ত্রিপুরার নয়া লোকায়ুক্ত নিযুক্ত বি কিলিকদার!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরা সরকার অবসরপ্রাপ্ত বিচারক (ত্রিপুরা জুডিশিয়াল সার্ভিস) ড. বি কে কিলিকদারকে ত্রিপুরার নতুন লোকাযুক্ত হিসেবে নিযুক্ত করেছেন। আজ তার নিয়োগের আনুষ্ঠানিক আদেশ জারি করা হয়েছে।তিনি সিনিয়র অ্যাডভোকেট কে এন ভট্টাচার্যের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।শ্রীভট্টাচার্য ১ জুলাই,২০১৯ থেকে ত্রিপুরার লোকাযুক্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
জানা গেছে,ড.বিভাস কান্তি কিলিকদার,এর আগে ত্রিপুরা পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন সদস্য ছিলেন এবং তিনি বর্তমানে নাসা বোর্ডের সদস্য সহ ত্রিপুরা সরকারের বেশকিছু বিভাগে উপদেষ্টা পদে আছে।ড.বিভাস কান্তি কিলিকদার ত্রিপুরা সরকারের দ্বারা তৈরি ত্রিপুরার নিজস্ব বিভিন্ন আইনের কোডিফিকেশনের প্রধান স্থপতি যিনি ১৯৫০ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত ত্রিপুরার সমস্ত আইনগুলো একত্রিত করে বিশাল ভলিউমের দুটি বই সফলভাবে রচনা করেন।
এর আগে তিনি ত্রিপুরা, আসাম, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশ এবং সিকিম বার কাউন্সিলের অধীনে অ্যাডভোকেট হিসাবে নথিভুক্ত হয়ে বেশ কয়েক বছর আইনি পেশার সাথে যুক্ত ছিলেন।পাশাপাশি ভারতীয় রেডক্রস সোসাইটির আজীবন সদস্য ড. কিলিকদার ইন্ডিয়ান রেডক্রস সোসাইটির ত্রিপুরা রাজ্যশাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে বেশ কয়েক বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। তাছাড়াও,
তিনি ত্রিপুরা সরকারের একাধিক তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান ও সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
জানা গেছে, ড. কিলিকদার বর্তমানে রাজ্য সমাজ কল্যাণ ও সামাজিক শিক্ষা উপদেষ্টা বোর্ড,ত্রিপুরা বায়ো-ডাইভারসিটি বোর্ড, চেয়ারম্যান, এথিক্স কমিটি (মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি অ্যাডভাইজরি বডি), আইএলএস হাসপাতাল, ত্রিপুরা আইন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্র এবং ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযোগ নিষ্পত্তি কমিটির একজন সদস্য।তিনি ত্রিপুরার উপর বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন, বিশেষত ত্রিপুরার রিয়াংদের, প্রথাগত আইন (কাস্টমারি ল’) বিষয়ে তার অনুশীলন ও গবেষণাপত্র ১৯৯৮ সালে ত্রিপুরা সরকার কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছে।
তাছাড়া তিনি প্রশাসনিক শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয় এবং বিভাগীয় কার্যধারার একজন বিখ্যাত আইন বিশেষজ্ঞ।এ বিষয়ে তার বই রাজ্য জন প্রশাসন ও গ্রামীণ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (SIPARD)দ্বারা প্রকাশিত হয়েছে।আইন জানা ও প্রশাসনিক কাজে পারদর্শী এমন একজনকে ত্রিপুরার লোকাযুক্ত হিসেবে নিয়োগের খবর প্রশাসনিক মহলে এই মর্মে বেশ আলোড়ন তুলেছে যে, এবার হয়তো সরকারের দুর্নীতি বন্ধে কার্যকর কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে।কেননা,ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা নিজেও প্রশাসনিক দুর্নীতি ইস্যুতে জিরো টলারেন্সের কথা বলে আসছেন আজ দীর্ঘদিন ধরে। এখানে উল্লেখ করা প্রাসঙ্গিক যে রাজ্যপাল আজ তার নিয়োগের পরোয়ানা জারি করার আগে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা, স্পিকার বিশ্ববন্ধু সেন এবং বিরোধীদলীয় নেতা জিতেন চৌধুরীর সর্বসম্মতিক্রমে শ্রীকিলিকদারকে ত্রিপুরার লোকাযুক্ত পদের জন্য মনোনীতি করেছিলেন।