১১৪ ফুট লম্বা ‘মোরগ’জিতল গিনেস রেকর্ড!!

 ১১৪ ফুট লম্বা ‘মোরগ’জিতল গিনেস রেকর্ড!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-এই ‘মোরগ’কে অতিকায় বললেও কম বলা হবে।১১৪ ফুট লম্বা। মুরগি বা মোরগ যেমন হয়, এটিও তাই।লম্বায় ১১৪ ফুট ৭ ইঞ্চি।তেমনই সম-আয়তনের এটির দৈর্ঘ্য-প্রস্থ।অবিশ্বাস্য মনে হলেও এই ‘মোরগ’ সম্প্রতি পুরনো বিশ্ব রেকর্ড ভেঙে দিয়ে গিনেস বুকে নাম তুলেছে।
না,রক্তমাংসের মোরগ অবশ্যই নয়।আসলে এটি মোরগ আকৃতির একটি ভবন।এর ঠিকানা ফিলিপিন্সের নেগ্রোস অক্সিডেন্টাল নামের একটি দৃষ্টিনন্দন দ্বীপের ক্যাম্পেস্টোহান হাইল্যান্ড রিসোর্টে।এই দ্বীপ- রাজ্যের রাজধানীর নাম বাকোলোড। মোরগাকৃতির এই সুবিশাল ভবনটির মালিক রিকার্ডো ‘তান।এই ভবনের আকার-আকৃতি,বিশালতায় বিস্মিত হয়েছে গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ,নিজেদের ওয়েবসাইটে তারা এমনটাই জানিয়েছে।গিনেস কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছেন, মোরগাকৃতির এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভবন।এই ভবনের পোশাকি নাম ‘মানক নি ক্যানো গোয়াপো’। এই ভবন আদতে একটি হোটেল।
স্থাপত্য শৈলী ও নান্দনিকতার ছোঁয়ায় তৈরি বিশ্বে অসংখ্য দৃষ্টিনন্দন ভবন রয়েছে।সেটা বিশ্বের সর্বোচ্চ উঁচু ভবন বুর্জ খলিফা কিংবা তুরস্কের অটোম্যান সাম্রাজ্যের প্রাসাদ।এই ভবন গুলি সব সময়ই বিস্মৃত করেছে বিশ্ববাসীকে।সেই তালিকাতেই এবার জুড়ে গেল এই মোরগ আকৃতির ভবনটি।বিশ্বের সর্ববৃহৎ মোরগাকৃতির ভবন হিসাবে গিনেস বুকের স্বীকৃতি পেতে হলে দরকার ছিল, এমন একটি মোরগাকৃতির ভবন যার উচ্চতা হতে হবে ৩০ মিটার, দৈর্ঘ্যে ২০ মিটার এবং প্রস্থে ১০ মিটার।সেখানে মানক নি ক্যানো গোয়াপো উচ্চতায় ৩৪.৯১৩ মিটার (১১৪ ফুট ৭ ইঞ্চি), প্রস্থে ১২.১২৭ মিটার (৩৯ ফুট ৯ ইঞ্চি) এবং দৈর্ঘ্যে ২৮.১৭২ মিটার (৯২ ফুট ৫ ইঞ্চি)।এই মোরগাকৃতিরর ভবনটি এতটাই বড় যে অনেক দূর থেকে সেটিকে লক্ষ্য করা যায়।অভিনব এই হোটেল তৈরির ভাবনা গোটা ফিলিপিন্সে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে।
মোরগ আকৃতির এই ভবনটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে।এতে মোট ১৫টি ঘর রয়েছে। প্রতিটি ঘরে এসির ব্যবস্থা রয়েছে।অবাক করা ব্যাপার হল,এসির বাইরের যন্ত্রটি ভবনের বাইরে থেকে দেখা যায় না। হোটেলের মালিক রিকার্ডো (কানো গোয়াপো) তান বলেন, ‘আমার এরকম একটি অদ্ভুত আকৃতির হোটেল বানানোর পিছনে একটাই কারণ, যাতে অনেক দূর থেকে ভবনটি আগত অতিথিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে।’

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.