বিধানসভার নীতি ভেঙে মেয়রের শপথ: জিতেন!!
অনলাইন প্রতিনিধি :- ত্রিপুরা বিধানসভার নীতিমালা মানছে না রাজ্য সরকার। মেয়র পদ ঘিরে আইন লঙ্ঘন করেছে সরকার। শুধু তাই নয়,রাজ্য সরকারের ব্যর্থতায় ত্রিপুরায়, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পূর্ণ মুখ থুবড়ে পড়েছে।বেকারত্বে দেশে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে ত্রিপুরা।জনগণের স্বার্থে রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ অধরা। উল্টো রাজ্য সরকার আইন লঙ্ঘন করে রাজ্যে একটি বেসরকারী মেডিকেল কলেজ নির্মাণে ছাড়পত্র দিয়ে দেয়। যার অর্থে এই বেসরকারী মেডিকেল কলেজ তৈরির তোড়জোড় হচ্ছে তার গুরুদেব এর বিরুদ্ধে ইডি এবং সিবিআইয়ে মামলা রয়েছে।এদের মধ্যে অনেকে আবার বীরভূম থেকে বর্তমানে কারাগারে বসবাস করছেন। অথচ এক অদৃশ্য কারণে রাজ্য সরকার এই দুর্নীতিবাজদের হাতে আইজিএম হাসপাতালকে তুলে দিতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। আজ ঠিক এভাবেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরী।
মেলারমাঠস্থিত সিপিএম রাজ্য দপ্তরে পবিত্র কর,সুধন দাস কে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে জিতেন চৌধুরীর অভিযোগ দেশের কোন কোন রাজ্যে মেয়র, বিধায়ক, মন্ত্রী পদে একই ব্যক্তি থাকতে পারেন, যা পশ্চিমবঙ্গে আছে।রাজ্যে এই আইন নেই।এরপরও ত্রিপুরা বিধানসভার নীতিমালা লঙ্ঘন করে যিনি মেয়র পদে রয়েছেন।ওই ব্যক্তিকে আবার বিধায়ক পদে শপথবাক্য পাঠ করানো হল।রাজ্যের আইন হল একটি পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে।যদিও তা হয়নি। তিনি জানান,এর তীব্র প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবে সিপিএম।
তার অভিযোগ, সম্পূর্ণ আইন লঙন করে রাজধানীর ডুকলি এলাকায় শান্তি নিকেতন মেডিকেল কলেজকে জমি দিয়ে দিয়েছে সরকার। এই কলেজের সম্পূর্ণ অর্থ তৃণমূল কংগ্রেসের এক সাকরেদের। অবাক করার বিষয়, রাজ্য সরকারের এক সর্বোচ্চ প্রশাসনিক আধিকারিক এ লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম শহরে প্রত্যেক মাসে একবার যাতায়াত করছেন।এতে সহজেই অনুমেয় এই অর্থের উৎপত্তিস্থল কোথায়?এর তীব্র প্রতিবাদ জানায় বামেরা। পাশাপশি এই কলেজ তৈরির জন্য অর্থ কোন জায়গা থেকে এসেছে?এর তদন্ত করতে হবে। ত্রিপুরা বিধানসভার অনুমতি ছাড়া কীভাবে এই কলেজকে জমি প্রদান করা হল।এ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।তিনি জানান, সরকারের ব্যর্থতায় রাজ্যে কাজ ও খাদ্যের অভাব অব্যাহত রয়েছে।রেগা, টুয়েপ বন্ধ।সন্তান বিক্রি,অনাহারে মৃত্যু হচ্ছে।বকেয়া মজুরি প্রদান হচ্ছে না।রাজ্যের পরিস্থিতি এখন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে খাদ্যের সন্ধানে রাজ্যের মানুষ বাংলাদেশে যাচ্ছেন।এর থেকে লজ্জার আর কী হতে পারে।তার অভিযোগ,বিজয় উৎসব ও পার্টির কর্মসূচি রেগার অর্থে করছে বিজেপি। গ্রাম, পাহাড়, জেলা, মহকুমা সর্বত্র লুটপাট চলছে।
রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল দশা। বিজেপি সরকার এর আগে ৯৬১ স্কুলকে বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল।এখন শুধুমাত্র পশ্চিম জেলায় ১৬০টি স্কুলকেও এরা বন্ধ করে দিচ্ছে।বিদ্যাজ্যোতি সুপার ফ্লপ প্রকল্পের নামে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিল।বিদ্যাজ্যোতি নামে কোটি কোটি অর্থের লুটপাট হয়েছে। নতুন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সরকারীভাবে স্থাপনতো দূর অস্ত।উল্টো রাজ্যের লক্ষাধিক ছাত্রের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।
শ্রীচৌধুরীর অভিযোগ, রাজ্যের বেকারদের সরকারী চাকরির দরজা পর্যন্ত বন্ধ। উল্টো বহিঃরাজ্যের বেকারদের রাজ্যে এনে চাকরি প্রদান হচ্ছে। মহাকরণে বসে শুধুমাত্র চাকরির সিদ্ধান্তের নামে সাংবাদিক সম্মেলন হচ্ছে। যদিও নিয়োগ প্রক্রিয়া আর শেষ হচ্ছে না।একাংশ পদে নিয়োগ হলে আদালতের নির্দেশে তা বাতিল হয়ে যাচ্ছে।রাজ্য সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে এভাবেই বিজ্ঞাপন প্রকাশ করছে যাতে মামলা হয়।আর চাকরির প্রক্রিয়া সমাপ্ত না হয়। টিপিএসসি, বিধানসভা, জেআরবিটি, টিআরবিটি নিয়োগ পর্যন্ত হচ্ছে না।উল্টো বিধানসভা ও টিপিএসসির নিয়োগ মাঝপথে বাতিল হচ্ছে।এখন এই পদগুলিতে বহিঃরাজ্যের বেকারদের বাঁকা পথে চাকরি হবে।রাজ্যের ডিগ্রি কলেজ গুলিতে শিক্ষকের অভাবে পঠন- পাঠন বন্ধ।নিয়োগ নেই। উল্টো অতিথি শিক্ষকদের দিনমজুরের মতো বেতন প্রদান হচ্ছে।নিট এবং নেট পরীক্ষা ঘিরেও দুর্নীতি হচ্ছে।
তার অভিযোগ,রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের জন্যে সুষ্ঠু, অবাধ, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নেই।সর্বদলীয় বৈঠকে বিরোধী দলের নেতা, কর্মী, সমর্থকরা আক্রান্ত হচ্ছে।তাই নির্বাচনের পরিবেশ আগে তৈরির দাবি জানায় সিপিএম।যাদের বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআই রয়েছে এ ধরনের সংস্থাকে রাজ্যের প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ সহ আইজিএম হাসপাতালকে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানায় সিপিএম।
তিনি জানান, সরকারের এই ব্যর্থতা ও জনবিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত রাজ্যব্যাপী বিক্ষোভ হবে।২৬ জুন আগ
রতলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সভা করবে সিপিএম।