ভারতে নিষিদ্ধ চিনের রসুন রাজ্যের বাজারে ছয়লাপ!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-বাজারে
অবৈধ উপায়ে ভারতে নিষিদ্ধ চিনের রসুন ব্যাপকভাবে ঢুকে যাচ্ছে।চিনের রসুন আমদানি ভারত সরকার দশ বছর আগেই বন্ধ করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। আর সেই রসুন চোরাপথে, বাঁকা পথে ব্যাপকভাবে এখন আগরতলার বাজারে ঢুকে যাচ্ছে।এই ব্যাপারে বিএসএফ,রাজ্য পুলিশ- প্রশাসন, কেন্দ্রীয় শুল্ক দপ্তর পুরো নির্বিকার।শুধু আগরতলার বাজারেই নয়, ত্রিপুরার গোটা রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন বাজারে চিনের উজ্জ্বল সাদা রংয়ের অপেক্ষাকৃত বড় আকারের রসুন এখন প্রায় সব বাজারেই বাজারজাত করা হচ্ছে।এই রসুনে এক প্রকার কেমিক্যাল জাতীয় পাউডারের সাহায্যে সাদা দফদফে করায় রসুনে একটা দুর্গন্ধ রয়েছে।রসুনের খোসা ছাড়িয়ে কাঁচা রসুন মুখে দিলেই দুর্গন্ধে নাক চাপা দিতে হয়।অভিযোেগ চিনের এই রসুন অস্বাস্থ্যকর।কিন্তু তারপরও কীভাবে বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে চোরাপথে অবৈধ উপারে রাজ্যের বাজারে চলে আসছে তা নিয়ে গভীর দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে বিভিন্ন মহলে। ময়ানামা সীমান্ত দিয়েও অবৈধ উপায়ে চিনের রসুন ভারতে ঢুকছে।ত্রিপুরা রাজ্যের বাজারগুলিতে প্রধানত বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে পাচারকারীর চোরাপথে শয়ে শয়ে বস্তায় চিনের রসুন ঢুকিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা গুদামে মজুত করছে। মহারাজগঞ্জ বাজারে অসাধু পাইকারি ব্যবসায়ীরা চিনের রসুন দোকানে প্রকাশ্যেই মজুত করছে।আর মহারাজগঞ্জ বাজার থেকে সেই খুচরো চিনের রসুন বিক্রির জন্য প্রকাশ্যেই চলে যাচ্ছে আগরতলার বিভিন্ন বাজারে।রাজ্যের অন্যান্য বাজারগুলিতে ভারত সরকারের নিষিদ্ধ অস্বাস্থ্যকর চিনের রসুন বাজারজাত করে অসাধু ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছে। অনেকেই চিনের অস্বাস্থ্যকর রসুন খেয়ে পেটের রোগ সহ নানা রোগে ভুগছেন বলেও অভিযোগ।ভারতে বিক্রয় করা নিষিদ্ধচিনের রসুন প্রকাশ্যে বিক্রি করায় ক্রেতারাও সুন্দর সাদা দফদফে রসুন দেখে সেই অস্বাস্থ্যকর রসুন কিনে নিচ্ছেন।এদিকে ভারতে নিষিদ্ধ চিনের রসুন প্রকাশ্যে বিক্রি হওয়ায় ভারতের উৎপাদিত দেশীয় ভালো ও সুস্বাস্থ্যকর রসুন বিক্রিতেও ব্যবসায়ীরা মার খাচ্ছেন। তাতে দেশের কৃষকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।ক্ষতি হচ্ছে সরকারের রাজস্বের।অথচ ভারতের উৎপাদিত ভালো গুণমানসম্পন্ন রসুন দেখতে ততটা সাদা না হওয়ায় কিছুটা মাটির ময়লার মতো থাকায় একাংশ ক্রেতা চিনের সাদা দফদফে সেই অস্বাস্থ্যকর রসুনের দিকে নজর পড়ছে।
চিনের রসুন ভারতে বিক্রি নিষিদ্ধ হলেও বাংলাদেশে চোরাপথে কীভাবে ত্রিপুরায় ঢুকে যাচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।সীমান্ত প্রহরায় বিএসএফ কি করছে তা নিয়ে বিএসএফের দিকেও আঙুল উঠেছে।গোপন রফার বিনিময়ে একাংশ বিএসএফ এই অবৈধ ও বেআইনি পাচার কাজে বাধা না দিয়ে নির্বিকার থাকছেন বলেও অভিযোগপ্রকাশ্যেআগরতলার মহারাজগঞ্জ বাজার সহ রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে চিনের রসুন বিক্রি হলেও কোথায় রাজ্য প্রশাসন- পুলিশ তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।সদর এনফোর্সমেন্ট টিমের নজর কি এদিকে পড়ছে না প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও।কেন্দ্রীয় শুল্ক দপ্তর কেন অবৈধ উপায়ে বাংলাদেশে সীমান্ত ডিঙিয়ে চিনের রসুন আসায় ও বাজারজাত হওয়ায় উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও।