সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী হলেও অভিযান নেই এনফোর্সমেন্টের!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-আগরতলার বাজারগুলিতে সবজির মূল্য লাগামছাড়া অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেলেও মূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতেও মূল্যবৃদ্ধি রোধে প্রশাসন, এনফোর্সমেন্ট, কৃষি দপ্তর ঠুটো জগন্নাথের ভূমিকা পালন করেই চলেছে।ক্ষুব্ধ ক্রেতা সাধারণের প্রশ্ন সবজি বাজারে সব ধরনের সবজিতে আগুন মূল্য নেওয়া হলেও কেন রাজ্য সরকার ঠুটো জগন্নাথ।গরিব ও নিম্ন রোজগারে মানুষ সবজির আগুন মূল্যে বাজারে গিয়ে সবজি কিনতে পারছে না। ক্রয়ক্ষমতা নেই।অতিবৃষ্টি ও বন্যায় সবজি চাষে ক্ষতি হয়েছে এই দাবি করে একশ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী
লাগামছড়া মর্জিমাফিক সবজির মূল্য কেবল বৃদ্ধি করে চলেছে।পাইকারি সবজি ব্যবসায়ীরা লাগামছাড়া সবজির মূল্যবৃদ্ধি করায় খুচরো ব্যবসায়ীরাও তাই আগুন মূল্যে সব ধরনের সবজি ক্রেতার কাছে বিক্রি করছেন বলে খুচরো সবজি ব্যবসায়ীদের দাবি।কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, সবজি বাজার দেখভাল মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোথায় রাজ্য সরকার।রাজ্যে জনগণের সরকার, অথচ রাজ্যের মানুষের এতো দুর্ভোগ। ঝিঙা,বেগুন,বরবটি,লাউ, পটল, কাঁচামরিচ, সশা, করলা, উচ্ছে, কাঁকরোল, ঢেঁড়শ, চাল কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া সব সবজির মূল্য আকাশছোঁয়া।এদিকে সদর এনফোর্সমেন্ট টিম মূল্য যাচাইয়ের শুক্রবার জিবি বাজারে অভিযান করেছে। বিস্ময়ের ব্যাপার হলো এনফোর্সমেন্ট টিমের সরকারী অফিসাররা সবজি বাজারে গিয়ে শুধু আলু, পেঁয়াজের মূল্য যাচাই করলেও সবজি বাজারে কোনও সবজির মূল্য যাচাই করেননি।সেই কারণে অসাধু সবজি ব্যবসায়ীরা অবাধে সবজির যথেচ্ছ মূল্য নিচ্ছে। অসহায় ক্রেতা সাধারণের পকেট কাটছে বলে ক্রেতার অভিযোগ।এনফোর্সমেন্ট টিম জিবি বাজার এলাকায় খাবারের দোকানেও অভিযান করেছে। কয়েকটি খাবারের দোকানে নোংরাময় দশার পাশাপাশি বাসি ও অস্বাস্থ্যকর খাবার নিয়েছে।একটি মিষ্টির দোকানে দইয়ের ওজন কম পেয়েছে। মাটির পাত্র বাদ দিয়ে ৫০০ গ্রামের দুইয়ে ১৫০ গ্রাম ওজন কম পেয়েছে।ক্রেতা ঠকিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা অবাধে ব্যবসা করায় এনফোর্সমেন্ট টিম ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানিয়েছে এনফোর্সমেন্ট টিমের তরফে। সদর ডিসিএম অনিন্দ্র ভট্টাচার্য, সদর খাদ্য কন্ট্রোলার প্রদীপ কুমার ভৌমিক,মুখ্য খাদ্য পরিদর্শক শর্মিষ্ঠা দাস সহ লিগ্যাল মেট্রোলজি ও খাদ্য সুরক্ষা বিভাগের অফিসাররা ও এ দিনের অভিযানে ছিলেন।