মানুষের ছদ্মবেশে এলিয়েনরা পৃথিবীতে বাস করছে, দাবি হার্ভার্ডের!!

 মানুষের ছদ্মবেশে এলিয়েনরা পৃথিবীতে বাস করছে, দাবি হার্ভার্ডের!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-ভিনগ্রহের প্রাণী বা ‘এলিয়েন’-এর অস্তিত্ব আছে কিনা তা নিয়ে মানুষের অদম্য কৌতূহলের শেষ নেই।মানুষ ছাড়া মহাবিশ্বে অন্য কোনো প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা, এই প্রশ্নের নির্দিষ্ট উত্তর এখনও মানুষের কাছে নেই। কিন্তু সম্প্রতি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণার দাবি করা হয়েছে, এলিয়েনরা পৃথিবীতে গোপনে মানুষের ছদ্মবেশ নিয়ে আমাদের মাঝে বসবাস করতে পারে।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান ফ্লোরিশিং প্রোগ্রামের গবেষকদের একটি নতুন গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে,পৃথিবীতে এলিয়েনের অস্তিত্ব থাকতে পারে এবং তারা ভূগর্ভে, চাঁদে বা মানুষের আশেপাশেই থাকতে পারে। এই গবেষণাতে বলা হয়েছে, ইউএফও কিংবা আনআইডেন্টিফাইড এরিয়াল ফেনোমেনা (ইউএপি) পৃথিবীর এলিয়েন সঙ্গীদের কাছে ঘুরতে আসা অন্য গ্রহের এলিয়েনদের স্পেসশিপ হতে পারে। গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, তাদের হাতে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ এবং তথ্য রয়েছে যা এলিয়েন থাকার সম্ভাবনার কথা বলে। মুখ্য গবেষক গোটা বিষয়টিকে ‘ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়াল হাইপোথিসিস’ (সিটিএইচ) নামে অভিহিত করেছেন। গবেষণাটি তথাকথিত ‘ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস’-এর ধারণা নিয়ে আরও তদন্ত করেছে।ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস বলতে এমন প্রাণীদের কথা বলা হয়েছে যারা হয়তো মানুষের ছদ্মবেশে আমাদের মধ্যে বসবাস করছে, ভবিষ্যৎ পৃথিবী থেকে এসেছে অথবা বুদ্ধিমান ডাইনোসর থেকে এসেছে।
গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, চার রকমের ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালের উপস্থিতি থাকতে পারে।এক) হিউম্যান ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস। গবেষকদের বক্তব্য, এটি প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত প্রাচীন মানব সভ্যতা যা অনেক আগেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এ সভ্যতার কিছু অবশিষ্ট এখনও বিদ্যমান। দুই) হোমিনিড বা থেরোপড ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস। প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত অ-মানব সভ্যতা যা কিছু স্থলজ প্রাণীর সমন্বয়ে গঠিত এবং গোপনে বসবাস করার জন্য বিবর্তিত হয়েছিল।
এরা বানরের মতো হোমিনিড বংশধর বা ‘অজানা ও বুদ্ধিমান ডাইনোসরদের’
বংশধর হতে পারে।তিন) প্রাক্তন এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল বা এক্সট্রাটেস্পেস্ট্রিয়াল ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস। এই প্রাণীগুলি মহাজগতের অন্য কোথাও থেকে বা মানব ভবিষ্যৎ থেকে পৃথিবীতে এসেছে বলে ধারণা করা হয়। এরা চাঁদেও লুকিয়ে থাকতে পারে। চার) ম্যাজিকাল ক্রিপ্টোটেরেস্ট্রিয়ালস।এটি এমন সত্তা যা অন্য এলিয়েনদের মতো না হলেও, পরী বা প্রেতের মতো। এই এলিয়েনের ধারণা মানবজাতির পরী বা প্রেত নিয়ে যে ধারণা তার সাথে মিলে যায়।
গবেষকরা স্বীকার করেছেন যে, তাদের এই গবেষণা ‘অধিকাংশ বিজ্ঞানীদের কাছে সন্দেহজনক হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।’ কিন্তু বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের দাবিকে ‘জ্ঞানগত শ্রদ্ধা এবং খোলামেলা মনোভাব সহকারে’ বিবেচনা করার আহ্বান জানান তারা। গবেষণাপত্রটি এখনও পিয়ার-রিভিউ করা হয়নি। উল্লেখ্য, এর আগে একজন সাবেক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা দাবি করেছিলেন, মার্কিন সরকার ‘ফুটবল মাঠের আকৃতির’ একটি অজানা উড়ন্ত বস্তু ইউএফও) লুকিয়ে রেখেছে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.