মার্কিন ভোট ও রাজনীতি!!

 মার্কিন ভোট ও রাজনীতি!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

৫ নভেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন।বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।অর্থনীতি থেকে গোটা বিশ্বের রাজনীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা চালিত হয়।তাই গোটা বিশ্ব তাকিয়ে থাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে।সেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে এবার গোটা বিশ্বের কৌতূহল তুঙ্গে। এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লড়াই হচ্ছে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী তথা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং শাসক ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী তথা বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি কমলা হ্যারিসের মধ্যে।এর আগে ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী হয়েছিলেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন।কিন্তু আচমকা তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। এছাড়া তার বয়সজনিত কারণও একটি বিষয় রয়েছে।পরিবর্তে জো বাইডেন এগিয়ে দেন তার সহকারী কমলা হ্যারিসকে। এরই মধ্যে মাস তিন চারেক আগে নির্বাচনি প্রচার চলাকালীন ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর আততায়ী হামলা হয়। এরপর থেকে মার্কিন মুলুকের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এক ভিন্ন পথে মোড় নেয়।
মার্কিন মুলুকের ভোটের অন্যতম বিশেষত্ব হলো আগে রাজ্যের রাজ্যের ভোট হয়ে যাওয়া।ইতোমধ্যে ৬ কোটির মতো ভোট পড়ে গেছে। টেলিভিশন, স্মার্টফোন এবং বিলবোর্ডে প্রচার চলছে।গত বারের ভোটের সাথে এবারের ভোটের বিস্তর ফারাক লক্ষ্য করা যাচ্ছে মার্কিন মুলুকে। এবার প্রচার বেশি হচ্ছে।দুই প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কমলা হ্যারিস গত কয়েকমাস ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত চষে বেড়াচ্ছেন। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এবার ভাবাচ্ছে মূলত সাতটি রাজ্য। সেই রাজ্যগুলিতে তিনি এবার প্রচারে মনোনিবেশ করেছেন বেশি করে।যে রাজ্যগুলি অতীতে রিপাকলিকানদের ততটা ভোট করেনি।এবারের ভোটে জিত ধরেই নিয়েছেন ট্রাম্প। ট্রাম্প বলে দিয়েছেন একমাত্র যদি ডেমোক্র্যাটরা জালিয়াতির আশ্রয় নেয় তাহলেই তিনি হারতে পারেন, না হলে নয়।গত নির্বাচনে অবশ্য ট্রাম্প হারার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ব্যাপক হাঙ্গামা হয়েছিলো।তার সমর্থকরা গোটা দেশজুড়ে অরাজকতা চালিয়েছিলো। এবার পাল্টা ট্রাম্প বলছেন কমলা হ্যারিসদের কথা।তার আশঙ্কা গণনা কিংবা আর যেখানে ভোট রয়েছে সেখানে হয়তো জালিয়াতির আশ্রয় নিতে পারে ডেমোক্র্যাটরা। এই অবস্থায় মার্কিন মুলুকে ভোট এবার জমজমাট হয়ে উঠেছে।
এবার মার্কিন মুলুকের ভোটের আরও বিশেষত্ব হলো প্রচারে উভয় প্রার্থীই আন্তর্জাতিক নানা ইস্যুতে কথা বলছেন।বাংলাদেশ থেকে গাজা, ইজরায়েল, ইউক্রেন, রাশিয়া, লেবানন, পশ্চিম এশিয়া সব ইস্যুই মার্কিন ভোটের প্রচারের অন্যতম ইস্যু।
রিপাবলিক পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্পের জমানায় ভারতের সাথে মার্কিন সম্পর্ক বেশ ভালোই ছিল।জো বাইডেনের সাথে ভারতের সম্পর্ক যে বেশ ভালো ছিল তা বলা যাবে না,আবার খারাপ ছিল
তাও বলা যাবে না।অর্থাৎ মন্দের ভালো সম্পর্ক ছিল ভারতের।সেই নিরিখে এবার ডোনাল্ড ট্রাম্প কিংবা কমলা হ্যারিস যিনিই নির্বাচনে জিতুন না কেন,ভারত তার অবস্থানে অটুট থাকবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের অর্থনৈতিক শক্তিধর রাষ্ট্র হলেও ভারতও এখন অর্থনীতিতে যথেষ্ট শক্তিশালী।সুতরাং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন আর ভারতকে হীনবল ভাবতে পারে না। ভারতকেও অন্যতম শক্তিধর রাষ্ট্র হিসাবে বিবেচনা করে মার্কিন।সুতরাং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভোট আগামীতে বিশ্ব অর্থনীতি, রাজনীতিতে কী বার্তা বয়ে আনতে চলেছে তা জানতে হলে আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে।আগামী ৫ নভেম্বর মার্কিন মুলুকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোট। এরপরই জানা যাবে কমলা হ্যারিস নাকি ডোনাল্ড ট্রাম্প- বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রের ক্ষমতার চেয়ারে কে বসতে চলেছেন।গোটা বিশ্ববাসী তা জানতে উদগ্রীব।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.