মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, বন্ধ ইন্টারনেট,, কার্ফু জারি!!
রাজ্যে সম্প্রীতি নষ্ট করতে চাইছে ষড়যন্ত্রীরা : মুখ্যমন্ত্রী!!
অনলাইন প্রতিনিধি:-রাজ্যের শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নয়ন সহ্য হচ্ছে না একাংশের।তা নষ্ট করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একদল ষড়যন্ত্রী।মঙ্গলবার রাজধানীতে একটি রক্তদান শিবির শেষে ষড়যন্ত্রকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যারাই এই ধরনের চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের কোনও অবস্থায় ছাড় দেওয়া হবে না। ইতিমধ্যে পুলিশি তৎপরতাও শুরু হয়ে গেছে। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে মূর্তি ভাঙার ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নেই এমন প্রতিক্রিয়া দেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন আগরতলা জ্যাকশন গেটস্থিত একদন্ত সামাজিক সংস্থা আয়োজিত স্বেচ্ছা রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নজির গড়েছে
ত্রিপুরা।
বন্যায় রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।রাজ্যের ইতিহাসে এ রকম বন্যা পরিস্থিতি কখনও সৃষ্টি হয়নি।এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রাজ্যের বিপন্ন মানুষের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে।বিপন্ন মানুষের সহায়তায় রাজ্যের মানুষ ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতায় রাজ্য সরকার এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত আছেন। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক প্রতিনিধি দল রাজ্যে বন্যায়
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে গেছে।প্রতিনিধি দলটি দিল্লীতে গিয়ে রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে রিপোর্ট করবে। এনডিআরএফ তহবিল থেকে রাজ্যকে ইতিমধ্যেই বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রাথমিকভাবে চল্লিশ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য প্রশাসন, আরক্ষা দপ্তর, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, আপদা মিত্র, সিভিল ডিফেন্সের স্বেচ্ছাসেবক, সামাজিক প্রতিষ্ঠান, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি ত্রাণ সরবরাহ ও বিপন্ন মানুষের উদ্ধারে নিরলসভাবে কাজ করেছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রক্তদান প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রক্তদানের কোনও বিকল্প নেই।রক্ত পৃথকীকরণের মাধ্যমে একজন রক্তদাতা চারজন মুমূর্ষু রোগীর জীবন বাঁচাতে সক্ষম। রক্তদান এবং রক্ত মজুতের ক্ষেত্রে ভারসাম্য যাতে বজায় থাকে সেই বিষয়েও সচেতন থাকতে হবে।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর মুখ্যমন্ত্রী রক্তদান শিবির পরিদর্শন করেন এবং রক্তদাতাদের উৎসাহিত করেন।রক্তদান শিবিরে বাইশজন স্বেচ্ছায় রক্তদান ‘করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার।উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা সড়ক পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান বলাই গোস্বামী, কর্পোরেটর রত্না দত্ত, টিসিএ সভাপতি তপন লোধ, ত্রিপুরা হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিহ্বল নন্দী মজুমদার, ত্রিপুরা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের পেট্রন রতন সাহা, সমাজসেবী নাগাধিরাজ দত্ত প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে একদন্ত সামাজিক সংস্থার পক্ষ থেকে এক লক্ষ টাকা, আগরতলা বুক সেলার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে কুড়ি হাজার একশ এগারো টাকা, দুর্গা চৌমুহনী ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে পনেরো হাজার টাকা, নিউস্টার ক্লাবের পক্ষ থেকে দশ হাজার টাকা, সোসাইটি অব ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে পাঁচ হাজার এক টাকার চেক প্রদান করা হয়। এছাড়াও একদন্ত সামাজিক সংস্থার উদ্যোগে বস্ত্রদান কর্মসূচিও পালিত হয়। মুখ্যমন্ত্রী ও উপস্থিত অতিথিগণ দুঃস্থদের মধ্যে বস্ত্রদান করেন।