মহল থেকে অভিযোগ পেয়ে Dygicom সংস্থার পক্ষে জানানো হয় যে, তাদের সংস্থার নামে কে বা কারা ভুয়ো কাগজপত্র বানিয়ে, তাদের নামে টেন্ডার জমা দিয়েছে।অথচ এই ব্যাপারে তাদের কাছে কোনও তথ্য নেই।সংস্থা এমন কোনও টেন্ডার জমা দেয়নি।সংস্থাটি আরও বলেছে, সংস্থার অনুমোদন না নিয়ে এবং সংস্থার নজরে না নিয়ে এই ধরনের কাজ সম্পূর্ণ বেআইনি।শুধু তাই নয়,এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। Dygicom কর্তৃপক্ষ রাজ্য সরকারের আইটি দপ্তরকে অনুরোধ করেছে, এই বিষয়ে যাবতীয় তথ্য ও নথি তাদেরকে দেওয়ার জন্য।
সংস্থা ওই জালি এজেন্সির বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এই চিঠি পাওয়ার পরই দপ্তর নড়েচড়ে বসে এবং তদন্ত করে দুর্নীতির সত্যতা •পাওয়ার পর ‘ট্রিনিটি ফিল্মস’ এর টেন্ডার বাতিল করে দেয়।পরবর্তীকালে দপ্তর বহি:রাজ্যের যে দুটি সংস্থা টেন্ডার জমা দিয়েছে, তাদের মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতাকে যোগ্য ঘোষণা করে এবং ই-টেন্ডার পোর্টালে আপলোড করে দেয়।
কিন্তু ঘটনা এখানেই শেষ নয়। ট্রিনিটি ফিল্মস এর টেন্ডার বাতিল হওয়ার পর ফের সক্রিয় হয়ে উঠে চক্রটি। কোনও অবস্থাতেই যাতে বহি:রাজ্যের সংস্থা এই কাজ করতে না পারে, তার জন্য নানা খেলা শুরু হয়।তাতে তারা সফলও হয়।চলতি মাসের গত ৭ জুন ২০২৪, আইটি দপ্তরের অধিকর্তা এক মেমোরেন্ডাম ইস্যু করে তৃতীয় টেন্ডার প্রক্রিয়াও বাতিল বলে ঘোষণা করেছেন।প্রশ্ন হচ্ছে, কার স্বার্থে এই সব হচ্ছে? কারা এর পিছনে জড়িত? দুর্নীতি প্রমাণ হওয়া সত্ত্বেও দপ্তর রাজ্যের সংস্থাটির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কেন?রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় আইটি দপ্তরেরও মন্ত্রী।তিনি কি এই সব দুর্নীতির খবর জানেন না?এর পিছনে কোন রাঘববোয়াল জড়িত?