জিবিতে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট হতে চলেছে ৮ই : মুখ্যমন্ত্রী
বর্তমানে রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থা এখন যথেষ্ট উন্নত। যার প্রেক্ষিতেই আগামী ৮ তারিখ জিবি হাসপাতালে প্রথমবারের মতো হতে চলেছে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট। বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞা ভবনে আয়োজিত রাজ্যে কর্মরত ডেন্টাল সার্জনদের রাজ্যভিত্তিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা এমনটাই বলেন। এদিন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরা স্টেট ডেন্টাল কাউন্সিল, আগরতলা সরকারী ডেন্টাল কলেজ এবং আইজিএম হাসপাতালের ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করেন। পাশাপাশি আগরতলা সরকারী ডেন্টাল কলেজে ই-সঞ্জীবনীর মাধ্যমে টেলি মেডিসিন পরিষেবারও আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী টেলি পরিষেবার মাধ্যমে চিকিৎসক এবং রোগীর সাথে কথা বলেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন। মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহা বলেন, রাজ্যে চিকিৎসা পরিষেবা উন্নয়নে ব্যাপক অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে রাজ্য সরকার।
রাজ্যের একমাত্র সরকারী ডেন্টাল কলেজকে উত্তর-পূর্বের মধ্যে সেরা ডেন্টাল কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার প্রয়াস নিতে হবে। তিনি বলেন, সেই সময়ের প্রযুক্তি ক্ষেত্র অনেকটা পিছিয়েছিল। সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তি অনেক উন্নত হয়েছে। এখন অনলাইনের মাধ্যমে রোগীদের সঙ্গে কথা বলা যায়। রাজ্যে ডেন্টাল কলেজেও অনেক উন্নতমানের যন্ত্রপাতি এসে গেছে। ডেন্টাল সার্জনদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কিছু করার মানসিকতা থাকতে হবে। যার রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমি সবসময় আপনাদের পাশে আছি। বিভিন্ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী আমাদের অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন। কাজের বিকল্প হয় না। শুধু পোস্টিং আর ট্রান্সফার রাজ্যে ডেন্টাল কাউন্সিল হয়েছে। এর আগে রাজ্যের ছেলেমেয়েরা যারা বাইরে লতার পড়াশোনা করতো তাদের সেখানকার রেজিস্ট্রেশন নিতে হতো। এতে অনেক সমস্যা হতো। বিশেষ করে আসা যাওয়া সহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক ক্ষেত্রে অনেক খরচ হতো। তাই ত্রিপুরায় ডেন্টাল কাউন্সিল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নুর্ধ্ব যে কারণে এখন অনেক সুবিধা হয়েছে। পাশাপাশি এখন রাজ্যে সমস্ত দপ্তরে ই- নাম ফাইলের ব্যবস্থা হয়েছে। আর এই ব্যবস্থায় অনেক সুবিধা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীও প্রযুক্তিকে অন্যতম অগ্রাধিকার দিয়েছেন।
রাজ্যে ডেন্টাল কলেজ গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কথা এদিন তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা। লাই তিনি জানান, বিরোধী দলের একজন নেতা প্রধানমন্ত্রীর অফিসে ডেন্টাল কলেজের ফ্যাকাল্টি সম্পর্কিত বিষয়ে নালিশ জানিয়েছেন। অথচ এই সম্পর্কে ওই নেতার কোন জ্ঞানই নেই। এরপর তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র বের করে প্রধানমন্ত্রীর অফিসে পাঠান। এর মধ্যে রাজ্যে আরও একটি মেডিকেল কলেজ হচ্ছে। আর সেটা নিয়েও নাকি সমস্যা আছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে। রাজ্যে পা শ্রী এখন বিনিয়োগকারী আসছেন। তাদের কাছে যাতে ভুল বার্তা না যায় সেটা নিশ্চিত বাি করতে হবে। তিনি বলেন, চিকিৎসা পরিষেবার উন্নয়নে একের পর এক উদ্যোগ উন নিয়ে কাজ চলছে। এখানে বড় বড় হাসপাতাল গড়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে। প্রায় মান ১৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে আগরতলা সরকারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৯ টি সুপার স্পেসালিটি খোলা হয়েছে। রাজ্যের ডেন্টাল কলেজের সামগ্রিক উন্নয়নে ঘে প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রায় ২০২ কোটি বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বিডিএস পড়ার জন্য এখন রাজ্যের ছেলেমেয়েদের বাইরে যেতে হবে না। আগামীতে এমডিএস কোর্সও খোলা হবে। ডেন্টাল কলেজের জন্য সেরা যন্ত্রপাতি দেওয়া হয়েছে। ডেন্টাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট নিজে এসে আগরতলা সরকারী ডেন্টাল কলেজের পরিকাঠামো নিয়ে প্রশংসা করে গেছেন। উত্তর- পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে ত্রিপুরার ডেন্টাল কলেজ যাতে অন্যতম একটি হয় সেই চিন্তাভাবনা নিয়ে কাজ করতে হবে। এজন্য উদ্ভাবনী যা যা দরকার সেটা করতে হবে। স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নে নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে রাজ্য সরকার। সকলের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা চালু করা হয়েছে। এছাড়া এদিন বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে ম বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের মিশন অধিকর্তা রাজীব দত্ত, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা ডা. অঞ্জন দাস, মেডিকেল এডুকেশনের অধিকর্তা ডা. এইচপি শর্মা, সরকারী ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ শালু রায়, ইন্ডিয়ান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. সমীর রঞ্জন দত্ত চৌধুরী সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ। অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা স্টেট ডেন্টাল কাউন্সিল এবং ে আগরতলা গভঃ ডেন্টাল কলেজ ও আইজিএম-এর দুটি ওয়েবসাইটের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি ই-সঞ্জীবনী-এর মাধ্যমে দন্ত চিকিৎসায় টেলি- কনসালটেশন সুবিধার শুভারম্ভ করেন তিনি।