মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, বন্ধ ইন্টারনেট,, কার্ফু জারি!!
লাগামছাড়া বিমান টিকিট!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-সব কয়টি পণ্যের সর্বাধিক খুচরো মূল্য (এমআরপি) থাকলেও বিমান টিকিটের ক্ষেত্রে তা ব্যতিক্রমী।রাজ্যের যাত্রীদের ৪০ মিনিটের পথ পাড়ি দিয়ে কলকাতায় যেতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকাও দিতে হয়।পুজোর সময় বিমানের টিকিটের মূল্য আরও লাগামছাড়া হয়। বৃহস্পতিবার এভাবেই বিধানসভায় সরব হয়েছেন কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ।এই পরিস্থিতি থেকে রাজ্যের যাত্রীদের রেহাই দিতে তিনি রাজ্য সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ চেয়েছেন। তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের তরফে বিষয়টি জোরালোভাবেই কেন্দ্রের কাছে মেলে ধরা প্রয়োজন। রাজ্যের মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থা এবং রাজ্যের ভৌগোলিক অবস্থানের কথা বিবেচনা করে এ মর্মে ইতিবাচক উদ্যোগ চাইলেন বিধায়ক। এ বিষয়ে বিধানসভা থেকে একটি প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে পাঠানোর উদ্যোগ নিতেও তিনি আহ্বান রেখেছেন। বিষয়টি সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, বিমান টিকিটের চড়া মূল্যের বিষয়ে তারা অবহিত রয়েছেন।মন্ত্রী জানান, কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকে তারা চিঠিও দিয়েছেন।মন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকার চিঠি লিখতে পারবে। কেন্দ্র সরকারও বিমান টিকিটের মূল্য স্থির করে দিতে পারে না।বিমান টিকিটের মূল্য বেসরকারীভাবেই নিয়ন্ত্রিত হয়।এ নিয়ে কেন্দ্র কিংবা রাজ্য সরকারের বিশেষ কিছু করার নেই বলেও মন্ত্রীর বক্তব্যে ধরা পড়েছে।এদিন কংগ্রেস বিধায়ক বীরজিৎ সিনহার এক প্রশ্নের উত্তরে জানান, কৈলাসহর বিমানবন্দরে ছোট আকারের ২০ আসনের বিমান চলাচলের কাঠামো রয়েছে। এ লক্ষ্যে বর্তমানে প্রচেষ্টা চলছে।কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণের মন্ত্রকের একটি দল বিষয়টিকে বাস্তবে রূপ দিতে কাজ করছে। ওএলএস সার্ভের পরই যাবতীয় বিষয় চূড়ান্ত হয়ে যাবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেছেন।ছোট আকারের বিমান চলাচলের লক্ষ্যে তিনি যথেষ্ট ইতিবাচক সুর দিয়েছেন।তবে ব্যাপক খরচের জন্য জমি অধিগ্রহণের সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ বলে মন্ত্রীর বক্তব্যে ধরা পড়েছে।আগরতলার এমবিবি বিমানবন্দর খুব সহসাই আন্তর্জাতিক বন্দর হতে চলেছে বলেও পরিবহণ মন্ত্রী ইতিবাচক সুর শোনান। বিষয়টি নিয়ে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের সাথে তারা নিবিড় যোগাযোগ রাখছেন বলেও উল্লেখ করেন।তবে খোয়াই এবং কমলপুর এয়ারপোর্ট সচল করার লক্ষ্যে অবশ্য ইতিবাচক সুর শোনা যায়নি।