রাজ্যের শান্তি-সম্প্রীতি ঐক্য রক্ষায় মুখ্যমন্ত্রীর সাথে বৈঠক জিতেনের!!

 রাজ্যের শান্তি-সম্প্রীতি ঐক্য রক্ষায় মুখ্যমন্ত্রীর সাথে বৈঠক জিতেনের!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের মন্ত্রী সুধাংশু দাস সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছেন। মন্ত্রীর এই সাম্প্রদায়িক উস্কানির দৌলতে, গণ্ডাছড়া, কৈতরাইবাড়ি, উত্তর ত্রিপুরার কদমতলা ব্লকে পানিসাগর মহকুমার পেকুছড়াতে বীভৎসতম, মর্মান্তিক ঘটনাগুলি হলো। এই অভিযোগে মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে আজ রাজ্যের রাজধানী শহর আগরতলায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করলো সিপিএম ছাত্র- যুবরা।এমনকী শনিবার দুপুরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহার কাছেও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক উস্কানির অভিযোগে নালিশ জানান বিরোধী দলনেতা জিতেন চৌধুরীর নেতৃত্বে সিপিএম প্রতিনিধিদল।
এদিন দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর মেলারমাঠ রাজ্য দপ্তরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরী বলেন, আমাদের গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। তবে এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রমাণ সহ সবতথ্য তুলে ধরা হয়েছে। যাতে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হয়।
জিতেন চৌধুরীর অভিযোগ, রাজ্যে বর্তমানে জাতি-উপজাতিদের মধ্যে অবিশ্বাস,দ্বন্দ্ব তৈরি করা হচ্ছে।দুই ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে বিভেদ তৈরি করা সহ দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে। শাসকদল মানুষের জন বিক্ষোভকে সাময়িকভাবে দমন করার জন্যেই এসব করছে। তাই একজন মন্ত্রী বিভিন্ন সভা এবং সামাজিক মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছেন প্রত্যেকদিন। তবে তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ অধরা।তাই গণ্ডাছড়া, কৈতরাইবাড়ি, কদমতলা, পানিসাগরের পেকুছড়াতে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে হামলা, লুটপাটের ঘটনাগুলি হলো। এমনকি এই ঘটনার প্রভাব এখন রাজ্যব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে।তাই রাজ্যের শান্তি-সম্প্রতি এখন প্রশ্নের মুখে।বিধায়ক ইসলাম উদ্দিন, প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দেকে পাশে বসিয়ে তিনি বলেন,মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সরকারী সাহায্য প্রদানেরও দাবি করা হয়।তিনি রাজ্যে যাতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তাই রাজ্যবাসীকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি শান্তি, সম্প্রতি রক্ষারও আহ্বান জানান।
প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দে বলেন,রাজ্যের গ্রাম, পাহাড়ে কাজ ও খাদ্য নেই। রাজ্যে বিজ্ঞাপনের সরকার চলছে। বেকারের চাকরি হচ্ছে না। উল্টো রাজ্যের চাকরি যাচ্ছে বহিঃরাজ্যে। তবে পুলিশের ভূমিকা সর্বক্ষেত্রে ঠিক হচ্ছে না। ১৬৩ ধারা বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার জন্যে প্রয়োগ হচ্ছে। তিনি গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষায় সকলকে রাজপথে নামার আহ্বান জানান।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.