ভোক্তাদের বঞ্চিত করে খোলা বাজারে বিক্রি, তালা এক রেশনে!!

 ভোক্তাদের বঞ্চিত করে খোলা বাজারে বিক্রি, তালা এক রেশনে!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে গণবণ্টন ব্যবস্থায় রেশন সামগ্রী একাংশ রেশনশপ ডিলার ভোক্তাদের বঞ্চিত করে দিনের পর দিন গোপনে খোলাবাজারে বিক্রি করে দেওয়ায় ভোক্তারা ভীষণ বিপাকে পড়েছেন।কেন্দ্রীয় সরকার বিনামূল্যে গরিব ভোক্তাদের জন্য চাল দিলেও সেই চাল অসাধু রেশনশপ ডিলাররা খোলা বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে।এপিএল ভোক্তাদের কার্ডের বরাদ্দের চালও অসাধু রেশন ডিলার খোলা বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে।শুধু চালই নয়, মসুরি ডাল, চিনি, আটা ইত্যাদি সামগ্রীও রেশন ভোক্তাদের বঞ্চিত করে অবাধে খোলাবাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে।সরকারী ভতুর্কি মূল্যের লক্ষ লক্ষ টাকার রেশন সামগ্রী অসাধু রেশন ডিলাররা ভোক্তাদের বঞ্চিত করে বিক্রি করে দিলেও প্রশাসন ও খাদ্য দপ্তরের অবশেষে টনক নড়েছে। বুধবার সদর মহকুমাশাসক মানিকলাল দাসের নেতৃত্বে প্রতাপগড় জুয়েলস্ ক্লাব এলাকার ১৩১ নম্বর রেশনশপে অভিযান করা হয়।সে অভিযানে সদর খাদ্য কন্ট্রোলার প্রদীপ কুমার ভৌমিকও ছিলেন।অভিযানে রেশনশপের পজ মেশিনে চালের স্টক ও বিক্রয়ের তথ্য যাচাই করে বিপুল পরিমাণ চালের হদিশ মেলেনি।৩৪ কুইন্টাল চালের হদিশ মেলেনি।রেশনশপ ডিলার নারায়ণ আচার্যী খোলাবাজারে বিক্রি করে দেয় বলে অভিযানে প্রমাণ মিলেছে।তাছাড়া চলতি মাসের মসুরি ডাল ও রেশন ডিলার ভোক্তাদের দেওয়ার জন্য খাদ্য দপ্তরে টাকা জমা দেয়নি।তাই রেশন ভোক্তারা চলতি মাসে এখন পর্যন্ত দি কার্ডের বরাদ্দের ডাল পাননি।সদর মহকুমাশাসক ডিলার নারায়ণ আচার্যীর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে তিন দিনের সময়সীমা দিয়ে শোকজ নোটিশ দিচ্ছেন বৃহস্পতিবার।এদিকে বিপুল পরিমাণ রেশন সামগ্রী খোলা বাজারে বিক্রি করে দেওয়ার কারণে মঠ চৌমুহনীর ৬৫ নম্বর রেশনশপকে সাময়িককালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।সদর মহকুমাশাসক মানিকলাল দাস বুধবার আদেশে ৬৫ নম্বর রেশনশপ সাময়িক কালের জন্য বন্ধ করে দেন। ৬৫ নম্বর রেশনশপের ভোক্তারা যাতে নিয়মিত রেশন সামগ্রী পান সেই জন্য তার নিকটবর্তী ৫৩ নম্বর রেশনশপে সেই সুবিধা করে দেওয়া হয়েছে।এখন থেকে ৬৫ নম্বর রেশনশপের ভোক্তারা ৫৩ নম্বর রেশনশপ থেকে রেশন সামগ্রী নিতে পারবেন। ৬৫ নম্বর রেশনশপের ডিলার রঞ্জিত সাহার বিরুদ্ধে সদর মহকুমা প্রশাসনের তরফে আর ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে খাদ্য দপ্তর ও সদর মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।গত রবিবার সদর খাদ্য বিভাগের তরফে ৬৫ নম্বর রেশনশপে অভিযান চালানো হয়েছিল।তখন রেশনশপের পজ মেশিন যাচাই করে তথ্য তল্লাশি করে ধরা পড়েছে রেশন ডিলার রঞ্জিত সাহা ৬৮ কুইন্টাল চাল, ১৫ কুইন্টাল চিনি ও ১১১ কিলো মসুরি ডাল ভোক্তাদের বঞ্চিত করে খোলা বাজারে বিক্রি করে দেয়।তারপর সদর মহকুমাশাসক রেশনশপ থেকে খোলা বাজারে বিক্রি করে দেওয়া সব চাল, ডাল, চিনি বাজার থেকে কিনে এনে রেশনশপে মজুত করার জন্য।১০ সেপ্টেম্বর সেই সময়সীমা দিলেও ডিলার রেশনশপ থেকে খোলা বাজারে বিক্রি করে দেওয়া সেই রেশন সামগ্রী কিনে এনে রেশনে মজুত করেনি।তাই নির্দেশ অমান্য করায় ৬৫ নম্বর রেশনশপ এখন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন সদর মহকুমাশাসক।ডিলারের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এদিকে বড়জলার ১১১ নম্বর রেশনশপের ডিলার প্রতিমা সাহা ও অভয়নগরের ৩৩ নম্বর রেশন ডিলার সুমন চক্রবর্তীকে সদর মহকুমাশাসক প্রত্যেককে ৫০০০ টাকা করে আর্থিক জরিমানা করেছেন।তার পাশাপাশি রেশনশপ থেকে যেসব রেশন সামগ্রী খোলা বাজারে বিক্রি করে দেয় দুই রেশন ডিলার তারা সেই পরিমাণ রেশন সামগ্রী পুনরায় বাজার থেকে কিনে এনে রেশনে মজুত করেছে সদর মহকুমাশাসকের নির্দেশে।আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য তাদের কড়া সতর্ক করে নোটিশ দেন মহকুমাশাসক।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.