রাজ্যে অস্তিত্ব নেই সরকারের বিপাকে মানুষ : জিতেন!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে
আইনের শাসনের কোনও অস্তিত্ব নেই।মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির পর হামলা, প্রাণঘাতী হামলা, মহিলাদের উপর হামলা, বন্যা দুর্গতের ত্রাণে অর্থ লুটপাট, পুজোর চাঁদার নামে জুলুমবাজি বন্ধ হচ্ছে না।এই অভিযোগ এনে চার দফা দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন পেশ করলো ত্রিপুরা বামফ্রন্ট কমিটি।
মুখ্যমন্ত্রী ডা.মানিক সাহার সাথে বৈঠকের পর মেলারমাঠ রাজ্য দপ্তরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরী জানান, রাজ্যে বর্তমানে নির্বাচিত সরকারের কোনও অস্তিত্ব নেই।জিতেনবাবুর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিলেও শাসক দল,রাজ্যের সাধারণ প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসন তা মানছে না।ফলে রাজ্যের গ্রাম, পাহাড়, জেলা, মহকুমা সহ রাজ্যব্যাপী শুধুমাত্র দুর্নীতি হচ্ছে।এর খেসারত দিচ্ছেন রাজ্যের প্রায় চল্লিশ লক্ষ মানুষ।
জিতেন চৌধুরীর অভিযোগ, রাজ্য সাধারণ প্রশাসনের একাংশ আধিকারিক এবং পুলিশ প্রশাসনের একাংশ আধিকারিক রাজ্যটাকে খাদের কিনারায় নিয়ে যাচ্ছে।এর পরিণতিতে রাজ্যে আইন শৃঙ্খলার কোনও অস্তিত্ব নেই।শাসক দলের আশ্রিত সমাজদ্রোহীদের মাধ্যমে রাজ্যে এক দলীয় জঙ্গল শাসন ব্যবস্থা চালু হয়েছে।প্রায় প্রত্যেকদিন রাজপথে মৃতদেহ মিলছে। অবাক করার বিষয় হল, কোনও তদন্ত ছাড়া পুলিশ বলে দিচ্ছে এসব নাকি আত্মহত্যার ঘটনা।বেকার যুবক যুবতীদের চাকরি প্রদান হচ্ছে না।উল্টো রাজ্যের গ্রাম,পাহাড় সহ রাজ্যব্যাপী যুবসমাজকে নেশার সাগরে ছেড়ে দেওয়া হলো।মহিলাদের উপর হামলা, নির্যাতন ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছে।মা,বোনেরা রাজপথে স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারছেন না। এমনকী সমাজদ্রোহীদের জন্য কন্যা সন্তানরা স্কুলে, কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে ভয় পাচ্ছে।এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে কোনও পদক্ষেপ নেই।উল্টো স্কুল, কলেজের সামনে মদের দোকান খুলে দিচ্ছে জনবিরোধী সরকার।
তার অভিযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, পরিবহণ,খাদ্য ব্যবস্থা সহ সর্বক্ষেত্রে বেহাল ত্রিপুরা। শিক্ষা ব্যবস্থা তো সম্পূর্ণ লাটে উঠেছে।শিক্ষা দপ্তরের ব্যর্থতায় বিদ্যাজ্যোতি স্কুলের পর এবার কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যন্ত শোচনীয় ফলাফল হল ছাত্রছাত্রীদের।রাজ্যের শিক্ষক-কর্মচারী,ব্যবসায়ী, কৃষক, জুমিয়া, শ্রমিক সহ রাজ্যবাসীর বেহাল দশা। তবে সরকার ব্যস্ত বিজ্ঞাপনে। পুজোর চাঁদার নামে ক্লাবগুলি জুলুমবাজি চালাচ্ছে।বন্যা দুর্গতদের পরিবারে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য যাচ্ছে না। বন্যায় যেসব পরিবারের সদস্যদের প্রাণ গেলো- এই সব পরিবার পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য থেকে বঞ্চিত।রাজ্যে বেহাল সরকার দৌলতে মানুষ বিপাকে পড়েছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে বামফ্রন্টের আহ্বায়ক নারায়ণ করের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীও আমাদের অভিযোগগুলি শুনলেন। এমনকী উপযুক্ত পদক্ষেপেরও আশ্বাস দিলেন।অবাক করার বিষয় হলো, প্রত্যেকবার আশ্বাস প্রদানের পর কোনও পদক্ষেপ হচ্ছে না।তবে এবার আমাদের বিশ্বাস অবশ্যই পদক্ষেপ হবে।এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে সিপিআই সম্পাদক যুধিষ্ঠির দাস,আরএসপির সম্পাদক দীপক কর,ফরোয়ার্ড ব্লকের কনভেনার পরেশ সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।