জম্মু-কাশ্মীররে উরি সেক্টরে সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত ২ জঙ্গি!!
শহরে মাফিয়া সংস্কৃতিতে নয়া সংযোজন ঘিরে গুঞ্জন!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে বর্তমানে জমি ও নিগো মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য এমনি জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে, রাজ্যবাসীর নাভিঃশ্বাস উঠেছে।এই রাজ্যে এখন জমি মাফিয়াদের দাবি মতো তোলা না দিয়ে জমি ক্রয়-বিক্রয় করা একপ্রকার অসম্ভব।এটাই এখন অলিখিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।জমি ও নিগো বাণিজ্য এখন সরকার ও প্রশাসনের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ প্রশ্রয়ে প্রাতিষ্ঠানিক রূপে পেয়েছে।তার সাথে এখন যুক্ত হয়েছে ক্লাবগুলির সীমাহীন দাদাগিরি।একাংশ ক্লাবের ভূমিকা এখন অনেকটাই খাপ পঞ্চায়েতের মতো। আইন ও বিচারের দায়িত্ব নিজেরাই কাঁধে তুলে নিয়েছে।ক্লাবের ফতোয়া অমান্য করার কারোও সাধ্য নেই।এখন আবার আগরতলা শহরে নতুন করে তালিবানি সংস্কৃতি, তালিবানি ফতোয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে।শহরে ফ্ল্যাট – ভাড়া এবং দোকান ভাড়া দিতে এবং নিতে গেলে ক্লাবের অনুমতি ও অনুমোদন নিতে হবে।এমনই এক ফতোয়া লক্ষ্য করা গেলো আগরতলা বনমালীপুর কেন্দ্রের মঠচৌমুহনী এলাকায়।মঠ চৌমুহনীর উডল্যাণ্ড পার্ক হোটেলের ঠিক উল্টোদিকে একটি বিল্ডিং বাড়ি এবং শাটার দেওয়া দোকানের সামনে ঝুলছে স্থানীয় ফ্লাওয়ার্স ক্লাবের ফতোয়া।তাতে স্পষ্ট
করে লেখা রয়েছে, ‘তমাল বর্ধন এবং শিখা রায় বর্ধনের ফ্ল্যাট এবং দোকান ক্লাবের আওতাধীন।ক্লাবের অনুমতি ছাড়া এই ফ্ল্যাট এবং দোকান ভাড়া দেওয়া কিংবা ভাড়া নিতে হলে ক্লাব কর্তৃপক্ষের নিকট যোগাযোগ করবেন।’ ফ্লেক্সে টাঙানো এই ফতোয়া দেখেই মনে হচ্ছে, এটি সর্বসাধারণের উদ্দেশে জারি করা হয়েছে।স্বাভাবিকভাবেই জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, আগরতলা শহরে কি তালিবানি সংস্কৃতির আমদানি হয়েছে?শহরে ফ্ল্যাট এবং দোকান ভাড়া দিতে গেলে এবং ভাড়া নিতে হলে মালিক- ভাড়াটিয়া উভয়কে স্থানীয় ক্লাবের অনুমতি অথবা অনুমোদন নিতে হবে। এমন নজিরবিহীন কাণ্ডের কথা তো এর আগে কোথাও দেখা যায়নি, শোনাও যায়নি। তাছাড়া অন্যের বাড়ি (ফ্ল্যাট) এবং দোকান কি করে ক্লাবের আওতাধীন হয়? এই রাজ্যে কি আইন, প্রশাসন বলতে কিছুই নেই?গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে পথচলতি মানুষের এই ফতোয়া দেখে অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠছে।
উল্লেখ্য, আজ থেকে সম্ভবত দুই-তিন বছর আগে আগরতলা মিলন সংঘ এলাকায় এমনই একটি ফতোয়া লক্ষ্য করা গিয়েছিল।তবে ওইটি ভাড়া দেওয়া বা নেওয়ার বিষয়ে নয়।ওইটি ছিলো জমি সংক্রান্ত। একেবারে মিলনসংঘ এলাকায় জাতীয় সড়কের পাশে একটি জায়গায় স্থানীয় ক্লাবের পক্ষ থেকে নোটিশ টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছিল।ক্লাবের অনুমতি ছাড়া এই জমি ক্রয়-বিক্রি করা যাবে না। এই নিয়ে পত্রিকায় খবর প্রকাশ হতেই পরদিন নোটিশ খুলে নেওয়া হয়েছিল।এখন আবার নতুন করে তালিবানি ফতোয়া দেখা গেলো শহরের মঠ চৌমুহনী এলাকায়। প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ যখন লাগামহীন হয়ে পড়ে তখনই এই ধরনের বিষয় ঘটতে থাকে। এমনটাই অভিমত জনগণের।