নিষিদ্ধ চিনা রসুন ডেকে আনছে স্বাস্থ্য সংকট!!

 নিষিদ্ধ চিনা রসুন ডেকে আনছে স্বাস্থ্য সংকট!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-বাংলাদেশ হয়ে ভারতের বাজারে আসা চিনা রসুনের বিরুদ্ধে প্রতিবেশী পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হলেও নিরুত্তাপ ত্রিপুরা সরকার।স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক এই রসুনগুলি ২০১৪ সালেই ভারতে নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছিল।মোটা কোয়ার এই রসুন এরপরও মাঝেমধ্যেই চলে আসতো সীমান্তের কাঁটাতার ডিঙিয়ে। কিন্তু এ বছর আর কোনও রাখঢাক নেই।রাজধানী আগরতলায় বড় বাজারগুলি এবং বড় মুদির দোকানগুলি বাদ দিলেও কোথাও দেশি রসুন মিলছে না। সর্বত্র হরহামেশা বিক্রি হচ্ছে মোটা কোয়া চিনা রসুন।
চিন দেশে চাষের সময়ে রসুন ক্ষেতে যে রাসায়নিক ব্যবহার করে থাকে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক জেনে ভারত সরকার চিনের রসুন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল।পরীক্ষায় চিনা রসুনে ছত্রাকের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল।বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে,চিন থেকে আসা রসুনে তারা মিথাইল ব্রোমাইড নামে রাসায়নিকের উপস্থিতি খোঁজে পান।
চিনা কৃষকরা রসুন ক্ষেতে কীটনাশক হিসেবে এর ব্যবহার করে থাকে নির্বিচারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, নিয়মিত মিথাইল ব্রোমাইড পেটে গেলে স্বাস্থ্য সংকট অনিবার্য। লিভার-কিডনি বিকল হতে পারে। স্নায়ুর সমস্যা দেখা দিতে পারে,হারিয়ে যেতে পারে দৃষ্টিশক্তির স্বাভাবিকতা।
এরপর থেকেই ভারতের বাজারে চিনা রসুন নিষিদ্ধ হয়। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রতি বছরই কিছু না কিছু
পরিমাণে চোরাই পথে চিনা রসুন ঢুকিয়ে থাকে।এ বছর বন্যা ও অন্য কোনও কারণে বাজরে নিত্য পণ্যসামগ্রির দাম বেশি থাকায় ব্যবসায়ীরা চিনা রসুনে গুদাম ভরিয়ে নিয়েছে।১৮ কেজি রসুনের বস্তাগুলি সহজেই কাঁটাতারের উপর দিয়ে এপার-ওপার করা যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার মহারাজগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা গেছে পাইকারের দোকানে-গদিতে প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে চিনা রসুন। এই বাজারে খুচরো মূল্যে প্রতি কিলো চিনা রসুনের দাম তিনশো টাকা কিলো। পাশাপাশি দেশি রসুন চারশো টাকায় কিলো বিক্রি হচ্ছে সন্ধ্যারাতে।
বাজারের খবর অনুযায়ী বেশি লাভের জন্য চিনা রসুনে আগ্রহ বিক্রেতাদের। কাঁটাতারের বেড়া থেকে বাজারে পৌঁছানো অবধি প্রতি কিলো চিনা রসুনের দাম পড়ে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা।এই দরে কিনে ভোক্তার কাছে তিনশো টাকা কিলো দরে বিক্রি করা হয়। অন্যদিকে দেশি রসুন প্রতি কিলো ৩৬০ থেকে ৩৭০ টাকায় কিনে চারশো টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে।চিনা রসুন একদিকে চড়া লাভের মুখ দেখাচ্ছে অন্যদিকে ডেকে আনছে স্বাস্থ্য সংকট।এর মোকাবিলা খাদ্য দপ্তরের পরিদর্শকদের পক্ষে কতটা সম্ভব সেটি প্রশ্নাতীত নয়।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.