পাওয়ার কাট রুখতে কড়া অবস্থান নিচ্ছে বিদ্যুৎ দপ্তর!!

 পাওয়ার কাট রুখতে কড়া অবস্থান নিচ্ছে বিদ্যুৎ দপ্তর!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইনপ্রতিনিধি:- ঘন ঘন পাওয়ার কাট রুখতে এবার কড়া অবস্থান নিচ্ছে রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম। রাজধানী শহরে বৈধ গ্রাহক যারা দপ্তরকে না জানিয়ে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন, তারা যেন আগামী দশ দিনের মধ্যে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য দপ্তর থেকে অনুমোদন নিয়ে নেন। নতুবা দশ দিন পর থেকে নিগমের ভিজিলেন্স টিম বাড়ি বাড়ি পর্যবেক্ষণে যাবে। দপ্তরকে না জানিয়ে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারের বিষয় সামনে এলে তাদের বিরুদ্ধে ইন্ডিয়ান ইলেকট্রিসিটি অ্যাক্ট ২০০৩-এর ১৬৩ এবং ১২৬ ধারা মাতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই ক্ষেত্রে বড় ধরনের আর্থিক জরিমানা এবং বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করা হবে। রবিবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথা জানান বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতনলাল নাথ। তিনি বলেন, অনেকটা বাধ্য হয়ে দপ্তরকে এই পথে হাঁটতে হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, রাজ্যের বিদ্যুৎ ভোক্তাদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদানে বিদ্যুৎ দপ্তর দায়বদ্ধভাবে কাজ করছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কল সেন্টারের ১৯১২ নম্বর ছাড়াও আরও একাধিক ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর (৯৮৬৩৫৯৬০৮১), বিদ্যুৎ বন্ধু অ্যাপ, ওয়েবসাইট (www.tsecl.in) ইত্যাদি। মন্ত্রী বলেন, শুধু ১৯১২ কল সেন্টারে ফোন করাই নয়, অন্য ব্যবস্থাগুলিও ব্যবহার করার জন্য তিনি ভোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। বিদ্যুৎ সংক্রান্ত কোনও সমস্যা সমাধানের জন্য অভিযোগ লিপিবদ্ধ করার সবথেকে সুবিধাজনক ব্যবস্থা হচ্ছে ‘বিদ্যুৎ বন্ধু অ্যাপ’। গুগল প্লে স্টোর থেকে এই অ্যাপ ডাউনলোড করে যে কেউই অভিযোগ জানাতে পারে খুব সহজ পদ্ধতিতে। বিদ্যুৎমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়ে থাকে আগরতলা শহর এলাকায়। আগরতলা ১নং সার্কেলের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে নতুন একটি কল নম্বর আজ থেকে চালু করা হয়েছে। এই নম্বরটি হলো ৬০৩৩১৩২০৮২। ১৯১২ নম্বরের পাশাপাশি এই নম্বরের মাধ্যমেও গ্রাহকরা চব্বিশ ঘণ্টা পরিষেবা পাবেন। আগরতলার ১নং সার্কেলের অন্তর্গত বনমালীপুর, বড়দোয়ালী, আইজিএম, যোগেন্দ্রনগর, প্রতাপগড়, আমতলি, সেকেরকোট, জিবি, ক্যাপিটাল কমপ্লেক্স এবং দুর্জয়নগর বিদ্যুৎ ডিভিশনের গ্রাহকরা এর সুবিধা পাবেন। সাংবাদিক সম্মেলনে বিদ্যুৎমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে লোডশেডিং না থাকলেও মাঝে মাঝে পাওয়ার কাট হয়ে থাকে। বিদ্যুৎমন্ত্রী জানান, এ বছর অত্যধিক গরমের কারণে ভোক্তারা ফ্রিজ ও এসির ব্যবহার বেশি করেছেন। কিন্তু এসির ব্যবহারের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে গ্রাহকরা বিদ্যুৎ দপ্তরকে এই বিষয়ে অবহিত করছেন না। ফলে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ লোডের কারণে ট্রান্সফরমার বা বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্রাদি নষ্ট হয়ে পাওয়ার কাট হচ্ছে। তাই বিদ্যুতের বৈধ গ্রাহকদের অনুরোধ জানানো হচ্ছে যে তারা যেন আগামী দশ দিনের মধ্যে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন বিদ্যুৎ দপ্তর থেকে অনুমোদন নেন। অন্যথায় ইন্ডিয়ান ইলেকট্রিসিটি অ্যাক্ট ২০০৩-এর ১৬৩ ও ১২৬ নং ধারা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.