মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, বন্ধ ইন্টারনেট,, কার্ফু জারি!!
ভিন্ন প্রজাতির ড্রাগন ফল চাষ করে তাক লাগালেন সমীর বাবু!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-আগ্রহ, প্রচেষ্টা এবং দৃঢ় মানসিকতা থাকলে সফলতার পথে কোনোকিছুই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। এই ভাবনারই আরও একবার বাস্তব চিত্র তুলে ধরলেন ৬৩ বছর বয়সের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক সমীর চক্রবর্তী। বেশ কয়েক প্রজাতির ড্রাগন ফল চাষ করে তাক লাগালেন সমীর বাবু। কমলপুর শহরের মাদ্রাসা দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে দীর্ঘ বহু বছর শিক্ষকতা করেছেন মহকুমা সদরের ভট্টাচার্যী পাড়া এলাকার সমীর চক্রবর্তী। প্রায় চার বছর আগে তিনি শিক্ষকতা থেকে অবসর নিয়েছেন। এরপর শুধুমাত্র পেনশনের ওপর নির্ভর করে থেমে থাকেননি তিনি। নিজের ভাগ্নে তথা রাজ্য প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা পঙ্কজ চক্রবর্তীর পরামর্শে প্রায় আড়াই বছর আগে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করেন। বড়সুরমা তহশীল এলাকা সংলগ্ন পুরান বাড়িতে এক কানি জায়গার ওপর ৫০০ গাছ লাগিয়েছেন। এ বছর ফুল থেকে ফল ধরতে শুরু করেছে। সমীর বাবুর বাগানে বেশ কয়েক প্রজাতির ড্রাগন ফল রয়েছে। জাম্বু রেড ড্রাগন, মোরাক্কান রেড ড্রাগন, শ্রীলঙ্কান রেড ড্রাগন, সিয়াম রেড ড্রাগন, ভিয়েতনাম কিং ড্রাগন এবং আরও কয়েক প্রজাতির ড্রাগন ফল রয়েছে। বছরের সাত মাস ফল দেয় এই গাছগুলো।
রাত্রিবেলা ফুলের মধ্যে পরাগায়ন করলে ফল বড় আকারের হয় এবং ফল নষ্ট হবার চান্স থাকে না। ফলের মৌসুমে প্রতি রাতেই ফুল ফুটলে তিনি পরাগায়ন করে থাকেন। কারণ দিনের বেলা ফুল সূর্য ওঠার সাথে সাথে মুজে যায়। যত্ন বলতে ফাঙ্গাল ইনফেকশন থেকে রক্ষা করতে হয় । আর অর্গানিক খাবার গাছগুলির বৃদ্ধি দ্রুত করে। চারা লাগানোর এক বছরের মধ্যেই গাছে ফল আসতে শুরু করে।
অন্যদেরকে উৎসাহিত করার জন্য উনার নিজ বাড়িতেও কিছু ড্রাগন ফলের গাছ লাগিয়েছেন তিনি।
সুমির বাবু আরও জানান, ড্রাগন ফলের ভালো বাজার থাকলেও মাত্র দেড়শ দুইশ টাকা কিলো হিসাবে বিক্রি করছেন তিনি। বাইরের কিছু ক্রেতাও ইতিমধ্যেই উনার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন ফল কেনার জন্য। তিনি চাইছেন কর্মহীন যুবকরা এগিয়ে আসুক এই ব্যবসায়। এতে আর্থিক সমৃদ্ধি সম্ভব বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।