বিমান ভাড়া দুর্ভোগ, ফের মহার্ঘ নীরব সরকার!!

 বিমান ভাড়া দুর্ভোগ, ফের মহার্ঘ নীরব সরকার!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-বিমান টিকিটের অগ্নিমূল্য কিছুতেই থামছে না।বিমানে একটু যাত্রী ভিড় দেখা দিলেই সেই সুযোগে বিমান সংস্থাগুলি ভাড়া বাড়িয়ে আকাশ ছোঁয়ায় নিয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতা এখনও চালু রেখেছে।এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগো এই দুটি বিমান সংস্থার বিমানই আগরতলা- কলকাতা রুটের উভয়দিকে যাতায়াত করছে। বিমানে কোনও রুটে দূরত্ব অনুযায়ী বিমান সংস্থাগুলি ভাড়া কত টাকা নিতে পারবে তা দেখার দায়িত্ব হলো কেন্দ্রীয় সরকারের।কেন্দ্রীয় সরকারের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক গোটা দেশে বিমান পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্বে রয়েছে।কিন্তু বিস্ময় ও আশ্চার্যজনক বিষয় হলো, কেন্দ্রীয় সরকারের বিমান মন্ত্রক আগরতলা সেক্টরে বিমান পরিষেবার ও ভাড়া নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে পুরো উদাসীন ও নির্বিকার।দিনের পর দিন রহস্যজনকভাবে ঠুটো জগন্নাথের ভূমিকা পালন করে চলায় সেই সুযোগ নিয়ে বিমান সংস্থাগুলি রাজ্যের অসহায় বিমান যাত্রীদের গলাকাটা ভাড়া নিচ্ছে।রাজ্যে বিজেপি পরিচালিত সরকার ও কেন্দ্রেও বিজেপি তথা এনডিএ পরিচালিত সরকার থাকলেও ডবল ইঞ্জিন সরকারের কোনও প্রভাব ও সুফল ত্রিপুরা তথা রাজ্যের মানুষ পাচ্ছেন না বলে দীর্ঘদিন আগেই অভিযোগ উঠেছে। আর সেই কারণে আগরতলা- কলকাতা রুটের উভয়দিকে যাতায়াতে এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগো যথেচ্ছ লাভালাভের অংক কষে মর্জিমতো ভাড়া আদায় করে নিচ্ছে।গত কদিন ধরেই বিমান ভাড়া অস্বাভাবিক নেওয়া হচ্ছে।রবিবার আগরতলা-কলকাতা রুটের উভয়দিকে টিকিটের প্রচণ্ড সংকট ছিল।রবিবারের জন্য যে ক’টি টিকিট শেষ মুহূর্তের ছিল শনিবার বিকালের পর ভাড়ার ঊর্ধ্বসীমার রেকর্ড মূল্যে সেই টিকিট বিক্রি হয়। এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রি করেছে প্রতি টিকিট ১৯,১৩০ টাকা করে।আর ইন্ডিগো বিক্রি করেছে ১৪ হাজার টাকা থেকে ১৬ হাজার টাকার মধ্যে বলে যাত্রীদের অভিযোগ। রবিবারের পর সোমবারও এই দুটি বিমান সংস্থা যে টিকিট বিক্রির জন্য অনলাইনে দিয়ে রেখেছে সেই টিকিট নিতে গিয়েও যাত্রীর হাত পুড়ছে। আগুন মূল্যের টিকিট বাধ্য হয়ে খুব কষ্টে যাত্রীরা নিচ্ছেন।বাংলাদেশের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠায় সেই দেশে মেডিকেল কলেজে পাঠরত অনেক ছাত্রছাত্রী সীমান্ত দিয়ে আগরতলায় এসে বহি:রাজ্যে বাড়ি যেতে বিমানে যাচ্ছেন।আবার রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বিএড কলেজে পরীক্ষা দিতে যাওয়ায়ও বিমানে ভিড় দেখা দিয়েছে।ইন্ডিগোর শুক্রবার ও শনিবার পরপর দুদিনে দুটি ১৮০ আসনের এয়ারবাস বাতিল হওয়ায় আটক যাত্রীদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিমানে পাঠাতে গিয়েও টিকিট সংকট দেখা দেয়।এদিকে, বিমান টিকিটের অগ্নিমূল্য ও টিকিট সংকটের কারণে কলকাতায় উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে স্ট্রেচারে করে গুরুতর অসুস্থ রোগী নিতেও প্রচণ্ড বিপাকে পড়ছেন রোগীর আত্মীয়রা।বিমানে স্ট্রেচারে শুধু একজন রোগী নিতে ছয়টি সিট তথা আসন লাগে।স্ট্রেচারে শুধু রোগীর বিমান ভাড়া এক লক্ষ সাতষট্টি হাজার টাকা।সঙ্গে একজন চিকিৎসক, রোগীর দেখভালে অন্তত দু’তিনজন আত্মীয় যেতে হয়।সেই টিকিটের মূল্য আলাদা করে দিতে হয়। রোগীর জন্য অক্সিজেনের সিলিন্ডারের মূল্যও আলাদা নেওয়া হয়। সব মিলে স্ট্রেচারে একজন রোগী নিতে আড়াই লক্ষ টাকার উপর লেগে যাচ্ছে। এখন ভিড়ে টিকিট পাওয়া একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় গুরুতর অসুস্থ রোগী আটকে পড়েছেন।রোগীর আত্মীয়রা খুব কষ্টে ধারদেনা করে রোগী নিতে টিকিটের টাকা জোগাড় করতে হচ্ছে।ইন্ডিগোর বিমানে রোগীর জন্য পৃথকভাবে অক্সিজেনর সিলিন্ডার না মেলায় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানেই স্ট্রেচারে রোগী নেওয়া হচ্ছে বেশি।স্ট্রেচারে রোগী নিতে এতো বিশাল টাকা বিমান ভাড়া নেওয়া হলেও রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার রহস্যজনকভাবেই নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে। বিমানের টিকিট সংকটে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আরও বিশাল অংকের টাকায় ভাড়া করে উড়িয়ে এনেও কলকাতায় স্ট্রেচারে রোগী নিতে হচ্ছে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.