জমি হস্তান্তর, মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ সুদীপের!!

 জমি হস্তান্তর, মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ সুদীপের!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-মণিপুরের একটি বেসরকারী সংস্থাকে অনৈতিকভাবে আটাশ একর জায়গা হস্তান্তর করার গুরুতর অভিযোগ আনলেন কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ।যার জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন। রবিবার আগরতলার কংগ্রেস ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে শ্রীবর্মণ বলেন,এক প্রকার জোর করে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের সত্তর কানির মতো জায়গা মণিপুরের সৃজা হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট সংস্থার নামে অ্যালটমেন্ট করে দেওয়ার পাকাপোক্ত বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তর নো অবজেকশন দিয়ে পশ্চিম জেলা শাসকের কাছে জায়গা হস্তান্তর করে দিয়েছে।
শ্রীবর্মণের অভিযোগ,এ ক্ষেত্রে কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হয়নি।রাজ্য মন্ত্রিসভাকে না জানিয়ে এই কাজ করা হয়েছে।রাজ্য মন্ত্রিসভার অনুমোদন না নিয়ে দরপত্রের প্রক্রিয়ায় না গিয়ে হাসপাতাল করার জন্য হ্যান্ড পিক পদ্ধতিতে এআরডিডি দপ্তরের বোধজংনগরস্থিত জায়গা তুলে দেওয়া হচ্ছে।যাকে সম্পূর্ণ বেআইনি বলে আখ্যায়িত করেছেন বিরোধী দলের বিধায়ক।তিনি বলেন, রাজ্যে হাসপাতাল হোক তা সবাই চায়।এতে রাজ্যবাসী লাভবান হয়।কিন্তু গোটা প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার সাথে হওয়া প্রয়োজন।
মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি আক্রমণ করে বিধায়ক শ্রীবর্মণ বলেন,রাজ্যে চলছে ‘ভাই আর বন্ধুর’ সরকার! মুখ্যমন্ত্রী ভাই এবং বন্ধুর দ্বারা পরিচালিত হচ্ছেন।ভাই এবং বন্ধুর স্বার্থ সুরক্ষিত করতেই এই প্রচেষ্টা। মন্ত্রিসভাকে অবহেলা অবজ্ঞা করে তৃতীয় পার্টির হাতে জমি তুলে দেওয়া হচ্ছে।কেবিনেটে বিষয়টি গেলে বাধা আসতে পারে।তাই এই মারাত্মক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।বিধায়ক শ্রীবর্মণ বলেন, এই কাজে মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের কতিপয় আধিকারিক সহ এআরডিডির অধিকর্তাও জড়িত রয়েছেন।তার প্রশ্ন, দপ্তরের মন্ত্রীর কাছে ফাইল না পাঠিয়ে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট কীভাবে দেওয়া হলো।যার প্রেক্ষিতে বিষয়টিকে অগণতান্ত্রিক বলে আখ্যায়িত করেছেন বিধায়ক।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে শ্রীবর্মণ বিষয়টি সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্টীকরণ চেয়েছেন।বিষয়টির সত্যতা রয়েছে কিনা তা স্পষ্ট করতেও বলেছেন।একই সাথে অনৈতিক ভাবে বেসরকারী সংস্থাকে জমি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া থেকে বিরত থাকতেও বলা হয়েছে। কংগ্রেস বিধায়ক বলেন,এত বড় দুর্নীতি চোখের সামনে হজম করা যায় না।যার প্রেক্ষিতে তিনি বিজেপি নেতৃত্বেরও হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।বিষয়টি ধামাচাপা না দিয়ে কৈফিয়ত তলব করতেও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বিরোধী দলনেতা সহ অন্যদেরও সোচ্চার হতে আহ্বান জানিয়েছেন। শ্রীবর্মণ বলেন, ‘চান্দা দো ধান্দা লো’ এই পলিসিতে চলছে রাজ্য সরকার।এই ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড অনেক হয়েছে।গণতন্ত্রের প্রহরী হিসাবে কংগ্রেস তার বিরোধিতা করে যাবে।প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলেন,ভালো মানুষের মুখোশটা উন্মোচিত হচ্ছে। সারা দেশের সাথে রাজ্যেও সুশাসনের নামে উপহাস চলছে।
তিনি বলেন,অনৈতিক ভাবে জায়গা হস্তান্তরের যে অভিযোগ বিধায়ক শ্রীবর্মণ এনেছেন তা থেকে সরকার বিরত না হলে কংগ্রেস আরও বড়সড় আন্দোলনে যাবে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.