জনজাতি কল্যাণে বেনজির কাণ্ড বিশ্ব ব্যাঙ্কের অর্থে হরির লুঠ!

 জনজাতি কল্যাণে বেনজির কাণ্ড বিশ্ব ব্যাঙ্কের অর্থে হরির লুঠ!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইনপ্রতিনিধি :- টিআরইএসপির বাস্তবায়নের নামে বড় ধরনের অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে ত্রিপুরার উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ওয়েবসাইটে ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে টিআরইএসপির সাফল্যের প্রতিবেদন প্রকাশ হতেই রাজ্য জুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্ব ব্যাঙ্কের সাথে টিআরইএসপির বাস্তবায়নের ঋণের চুক্তি এবং প্রকল্প চুক্তি কার্যকর হয়েছে ২০ মার্চ, ২০২৪। কিন্তু বিশ্ব ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, ওই প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ২৬ জুন ২০২৩। এখন প্রশ্ন কোনটি সঠিক? ওই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে টিআরইএসপির মাধ্যমে উপজাতি এলাকায় ২৫ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। বাস্তবে প্রতিদিন রাজ্যের কোনও না কোনও ব্লকের রাস্তার দাবিতে পথ অবরোধে শামিল হচ্ছেন জনজাতি সম্প্রদায়ের জনগণ। এর পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় চারটি স্কুল ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। কোথায় ওই চারটি স্কুল ভবন নির্মাণ হচ্ছে, এর উল্লেখ না থাকা সন্দেহজনক। ওই প্রতিবেদনে ৬০৩টি প্রযোজক গ্রুপ এবং ৪১টি ক্লাস্টার লেভেল ফেডারেশন ত্রিপুরার বিভিন্ন জেলা ও ব্লকে গঠিত হয়েছে। কিন্তু কোনও জেলা ও ব্লকে ওই সকল ও ক্লাস্টার লেভেল ফেডারেশন গঠিত হয়েছে এর কোনও নাম উল্লেখ করা হয়নি। শুধু তাই নয়, টিআরইএসপিতে কর্মচারীরা কাজে যোগদান করেছেন চলতি বছরের গত ১৮ ও ১৯ জুন। ২০ জুন ওই সকল কর্মচারীদের বিভিন্ন জেলা ও ব্লকে কাজে যোগদানের নির্দেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কর্মচারী ছাড়া এবং লোকসভা নির্বাচনের আচরণবিধির মধ্যে ত্রিপুরার উপজাতি কল্যাণ দপ্তর টিআরইএসপির মাধ্যমে ৬০৩টি প্রযোজক গ্রুপ ও
৪১টি ক্লাস্টার ফেডারেশন কীভাবে তৈরি করলো? সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে খবর, টিআরইএসপিতে এখন পর্যন্ত ২০০ কোটি টাকার অধিক খবর টিআরইএসপিতে এখন পর্যন্ত ২০০ কোটি টাকার অধিক খরচ দেখানো হয়েছে। বাস্তবে সবটাই ভুয়ো এবং কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ বলে অভিযোগ। সূত্রের মতে, এই সবকিছু হচ্ছে বহি:রাজ্য থেকে আমদানি করা টিআরইএসপির চিফ অপারেটিং অফিসার ও উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের একাংশের দুর্নীতিবাজ আমলার মেলবন্ধনে। কেউ কেউ এক্ষেত্রে উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। রাজ্যের উপজাতিদের আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নে বিশ্ব ব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তায় শুরু হওয়া টিআরইএসপিতে নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ আগেই উঠেছে। টিআরইএসপিতে নিয়োগ অনিয়মের আগেই উঠেছে।
টিআরইএসপির নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের ও অভিযোগ ঘিরেও রাজ্য জুড়ে গুঞ্জন হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের শুরুতেই অনিয়মের তথ্য বিশ্ব ব্যাঙ্কের নজরে গেলে ভবিষ্যতে এই প্রকল্প ধাক্কা খেতে পারে। বন্ধ হয়ে যেতে পারে বিশ্ব ব্যাঙ্কের আর্থিক বরাদ্দ। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.