ক্ষমতার আস্ফালন, কমিশনে দোষী সাব্যস্ত ডিএসপি প্রসূন!!

 ক্ষমতার আস্ফালন, কমিশনে দোষী সাব্যস্ত ডিএসপি প্রসূন!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-বেআইনিভাবে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে চিকিৎসককে মারধর করার অভিযোগে রাজ্য পুলিশের ডিএসপি প্রসূনকান্তি ত্রিপুরার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করলো রাজ্য মানবাধিকার কমিশন।শুধু তাই নয়, এই ঘটনার জন্য রাজ্য আরক্ষা দপ্তরকে নিগৃহীত চিকিৎসককে ২৫ হাজার টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সুপারিশ করেছে।ক্ষতিপূরণের অর্থ অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার প্রসূনকান্তি ত্রিপুরার বেতন থেকে কেটে নেওয়ার সুপারিশ করেছে কমিশন। কমিশনের এই সুপারিশ আগামী একমাসের মধ্যে কার্যকর করার জন্য রাজ্য পুলিশের ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।গত ৬ নভেম্বর কমিশন এই নির্দেশ দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ জানুয়ারী, ২০২৪ ইং রাত সোয়া দশটা নাগাদ রাজধানীর অভয়নগর (জগৎপুর) এলাকার বাসিন্দা ডা. কৌশিক দেবনাথ বাড়ির সামনে দাঁড়িয়েছিল ডেলিভারি বয়ের কাছ থেকে ফুড আইটেম গ্রহণ করার জন্য। তখন তিনি রাস্তায় দেখেন বেশ কয়েকজন যুবক এবং একটি মেয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করছে। কী নিয়ে ঝামেলা এটা দেখার জন্য ডা.দেবনাথ কিছুটা এগিয়ে গেলে আচমকা ওই যুবতি
ডা. দেবনাথের হাত থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় এবং তাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়।বাড়ির সামনে হৈ চৈ শুনে তখন ডা. কৌশিক দেবনাথের পিতা বিনয় দেবনাথ বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখেন তৎকালীন আমতলি থানার এসডিপিও প্রসূনকান্তি ত্রিপুরা সহ প্রায় ১৫/২০ জন যুবক মিলে বিনয়বাবুর ছেলে কৌশিককে মারধর করছে। প্রসূনকান্তি ত্রিপুরা বিশ্রী ভাষায় গালাগালি করছে এবং কৌশিককে মারার জন্য নির্দেশ দিচ্ছে।শুধু তাই নয়, মারধর করার পর ডা. কৌশিক দেবনাথকে লাথি দিয়ে গাড়িতে তুলে অভয়নগর পুলিশ আউট পোস্টে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপার অভয়নগর আউট পোস্টে ছুটে আসেন। এই ঘটনা জনমনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। কেননা, ঘটনা এনসিসি থানার অন্তর্গত হলেও প্রসূনকান্তি ত্রিপুরা আমতলি থেকে ছুটে আসেন বেআইনিভাবে। শুধু তাই নয়, তার ছেলে এবং মেয়ের পক্ষ নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিনা কারণে ডা. কৌশিক দেবনাথের উপর হামলে পড়ে। এই ঘটনা সেই সময়ে সংবাদ মাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে এবং একজন পুলিশ অফিসারের এমন অনৈতিক কার্যকলাপে রাজ্যজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠে।
পরবর্তীকালে ডা. কৌশিক দেবনাথের পিতা বিনয় দেবনাথ ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ করে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন। মামলা নম্বর ১১/২০২৪। অভিযোগ গ্রহণ করেই কমিশন বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুরো ঘটনার তদন্ত করে। সেই তদন্তে ডিএসপি প্রসূনকান্তি ত্রিপুরা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তিনি অনৈতিকভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। কমিশন বিভিন্ন সাক্ষ্যবাক্য গ্রহণ করেছেন। যাবতীয় তদন্ত রিপোর্ট পর্যালোচনা করে কমিশন পুলিশের ডিএসপি প্রসূনকান্তি ত্রিপুরার বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানা এবং তার বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্টাল প্রসেডিং করার সুপারিশ করেছে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.