মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, বন্ধ ইন্টারনেট,, কার্ফু জারি!!
ভরাডুবির হতাশা থেকেই বামেদের বিভ্রান্তি: বিজেপি!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির হতাশা থেকেই মিথ্যা প্রলাপ বকছে সিপিএম।গণবর্জিত হওয়ার যন্ত্রণা থেকেই তারা বর্তমান রাজ্য সরকারকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টায় লেগেছে। রবিবার সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরীর সাংবাদিক সম্মেলনের প্রেক্ষিতে সোমবার এই ভঙ্গিমায় পাল্টা দেন প্রদেশ বিজেপি মুখ্য মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী।তিনি বলেন, বামেদের ভিত্তিহীন অভিযোগে দুরভিসন্ধি উস্কানি রয়েছে।মেয়র দীপক মজুমদারের বিধায়ক পদে শপথ নেওয়ার প্রসঙ্গে জিতেনবাবু যা বলেছেন তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিজেপি মুখপাত্র শ্রী চক্রবর্তী বলেন, বামেরা অস্পষ্টতার সঙ্গে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।এই বিষয়টি নিয়ে তারা আইনের পথে গেলে বিজেপির তাতে কোনও আপত্তি নেই বিষয়টি বামেদের জন্য আত্মঘাতী হয়ে ফিরে আসতে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ স্থাপনের জন্য রাজ্য সরকার এক বিন্দুও জমি দেয়নি।পরিকাঠামোগত কোনও ধরনের সাহায্য করেনি রাজ্য সরকার। এরপরেও এই কলেজ নিয়ে সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের এই ধরনের বক্তব্য মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করার অপপ্রয়াস বলে দাবি করেন শ্রী চক্রবর্তী।তার কথায় নির্বাচনে পরাজিত হয়ে সারা রাজ্যে গণবর্জিত হয়ে মিথ্যার বেসাতি গাইতে শুরু করেছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌদুরী। মানুষ যে আর তাদের পাশে নেই সেটা বুঝে গিয়ে ভুল তথ্য মানুষের কাছে উত্থাপন করে কেবল সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই জিতেনবাবুরা এই ধরনের প্রলাপ বকছেন।শ্রী চক্রবর্তী এ দিন শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজের পাল্টায় জি নেটের প্রসঙ্গ সামনে টেনে আনেন।তিনি বলেন, একটি বেসরকারী কলেজ নিয়ে বামেরা গাল গল্প করলেও – গ্লোবাল এডুকেশন নেটের কথা মানুষ ভুলে যায়নি।এর পেছনে কারা মহানায়ক ছিলেন তাও মানুষের মনে আছে।বিধানসভাতেও জি নেট নিয়ে কোনও জবাব দেয়নি বামেরা।এখন সরকারকে শুধু শুধু বদনাম করতেই এখন উঠে পড়ে লেগেছে বামেরা।তিনি বলেন, অনৈতিকভাবে কিছুটা করছে না বর্তমান সরকার।সবকিছুই হচ্ছে স্বচ্ছতার সাথে। আইজিএমকে বেসরকারী সংস্থা হাতে তুলে দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আর একটু পড়াশোনা করে বামেদের ওই প্রসঙ্গে কথা বললেই ভালো হতো।বেশ কিছু সংখ্যক বিদ্যালয় গুটিয়ে নেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্রর বলেন,এই মর্মে সরকারী বিজ্ঞপ্তি কোনও জারি হয়নি। এই প্রসঙ্গে তিনি রাজ্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির কথাও মেলে ধরেন।চাকরি দিয়ে চাকরি বাতিল হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র বলেন,বিজেপি সরকারের আমলে এমনটা হয়নি। বামেদের সময় এমন অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে।পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বামেদের বক্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র বলেন, বিরোধীরা শিশু সুলভ কথা বলছেন।তাদের হাতে জনবল নেই বলেই এই প্রলাপ।বিজেপি মুখপাত্র বলেন,বামেরা বরাবরই উন্নয়নের বিরোধী।একটা সরকারকে উন্নয়নমূলক কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন সংস্থাকে রাজ্যে কাজের সুযোগ দিতে হয়। বরাবর এমনটা হয়েছে। উন্নয়নের জন্য এটা দরকারও।কিন্তু বামেরা ইস্যুটি নিয়ে অযথা বিভ্রান্তি তৈরি করছে।এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ বিজেপির সহসভাপতি তাপস ভট্টাচার্য, বিমল চাকমা বিজেপির মিডিয়া ইনচার্জ সুনীত সরকার প্রমুখ।
এদিন মেয়র দীপক মজুমদারের বিধায়ক পদে শপথ প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র বলেন, রামনগর বিধানসভা নির্বাচনি কেন্দ্র থেকে বিজয়ী প্রার্থী তথা আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদারকে ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রদত্ত সার্টিফিকেটমূলে এবং মহামান্য রাজ্যপালের নির্দেশক্রমে ভারতীয় সংবিধান অনুসারে বিধানসভার মাননীয় অধ্যক্ষ গত ১৯ জুন বিধায়ক পদে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন। এই ক্ষেত্রে ত্রিপুরা বিধানসভার কার্য পরিচালন ও নিয়মাবলি বিধির কোনও ধারাই লঙ্ঘিত হয়নি। এছাড়াও ত্রিপুরা মিউনিসিপাল অ্যাক্ট-১৯৯৪ অনুসারে মেয়র পদে থাকাকালীন বিধানসভার কোনও নির্বাচনি কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত প্রার্থী বিধায়ক পদে শপথ নিতে পারবে না এই বিষয়টিতেও নির্দিষ্টভাবে কোনও প্রতিবন্ধকতা নেই।
ভারতীয় সংবিধানের ১৯১ তম অনুচ্ছেদও এই ক্ষেত্রে বিধায়ক পদে শপথগ্রহণ করাতে কোনও প্রতিকূলতা সৃষ্টি করছে না।পাশাপাশি, ত্রিপুরা স্টেট লেজিসলেচার মেম্বার (রিমুভাল অব ডিসকোয়ালিফিকেশনস) অ্যাক্ট-১৯৭২ এই বিষয়টি সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা দিচ্ছে।কাজেই, মাননীয় বিরোধী দলনেতা কর্তৃক উত্থাপিত অভিযোগটি মোটেই সঠিক নয় বরং সংশ্লিষ্ট নিয়মাবলি সম্পর্কে সম্ভবত উনার সম্যক ধারণা নেই বলেই স্বাভাবিক কারণেই উনার উত্থাপিত এই অভিযোগ দ্বারা জনগণ বিভ্রান্ত হবেন।এই ধরনের কাল্পনিক অভিযোগ দ্বারা কার্যত বিধানসভার সুনাম ও মর্যাদা লঙ্ঘিত হয়েছে। বিধানসভার দায়িত্বশীল মাননীয় বিরোধী দলনেতার কাছে এমনটা মোটেই কাঙ্খিত নয়।