সমাজদ্রোহী, মাফিয়া অত্যাচারে আতঙ্কিত নলছড়বাসী, ক্ষোভ!!

 সমাজদ্রোহী, মাফিয়া অত্যাচারে আতঙ্কিত নলছড়বাসী, ক্ষোভ!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :- সমাজদ্রোহী এবং মাফিয়াদের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নলছড়বাসী। শুধু ছে তাই নয়, গোটা বিধানসভা এলাকায় আইনশৃঙ্খলা নিয়েও উঠেছে বড় এর ধরনের প্রশ্ন। পুলিশ কার্যত জগন্নাথের এর ভূমিকা পালন করছে। এখানেই শেষ ভা। নয়, শাসক দলের গোষ্ঠীকোন্দলে এলাকার পরিস্থিতি আরও বিষাক্ত হয়ে তার উঠেছে। প্রায় প্রতিদিনই নলছড় মন্ত্রী বিধানসভার কোথাও না কোথাও নানা নাট অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে চলেছে। বুধবার এর লক্ষ্মী পুজোর রাতে সমাজদ্রোহী ও মাফিয়ারা নলছড় বাজারের ক্ষুদ্র ও ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ নম: ওরফে পলু নমঃ-এর দোকান ভাঙচুর করে কোনও কারণ ছাড়াই। এই ঘটনা রাত নয়টা নাগাদ। অভিযোগ, শাসক দলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই পলু নমঃ-এর দোকানে ভাঙচুর চালায় এবং তাকে মারধর করে। নলছড় বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী পলু নমঃ-এর বাড়ি পার্শ্ববর্তী বড়মুড়া গ্রামে। শাসক দল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের এই তাণ্ডবের খবর বড়মুড়া গ্রামে পৌঁছতেই রাতেই উত্তেজিত কয়েকশ গ্রামবাসী নলছড় বাজারে এসে হাজির হয়। গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে সমাজদ্রোহী মাফিয়ারা প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে রাত দুটোয় পুলিশ ছুটে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রাতের ঘটনার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। আজ সকাল নয়টা নাগাদ ক্ষুব্ধ জনগণ পাল্টা হামলা চালায়। নলছড় বাজারে শাসক দলের যুব মোর্চার নেতা এবং এলাকার বিধায়কের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ মিঠুন চৌধুরীর দোকানে তালা লাগিয়ে দেয় ক্ষুব্ধ জনগণ। শুধু তাই নয়, মিঠুন চৌধুরীর বাইকটিও নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। হামলা পাল্টা হামলায় নলছড় বাজারের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। জানা গেছে, ওই সময় এলাকার বিধায়কও বাজারে উপস্থিত ছিলেন। তিনি চেষ্টা করলেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় পরিস্থিতি এখনও থমথমে।
লক্ষ্মী পুজোর আগেরদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতেও দুই যুবককে বিনা কারণে মারধর করেছে সমাজদ্রোহী মাফিয়ারা। যাদের মারধর করা হয়েছে তাদের একজন হলেন স্বপন দাস, অন্যজনের নাম রাজু নমঃ। নলছড়বাসীর অভিযোগ, গোটা
বিধানসভা জুড়ে সমাজদ্রোহী এবং মাফিয়াদের কার্যকলাপ এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে, যেন আইনের শাসন – বলতে কিছুই নেই। সমাজদ্রোহী মাফিয়ারা যখন খুশি, যাকে খুশি মারধর করছে। তোলা আদায়ের জন্য হুমকি দিচ্ছে। দোকান ভাঙচুর করছে। অথচ পুলিশ সব জেনেও নীরব। গোটা বিধানসভা জুড়ে উচ্ছৃঙ্খল এবং আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়ে আছে। মানুষ সমাজদ্রোহী মাফিয়াদের ভয়ে মুখ খুলতে পারে না। এলাকার বিধায়কের নিষ্ক্রিয়তা, প্রচণ্ড অহংকার বিধানসভার জনগণকে অসহায় করে তুলেছে। প্যারাসুট ড্রপার তথাকথিত নেতা ২০২৩ সালে প্রথম বিধায়ক হয়েই নিজেকে বিশাল বড় কিছু ভাবতে শুরু করেছেন বলে অভিযোগ। সাধারণ মানুষ তাদের অভাব অভিযোগ এবং সমস্যা নিয়ে বিধায়কের কাছেই যেতে পারেন না। সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, কাউকেই তিনি পাত্তা দেন না বলে অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। প্রাক্তন বিধায়ক সুভাষ চন্দ্র দাসের সাজানো বাগানে ২০২৩ সালে দল তাকেই টিকিট দেয়। ফলে নির্বাচনি ময়দানে তাকে খুব একটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়নি বলে এলাকাবাসীর অভিমত। কেননা, প্রাক্তন বিধায়ক শ্রী দাস জমি তৈরি করেই রেখেছিলেন। প্রথমবার বিধায়ক হয়েই তার পা এখন মাটিতে পড়ছে না বলে অভিযোগ। ফলে কৃষি প্রধান নলছড়বাসী এখন আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। জানা গেছে, আজ বিকেলে বাজারে একটি শান্তি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠক হলেও শান্তি ফিরছে কই? আবার অশান্তির আশঙ্কায় ভুগছেন নলছড়ের মানুষ।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.