চার জেলার জন্য দিলেন ১ কোটি পাঠালেন ১০ হাজার ব্যাগ খাদ্য!!
অনলাইন প্রতিনিধি :- ভয়াবহ বন্যায় রাজ্যের সব থেকে বেশি ও ক্ষতিগ্রস্ত চারটি জেলার জন্য পঁচিশ লাখ করে এক কোটি টাকা সহায়তার ঘোষণা দিলেন সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব। সাংসদ তহবিল থেকে জেলাশাসকদের মাধ্যমে এই অথ ব্যয় করা হবে। এছাড়াও সাংসদ শ্রীদেব ব্যক্তিগতভাবে সোমবার অমরপুর ও উদয়পুরে বন্যাকবলিত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য দুই লরিতে দশ হাজার প্যাকেট খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়েছেন। আগামীকাল আরও কয়েকটি বন্যাকবলিত এলাকার দুর্গতদের জন্য খাদ্যসামগ্রী পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন।
জানা গেছে, প্রায় একশজন শ্রমিক রবিবার সন্ধ্যা থেকে সারারাত এবং আজ (সোমবার) দিনভর খাদ্যসামগ্রী প্যাকেট করার কাজ করে চলেছেন। আরও খাদ্য (3 সামগ্রী প্যাকেট করার কাজ চলছে। প্রতিটি প্যাকেটেই রয়েছে পাঁচ কেজি করে চাল, পাঁচশ গ্রাম ডাল, পাঁচশ গ্রাম ভোজ্য তেল, এক কেজি করে আলু, পেঁয়াজ, সয়াবিন প্যাকেট (২৫০ গ্রাম), এক প্যাকেট লবণ এবং বিস্কুট। সোমবার এমন দশ হাজার প্যাকেট (ব্যাগ) অমরপুর এবং উদয়পুর পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল সকালেআরও কয়েকটি এলাকায় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, রবিবার বিকালে হরিয়ানা থেকে রাজ্যে আসেন সাংসদ শ্রীদেব। রাজ্যে এসেই দলের বৈঠকে অংশ নেন। সেই বৈঠক চলে গভীর রাত পর্যন্ত। সোমবার সকালেই তিনি বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে বেরিয়ে পড়েন। প্রথমে যান সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অমরপুর মহকুমায়। সেখানে ত্রাণ শিবিরগুলি পরিদর্শন করেন। কথা বলেন শিবিরে আশ্রিত অসহায় মানুষদের সাথে। এরপর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন। তার সাথে ছিলেন বিধায়ক রঞ্জিত দাস এবং প্রশাসনের আধিকারিকরা। অমরপুর মহকুমায় এখনো বহু এলাকা জলমগ্ন হয়ে আছে। বন্যার জল নামতে শুরু করলেও, তার গতি খুবই কম। ফলে এখনও বহু মানুষ ত্রাণ শিবিরে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। বহু মানুষের বাড়িঘর ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘর সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কতদিন লাগবে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
এখনও বহু এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করা যায়নি জলের কারণে। অমরপুর থেকে ফিরে উদয়পুরে বিভিন্ন বন্যাকবলিত এলাকা এবং ত্রাণ শিবিরগুলি পরিদর্শন করেন সাংসদ শ্রীদেব। তার সাথে ছিলেন এলাকার দুই বিধায়ক প্রণজিৎ সিংহ রায় এবং অভিষেক দেবরায়, উদয়পুর পুর পরিষদের চেয়ারম্যান সহ আরও অনেকে। শিবিরে আশ্রিতদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের সমস্যা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। সেখান থেকে শ্রীদেব শান্তিরবাজার অশ্বিনী ত্রিপুরা পাড়া স্কুলে ত্রাণ শিবির পরিদর্শনে যান। ওই অশ্বিনী পাড়াতেই মাটি ধসে দুই পরিবারের শিশু সহ সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। শোকাহত পরিবারের অন্যান্য লোকেরা ওই ত্রাণ শিবিরেই আশ্রয় নিয়েছেন। সাংসদ শ্রীদেব শোকাহত পরিবারের লোকজনদের সাথে কথা বলেন। তাদের যথাসম্ভব সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। কথা বলেছেন, শিবিরে আশ্রিত অসহায় মানুষদের সাথে। সাথে ছিলেন এলাকার বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং সহ অন্যরা।