দুশ্চিন্তা বাড়ছে সরকারের, প্রতিশ্রুতির খেলাপ আন্দোলনে অনিয়মিতরা!!

 দুশ্চিন্তা বাড়ছে সরকারের, প্রতিশ্রুতির খেলাপ আন্দোলনে অনিয়মিতরা!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্য
সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও সরকারের আণ্ডার টেকিং সংস্থাগুলির হাজার হাজার অনিয়মিত কর্মচারীদের প্রতি রাজ্য সরকারের বঞ্চনা এক চরম সীমায় পৌঁছেছে। এমনটায় অভিযোগ অনিয়মিত কর্মচারীদের।দীর্ঘ বছর অনিয়মিত হিসাবে নিষ্ঠার সঙ্গে চাকরি করে চললেও রাজ্য সরকার নিয়মিত তাদের করছে না। খুব সামান্য বেতন পাচ্ছেন। ছুটিছাটা নেই।গত দুর্গা পুজোর সময়ও আবার বহু সংখ্যক অনিয়মিত কর্মচারীকে বোনাসও দেওয়া হয়নি।এবার পুজোর বোনাস পাবেন কিনা তারা নিশ্চিত নন।নিয়মিত না করায় ৬০ বছরে অবসরে গিয়ে কোনও পেনশনের সুবিধাও পাচ্ছেন না।খালি হাতে অবসরে গিয়ে পরিবার নিয়ে আরও অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়ছেন। রাজ্য সরকার অনিয়মিত কর্মচারীদের প্রতি চরম বঞ্চনা করছে বলে দীর্ঘদিন ধরেই অনিয়মিত কর্মচারীরা অভিযোগ করছেন।বিজেপি ২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসার আগে নির্বাচনী ইস্তেহার তথা ভিশণ ডকুমেন্টে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে সরকার ক্ষমতায় আসলে সমস্ত অনিয়মিত কর্মচারীকে নিয়মিত করা হবে।বিস্ময় ও তাজ্জব ব্যাপার হলো বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এসেছে সাত বছর অতিক্রান্ত হতে চলেছে।কিন্তু এখন কোনও দপ্তর বা সরকার অধিগৃহীত সংস্থার একজন অনিয়মিত কর্মচারীকেও নিয়মিত করেনি সরকার। বিজেপির ভিশন ডকুমেন্টে দেওয়া প্রতিশ্রুতি গত সাত বছরে সামান্যটুকু কার্যকরও হয়নি। বরং বামফ্রন্ট সরকারের সময় অনিয়মিত কর্মচারীদের দশ বছর চাকরি করলেই সেই সব অনিয়মিত কর্মচারী অনায়াসে নিয়মিত হয়ে যাওয়ায় যে নিয়ম চালু ছিলো বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর ছয় মাসের মধ্যেই সেই সুযোগ বাতিল করে দিয়েছে। বিজেপি সরকারের এই সিদ্ধান্তে নিয়মিতকরণ আটকে যাওয়ায় তাতেই অনিয়মিত কর্মচারীরা দীর্ঘ বঞ্চনার গভীর সংকটে পড়ে যান। রাজ্য সরকারের এই ভূমিকায় হাজার হাজার অনিয়মিত কর্মচারী ও তাদের পরিবার ক্ষোভে ফুঁসছেন। নিয়মিত বেতনক্রম না দেওয়ায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে সামান্য বেতন পেয়ে অনিয়মিত কর্মচারীরা চরম আর্থিক সংকটে পরিবারের ভরণপোষণ সামলাতে গিয়ে নিত্য নাজেহালও জেরবার হচ্ছেন।তারপরও অনিয়মিতদের নিয়মিতকরণের বিষয়ে বর্তমান রাজ্য সরকারের কোনও সদিচ্ছা দেখাচ্ছে না বলে ক্ষুব্ধ অনিয়মিত কর্মচারীদের অভিযোগ। আরও অভিযোগ, কর্মচারী সংঘ, বিচার মঞ্চ,ফেডারেশন সহ সরকারের লেজুর কর্মচারী সংগঠনগুলি চরম বঞ্চনার অবসানে অনিয়মিতদের নিয়মিতকরণের বিষয়ে রহস্যজনকভাবে মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে বলেও ক্ষুব্ধ অনিয়মিতদের নিয়মিতকরণের দাবিতে শীঘ্রই বৃহত্তর আন্দোলনে নামছে বলে অনিয়মিত কর্মচারীদের তরফে জানা গেছে।
এদিকে অখিল ভারতীয় সাফাই মজদুর সংঘের অনুমোদিত ডিডব্লিউএস পাম্প অপারেটার ও সেনিটেশন রাজ্য শাখার তরফেও মঙ্গলবার পাম্প অপারেটারদের নিয়মিতকরণের দাবি তুলেছে। দপ্তরের মুখ্য বাস্তুকারের কাছে নিয়মিতকরণের দাবিতে ডেপুটেশনও দেয়। ডিডব্লিউএসের পাম্প অপারেটররা দীর্ঘ বছর ধরে অনিয়মিত হিসাবে চাকরি করলেও তাদের নিয়মিত করা হয়নি। রাজ্য ডিডব্লিউএস দপ্তরে ৩৫০০ মতো পাম্প অপারেটর অনিয়মিত হিসাবে সামান্য বেতনে চাকরি করছেন। কাজের নির্ধারিত সময় থেকে অনেক বেশি সময় কাজ করলেও ন্যূনতম বেতনও দেওয়া হচ্ছে না পাম্প অপারেটরদের।গত বছর দুর্গা পুজোর বোনাসও পাননি অনিয়মিত পাম্প অপারেটররা।এদিন ডেপুটেশনে গতবার ও এবারের পুজোয় ডবল বোনাস দেওয়ার দাবি জানানো হয়।আট দফা দাবিতে ডিডব্লিউএস দপ্তরের মুখ্য বাস্তুকারের কাছে গণ ডেপুটেশন দেওয়া হয়। তার আগে দুপুরে রবীন্দ্রভবনের সামনে থেকে পাম্প অপারেটরের রাজ্য নেতৃত্ব তনুজ কুমার সাহার (রাজ্য প্রভারী এবিএসএমএস) নেতৃত্বে পাম্প অপারেটরদের একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করার পর আস্তাবল মাঠে গিয়ে শেষ হয়।তারপর তনুজ সাহার নেতৃত্বে মুখ্য বাস্তুকারের কাছে ৬ দফা দাবিতে গণ ডেপুটেশন দেওয়া হয়। তিনি জানান, নিয়মিতকরণ সহ দাবিগুলি শীঘ্রই পূরণ না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলন সংগঠিত করা হবে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.