শিক্ষা বিপ্লবে ভেংচি কাটছে শহরের আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজধানী আগরতলার হেরিটেজ পার্ক সংলগ্ন আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় স্মৃতি বিদ্যামন্দিরে ব্যাপক আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।এ নিয়ে বিভিন্ন সময় দৈনিক সংবাদে তথ্যমূলক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।সেই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে গত ৫ নভেম্বর থেকে ওই বিদ্যালয়ে বিশেষ অডিট শুরু হয়েছে। এখনও সেই অডিট চলছে। গত ক’দিনের অডিট থেকে বিদ্যালয় সূত্রে যে তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে ব্যাপক আর্থিক অনিয়ম ধরা পড়েছে বলে খবর।
রাজ্যের ১২৫ টি বিদ্যাজ্যোতি স্কুলের মধ্যে আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় স্মৃতি বিদ্যামন্দির একটি।এখানে নার্সারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত রয়েছে। মূলত অভিযোগ, বিদ্যালয়ের উন্নয়ন তহবিল থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ নয়ছয় এবং অপব্যবহার। যেমন পিএফএমএস স্কিম, সমগ্র শিক্ষা ফান্ড, নিপুণ কর্ণার ফান্ড, ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষামূলক ভ্রমণের ফান্ড, ইকো ক্লাব ফান্ড, অটল টিংকারিং ল্যাব ফ্যান্ড, ছাত্র-ছাত্রীদের বিত্তিমূলক শিক্ষা ফান্ড এমন একাধিক স্কিমের অর্থ ব্যাপক নয়ছয় হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রকল্পের অর্থ সঠিকভাবে ব্যয় না করে ভুয়ো বিলের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বিস্ময়ের ঘটনা হলো, বিদ্যালয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ ব্যয় করার জন্য নিয়ম অনুযায়ী কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকাকে পৃথকভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। বিদ্যালয়ের ইনচার্জ নিজেই সব কিছু করছেন বলে অভিযোগ।একাধিক প্রকল্পের অর্থ এলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।তিনজনের অডিট টিম গত ৫ নভেম্বর থেকে অডিট করা যাচ্ছে। এর মধ্যে বেশ কিছু অসংগতি পেয়েছে বলে খবর।এখানেই শেষ নয়, শিক্ষক- শিক্ষিকাদের হাউস রেন্ট অ্যালাউন্স এবং মেডিকেল বিল নিয়েও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।যেমন যারা হাউস রেন্ট পাওয়ার কথা নয়, তারা হাউসরেন্ট অ্যালাউন্স নিচ্ছে। মেডিকেল বিল নিয়েও প্রচুর অসংগতি
রয়েছে।বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২২ অক্টোবর পশ্চিম জেলার জেলা শাসক বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসেছিলেন।বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন নিয়েও বড় ধরনের প্রশ্ন উঠেছে।গত বছর এই বিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ৫৮ জন ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষা দিয়েছিল।এর মধ্যে ৪৩ জন ছাত্র- ছাত্রী ইংরেজি বিষয়ে পাস করতে পারেনি। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীতে মোট ৪৯ জন ছাত্র ছাত্রী আছে।কিন্তু শিক্ষক-শিক্ষিকা আছেন ২৫ জন।অথচ অন্য বিদ্যালয় গুলিতে শিক্ষকের অভাব।এখানেই শেষ নয়, এই বিদ্যালয়ে স্ট্যার্টিটক্স, ফিলোসফি এবং এডুকেশন এই তিনটি বিষয়ের একজন ছাত্র-ছাত্রীও নেই।অথচ তিনটি বিষয়েরই বিষয় শিক্ষক রয়েছেন।এরা মাসে মাসে বিনা কাজে বেতন নিচ্ছেন।অথচ এই শহরেই অন্য বিদ্যালয়ে তিনটি বিষয়ের ছাত্রছাত্রী আছে, কিন্তু শিক্ষক নেই।জেলাশাসক এ সবকিছুই দেখে গেছেন।এই হচ্ছে শিক্ষার হাল! অথচ সরকার এবং শিক্ষা দপ্তর শিক্ষার জয়ধ্বনি করছে।