রেল কোচের রেস্তোরাঁ এখনও অথই জলে!!
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাধারঘাটের রেলস্টেশনের সামনে চাকা ও বগি সহ রেলের একটি কোচ বসিয়ে আগরতলাবাসীকে স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল এই রেস্তোরাঁর। যা আবার কিনা বলা হয়েছিল ভোজনরসিকদের জন্য গত হোলিীতেই খুলে দেওয়া হবে। কিন্তু চার-পাঁচ মাস অতিবাহিত হলেও এখনও রেস্তোরাঁর রূপ দেওয়াতো দূরের কথা, যথাযথভাবে পরিষ্কার করে তার সংস্কার করা হয়নি। রেল দপ্তরের সূত্রে জানা গেছে যে, ঠিকাদারকে রেস্তোরাঁ খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু কবে থেকে তা শুরু হবে তার উত্তর পাওয়া যায়নি। গ্রাহকদের আশা ছিল তাড়াতাড়ি বগিটি নানা সাজে ও আলোতে ভাসবে। রেলযাত্রীরা তাদের ভ্রমণের মাঝে যেমন আসবে তার সাথে সাধারণ গ্রাহকরাও ছেলেমেয়েদের নিয়ে সপরিবারে নতুন আঙিনায় ট্রেনের কামরায় নির্মিত রেস্তোরাঁয় খাবারের আনন্দ নেবেন।যদিও আর দশটা সরকারী প্রকল্পের মাল বা ঠিকাদারদের দেওয়া কাজের মতো সময়ের কাজ সময়ে নাও হতে পারে নয়নএই আশঙ্কার কারণ কিন্তু অন্য জায়গায়। কয়েক বছর আগে আগরতলা রেলস্টেশনের উত্তর প্রান্তে অবস্থিত ইচাবাজার রেল ক্রসিং সংলগ্ন এলাকায় একটি মিটারগেজ লাইনের চলাচলকারী বাষ্প ইঞ্জিন এনে রাখা হয়। এ নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি হয়। পত্রে খবর নিয়ে জানা যায়, ঐতিহাসিক ইঞ্জিনটি আগরতলা স্টেশনের সামনে বসানো হবে। বসানোর কথা শুনে সবাই উৎসাহী হয়ে পড়ে। যা থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের লোকেরা বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীরা ভারতীয় রেলের বিকাশের কাহিনি জানতে পারবে। যা অন্য রাজ্যের অনেক স্টেশনের সামনে এ ধরনের ঐতিহাসিক বাষ্প ইঞ্জিন বসানো আছে। কিন্তু হঠাৎ করে এলাকাবাসী দেখতে পায় যে ইঞ্জিনটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অন্য রাজ্যে। এর ফলে এই ঐতিহ্যপূর্ণ ইঞ্জিন থেকে ত্রিপুরাবাসীকে বঞ্চিত করে রেল দপ্তর। সেরকম ঘটনা কি আবার মঞ্চস্থ হবে? যাত্রী সহ আমজনতা রেলের পরিভাষায় যাকে কার রেস্তোরাঁ বলে সেখানে বসে চাইনিজ, ইন্টার কন্টিনেল ডিশ বা বিরিয়ানি সহ ভারতীয় খাবার বসে খেয়ে আনন্দ পাবে কবে থেকে সেটাই দেখার।’