রাজ্যের স্বার্থে ফের সংসদে দাবি জানিয়ে সরব হলেন বিপ্লব!!

 রাজ্যের স্বার্থে ফের সংসদে দাবি জানিয়ে সরব হলেন বিপ্লব!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-ফের সংসদে রাজ্যে জলপথে পণ্য পরিবহণের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে দাবি উত্থাপন করেন সাংসদ তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।এই বিষয়ে তিনি শুক্রবার কেন্দ্রীয় জাহাজ, বন্দর ও অভ্যন্তরীণ জলপথ বিষয়ক মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এদিন শ্রী দেব তার উত্থাপিত প্রশ্নে ২০১৩-১৪ সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত সারা দেশে এবং ত্রিপুরা রাজ্যে জাহাজ ও অন্যান্য জল যানের মাধ্যমে পণ্য পরিবহণের অগ্রগতি এবং নতুন কি পরিকল্পনা রয়েছে? এই বিষয়ে জানতে চান।
পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় বন্দর, জাহাজ চলাচল ও অভ্যন্তরীণ জলপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ত্রিপুরা প্রসঙ্গে একাধিক দাবি উত্থাপন করেন। বাংলাদেশের দাউদকান্দি হয়ে সোনামুড়ার শ্রীমন্তপুর পর্যন্ত জলপথের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা, সোনামুড়া ডাউকি এই প্রটোকল রুটটিকে উদয়পুর পর্যন্ত বাড়ানোর কাজে দ্রুততার বিষয়েও জোর দেন তিনি।তৎসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রকের সাথে আলোচনাক্রমে বাংলাদেশ অংশের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করারও দাবি জানান। সড়ক পথের তুলনায় জলপথে পণ্য পরিবহণ করা গেলে, ব্যয় অনেকটাই কমানো যাবে। যার ফলে কমবে জিনিষপত্রের দাম।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সাথে এদিনের আলোচনায় গোমতী নদীর নাব্যতা বাড়ানো, চিহ্নিত স্থানে সিঁড়ি তৈরি, নদীর পার্শ্ববর্তী পাড় সংরক্ষণ এবং বরাদ্দকৃত ভাসমান জে টি গুলির নির্মাণ প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার উপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।বিপ্লব কুমার দেব মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়ে ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী এই মর্মে ২৪.৫২ কোটি টাকার বরাদ্দ আসে।নয়টি নতুন জে টি নির্মাণ সহ হাওড়া নদীর খনন এবং সোনামুড়া দাউদকান্দি প্রটোকল রুট পর্যন্ত কুড়ি কিলোমিটার পর্যন্ত কাজের দ্রুততাও আলোচনায় প্রধান্য পায়।এর একটা বড় অংশ বাংলাদেশে পড়েছে।ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ হাই কমিশনের সাথে এই বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।উদয়পুর পর্যন্ত তা বর্ধিত হলে পণ্য পরিবহণ এবং বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা হবে।
তবে নাব্যতা বাড়ানোর জন্য খনন কাজের ফলে উঠে আসা বালি ও মাটি পার্শ্ববর্তী স্থানে ফেলার ক্ষেত্রে কোথাও কোথাও স্থানীয়দের আপত্তির ফলে, কাজে কিছুটা গতি কমে আসে।সেই খনন করা মাটি বা বালি অনেকটা দূরে ফেলতে গেলে, প্রকল্পের বরাদ্দর তুলনায় খরচ অনেকটাই বেড়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ অংশে কাজের নিম্নগতিও এই প্রকল্পের বাস্তবায়নে বিলম্বের আরও একটি অন্যতম কারণ। যার দ্রুত নিরসনে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার, এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, বিপ্লব কুমার দেব ২০১৮ সালের ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করার পরেই, ভারী ও মাঝারি পণ্য পরিবহণ খরচ কমানোর উদ্দেশে বাংলাদেশ হয়ে জল পরিবহণ পথকে চালু করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।২০২০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বিপ্লব কুমার দেবের প্রচেষ্টার ফলেই বাংলাদেশের দাউদকান্দি থেকে প্রথম ট্রায়াল রান হয় সোনামুড়ায়।দাবিগুলির যৌক্তিকতা মান্যতা দিয়ে দ্রুত সম্পন্ন করার বিষয়ে এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী দেবকে আশ্বস্ত করেছেন বলে জানা গেছে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.