সুশাসনের নমুনা! ৮ মাসেই ২৭ কোটির রাস্তা কঙ্কালসার!!

 সুশাসনের নমুনা! ৮ মাসেই ২৭ কোটির রাস্তা কঙ্কালসার!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-আট মাস
যেতে না যেতেই পাকা রাস্তায় ঘাস উঠেছে। কোথাও কোথাও পিচ রাস্তার কঙ্কালসার চেহারা বেরিয়ে যাচ্ছে। ফলে গোটা রাস্তারগুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কাঞ্চনপুর পূর্ত দপ্তরের আওতাধীন ভাল্লুকছড়া- খেদাছড়ায় বিশ্ব ব্যাঙ্কের বরাদ্দ প্রায় সাতাশ কোটি টাকার রাজ্য পূর্ত দপ্তরের আওতাধীন এই রাস্তাটি নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সড়ক নির্মাণের কাজকর্ম নিয়ে প্রথম দিকে দপ্তর কঠোর হলেও বর্তমানে সড়কের নির্মাণকাজটি নিয়ে সর্বত্র অভিযোগ উঠেছে। কাঞ্চনপুর পূর্ত দপ্তরের আওতাধীন ভাল্লুকছড়া- খেদাছড়ায় বিশ্ব ব্যাঙ্কের বরাদ্দ টাকায় নতুন রাস্তা নির্মাণ করা চলছে। যার ওয়ার্ক অর্ডার নম্বর F.8(86)/EE/KCP/44406-22 date 17/01/24 Estimate ছাব্বিশ কোটি পনেরো লক্ষ ছয়ত্রিশ হাজার সাতশো সাঁইত্রিশ টাকা।বিশ্ব ব্যাঙ্কের
বরাদ্দ টাকায় পঁয়ত্রিশ কিলোমিটার এই রাস্তার জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে,কিন্তু প্রথম দিকে ওই রাস্তার নজরদারি যেভাবে চালানো হয়েছিল বর্তমানে কোনও নজরদারি নেই। কাঞ্চনপুর পূর্ত দপ্তরের নির্বাহী বাস্তুকার মিল্টন রিয়াং জানান বিশ্ব ব্যাঙ্কের বরাদ্দ টাকায় নির্মীয়মাণ রাস্তার কাজে কোনও ফাঁকি দেওয়া যাবে না। রাস্তার কোনও কোনও স্থানে কাজ নিয়ে অভিযোগ আছে তবে সেগুলি নির্মাণকারী সংস্থ। ঠিক করে দেবে বলে তিনি জানান। নির্বাহী বাস্তুকার মিল্টন রিয়াং আরও জানান, কয়েকদিন আগে একটি প্রকৌশলী টিম বিশ্বব্যাঙ্কের বরাদ্দ টাকায় নির্মিত এই রাস্তাটি পরিদর্শন করে গেছেন। রাস্তায় যেসব ত্রুটি আছে সেগুলো ঠিক করার জন্য নির্মাণকারী ঠিকাদার সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এদিকে, রাজ্য পূর্ত দপ্তর, এনএইচ এবং প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার আওতাধীন সড়ক নির্মাণকাজ নিয়ে সংশ্লিষ্ট জনসাধারণের সীমাহীন অভিযোগ উঠেছে।কিন্তু রাজ্য সরকার কোনও তৎপরতা বা পদক্ষেপ নিচ্ছে না।দেখা যাচ্ছে রাজ্য সরকার কিছু অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনীয়ারদের পূর্ত দপ্তর,
প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার কাজ দেখার জন্য কন্ট্রাক্ট বেসিস নিযুক্তি দিয়েছে।যাদের নিযুক্তি দিয়েছে তাদের অতীত ইতিহাস ভালো নয়। তাদের চাকরি জীবনে অনেক কেলেঙ্কারি আছে। তাদের একাংশ কাজের ঠিকাদার সংস্থা থেকে উৎকোচ দক্ষিণা নিয়ে সব ঠিক হ্যায় রিপোর্ট দিচ্ছে।
এদিকে, ভারত সরকারের নির্মাণ সংস্থা এনএইচআইডিসিএল জাতীয় সড়কে অধিকাংশ রাস্তা নির্মাণের সুপারভিশনের নামে ব্যাপক ঘোটালা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দেখা যাচ্ছে কাঞ্চনপুর মোটরস্ট্যান্ড এলাকায় জোড়াতালি দিয়ে বরাদ্দ কোটি টাকার ড্রেনের কাজ করা হচ্ছে। লালছড়া-কাঞ্চনপুর এই নির্মীয়মাণ সড়কে একটা সময় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রচণ্ড খারাপ ছিল। যান চালকরা জীবনের ঝুকি নিয়ে গাড়ি চালাতো কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমে পাল্টে গেছে। এই ডবল লেনের রাস্তা ঘিরে প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনজাতিদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু কাজের গুণগতমান নিয়ে সর্বত্র অভিযোগ উঠেছে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.