উপভোটে জয় নিয়ে আশাবাদী সব প্রার্থীরাই

 উপভোটে জয় নিয়ে আশাবাদী সব প্রার্থীরাই
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

দীর্ঘ পঞ্চাশ মাসের ব্যবধানেও যখন ভুরি ভুরি প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারেনি সরকার , এখন মাস কয়েকের ব্যবধানে কি পারবে পড়ে থাকা প্রতিশ্রুতিগুলি পালন করতে ? অন্তত শাসক অন্দরেই এই প্রশ্ন এখন লাখ টাকা মূল্যের হয়ে দাঁড়িয়েছে । ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসক বিজেপির প্রতিশ্রুতি ছিলো, প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেই ভোট চাইতে আসবেন তেইশের ভোটে । সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীও বলেছেন , রিপোর্ট কার্ড নিয়েই ভোট চাইতে যাবেন তিনিও । কিন্তু এর আগে আশ্চর্য এক সমাপতন । একদিকে শাসকের ঘর ছেড়ে অতীতকে বগলদাবা করে নেন রাজ্যের প্রভাবশালী দুই নেতা । অন্যদিকে , মাথা মুড়িয়ে আরও এক নেতার জেহাদ ঘোষণা । আছে রাজ্য বিধানসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ তথা রমেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথের বিয়োগের বিষয়টিও । সব মিলে গত পঁচিশ মে রাজ্য বিধানসভার এই ফাঁকা আসনগুলির জন্য উপভোটের ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন । মাঝখানে গত চৌদ্দ মে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন বিপ্লব কুমার দেব ।

তড়িঘড়ি ফাঁকা এই আসনে তাই বসিয়ে দেওয়া হয় প্রদেশ বিজেপির সভাপতি ডা . মানিক সাহাকে । উপভোট ঘোষণার পর এদের মধ্য থেকেই টাউন বড়দোয়ালী বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয় ডা . সাহাকে । কিন্তু চিকিৎসা শাস্ত্রে দাপিয়ে বেড়ানো এই মুখ্যমন্ত্রী কতটা সফল হবেন নির্বাচনি ময়দানে ? রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত না থাকলেও কীভাবেইবা তিনি সামলাবেন এমন দায়িত্ব ? মনোনয়ন জমা করার শেষদিনে আট টাউন বড়দোয়ালী কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডা . মানিক সাহা বললেন , সময়ের সাথে সাথে ম্যানেজ করে নিতে হয় নিজেকে । সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে সব কাজই একসাথে করা সম্ভব । প্রতিশ্রুতি নিয়ে বলেন , এ আবার তেমন কী ! আমরা তো মনে করি শুধুমাত্র পাইলট পরিবর্তন হয়েছে । আর না হয় এই ট্রেন যেখানে যাবার কথা ছিলো ঠিক সেখানেই যাবে । মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে তিনি তেমন করে কাউকেই দেখতে চান না । তবে জানিয়ে রাখলেন , তেইশের আগে এটি একটি অ্যাসিড টেস্ট । সফলতা এলে তাকে কার্যকর করা হবে আবারও , আর না হয় সেই অনুযায়ী ভেবে দেখা হবে ।

আট বড়দোয়ালী বিধানসভা কেন্দ্রে বরাবরের মতোই জয়ী হয়ে আসছেন প্রাক্তন বিধায়ক আশীষ কুমার সাহা । ২০০৯ সালে উপভোট দিয়ে শুরু করে এরপর ২০১৩ এবং ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচন । প্রতিটিতেই তাকে জয়ী করেছে এলাকাবাসী । পুরসভা ভোটেও ১৯৯৫ এবং ২০০৫ সালে জয়ী হন তিনি । একসময় আঠারো বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি জাতীয় কংগ্রেস ছেড়ে শাসক বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় শাসকের হয়েই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সে সময় । পরে বেশ কিছু ইস্যুতে শাসকের ঘরে একপ্রকার কোণঠাসা হয়ে পড়েন তিনি । বাধ্য হয়ে দল ত্যাগ করে পুরনো ঘরকেই বেছে নেন এই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী আশীষ সাহা । সোমবার মনোনয়ন শেষে জয় নিয়ে আশাবাদী তিনিও । উপভোটের লড়াইয়ে বামেদের হয়ে প্রার্থী হিসাবে থাকছেন ফরোয়ার্ড ব্লকের রঘুনাথ সরকার । প্রথমবারের মতো প্রার্থী হয়ে মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যাপারে সরব হন তিনি । মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও কংগ্রেস প্রার্থী আশীষ কুমার সাহাকে নিয়ে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি । বলেন , শুধুমাত্র ব্যক্তিগত স্বার্থেই এই দল ছেড়ে ওই দলে আবার ওই দল ছেড়ে এই দলে আসছেন । মানুষ এখন সবই বুঝে গিয়েছেন । প্রার্থী হিসাবে এই কেন্দ্রের উপভোটে থাকবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সংহিতা ব্যানার্জিও ।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.