রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসে করার উদ্যোগ!!
বিজেপি জমানায় রাজ্যে কৃষকদের মাথাপিছু আয় দ্বিগুণ : কৃষিমন্ত্রী!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠার পর রাজ্যের কৃষকদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সরকারের আমলে প্রায় ৩৮ হাজার কৃষককে কৃষি যন্ত্রপাতি দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে এখন প্রতিটি লোক দুই বেলা খেতে পায়।এই সরকারের আমলে যেমন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে ঘর প্রাপকদের সংখ্যা হল প্রায় ছয় লক্ষ।৮২ শতাংশ পরিবারকে নলের মাধ্যমে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে।বক্তা রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ। সোমবার কুমারঘাটের পাবিয়াছড়া কৃষি দপ্তরের উদ্যোগে নির্মিত কৃষকদের জন্য সবজি শেডঘরের উদ্বোধন করেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ। এদিন কৃষিমন্ত্রী কুমারঘাটে কৃষকদের জন্য নির্মিত একটি ট্রেনিং সেন্টার এবং কৃষি উপ অধিকর্তার নতুন বাড়ি নির্মাণের জন্য ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী এ দিন কুমারঘাটের পাবিয়াছড়া বাজারে কৃষকদের জন্য নির্মিত শেডঘরের উদ্বোধন করে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, রাজ্যে বিজেপি জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের কৃষকদের উন্নয়নের জন্য নানা প্রকল্প গ্রহণ করেছে।এই সরকারের আমলে কৃষকদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে।তিনি বলেন, আগে কৃষকদের মাথাপিছু আয় ছিল ৬৫৮০ টাকা।আর এই সরকারের আমলে কৃষকদের আয় বেড়ে দাঁড়িয়ে ১৩৫৯০ টাকা।কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য এই সরকার কৃষি ক্ষেত্রে বাজেটও বৃদ্ধি করেছে। আগের সরকারের আমলে কৃষি ক্ষেত্রে বাজেট ছিল ৩৩০ কোটি টাকা।আর এই সরকারের আমলে কৃষির জন্য বাজেট করা হেেয়ছ ৫৩৯ কোটি টাকা।এছাড়াও ৩৮ হাজার কৃষকদের মধ্যে কৃষি যন্ত্রপাতি দেওয়া হয়। যার জন্য খরচ হয় দুই কোটি বিয়াল্লিশ লক্ষ টাকা। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর ৫৭৮২ কোটি টাকা সাবসিডিতে কৃষকদের সার-বীজ দেওয়া হয়েছে। এই দিন কৃষিমন্ত্রী বলেন, এই সরকারের মূল স্লোগান হচ্ছে আত্মনির্ভর ভারত আত্মনির্ভর ত্রিপুরা।রাজ্যে বিজেপি জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর কৃষকদের যেমন মাথাপিছু আয় বেড়েছে তেমনি সকল স্তরের জনগণের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।তিনি বলেন, এই বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার আগে রাজ্যের জনগণের মাথাপিছু আয় ছিল এক লক্ষ চারশ চুয়াল্লিশ টাকা আর এখন মাথাপিছু আয় হচ্ছে এক লক্ষ ঊনষট্টি হাজার টাকা।এদিন মন্ত্রী আগের বাম সরকারের সমালোচনা করে বলেন, আগের সরকারের পঁচিশ বছরের শাসনকালে সারা রাজ্যে বাহাত্তর হাজার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে ঘর দেওয়া হয়েছিল। আর এই সরকারের আমলে অর্থাৎ ছয় বছরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে ঘর দেওয়া হয় চার লক্ষ চুরানব্বই হাজার।বর্তমানে এই রাজ্যে বসবাসকারী সকলেই দুই বেলা ভাত খেতে পায়। কেউ অভুক্ত থাকে না। বর্তমান সরকারের আমলে ছয়টি জাতীয় সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে।এ দিন কৃষিমন্ত্রী সরকারের উন্নয়নের জয়গান গাইলেও এবং কৃষকদের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেও বাস্তবে কুমারঘাট মহকুমা লংতরাইভ্যালি মহকুমায় জল সেচের অভাবে কৃষি মার খাচ্ছে এবং অনেক কৃষি আঞ্চলিক অফিসগুলিতে কৃষকরা সার কীটনাশক ওষুধপত্র যে পাচ্ছে না সে বিষয়ে যেমন কিছু বলেননি, তেমনি বৃদ্ধি বিদ্যুৎ মাসুল নিয়ে কুমারঘাটে সম্প্রতি ভোক্তারা যে ক্ষোভ প্রকাশ করে সে বিষয়ও কিছু বলেননি।এদিনের উক্ত অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক ভগবান দাস কুমারঘাট মহকুমার মহকুমা শাসক এন এস চাকমা। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ রাখেন কৃষি অধিকর্তা। সভাপতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পাবিয়াছড়া বাজার কমিটির সভাপতি চম্পা লাল দেবরায়।