যাত্রী সংকটে শ্যামলী, শূন্যের কোঠায় বাংলাদেশে রপ্তানি!!

 যাত্রী সংকটে শ্যামলী, শূন্যের কোঠায় বাংলাদেশে রপ্তানি!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-শনিবার ভায়া ঢাকা আগরতলা-কলকাতা শ্যামলী বাস চলবে, কৃষ্ণনগর টিআরটিসি থেকে।কিন্তু যাত্রী আকাল দেখা দিয়েছে। আগরতলা থেকে ভিসা বন্ধের ফলে এপারের যাত্রী কম, যাত্রী কম দু’দেশের মধ্যে অস্থির বিতর্কের কারণেও। এদিকে কৈলাসহর ও খোয়াইয়ের স্থলবন্দর বন্ধ হয়ে পড়ায় বাংলাদেশের সঙ্গে যা আমদানি-রপ্তানি সবই হচ্ছে আগরতলায়, আখাউড়া দিয়ে।
রপ্তানি বন্ধে সরকারী কোনও সার্কুলার না থাকলেও পরিস্থিতির অস্বাভাবিকতায় রপ্তানি বন্ধ হয়ে আছে পুরোপুরি।এই সময়ে মাছ আমদানির সময়, তাই আগরতলা আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে মাছ আসছে। সঙ্গে সামান্য পরিমাণে প্লাস্টিক সামগ্রী আসছে। অন্যদিকে নভেম্বরের ২১-২২-এর পর থেকে কোনও ভারতীয় সামগ্রী এই পথ দিয়ে বাংলাদেশে যায়নি। সরকারী সিদ্ধান্ত ছিল চাল রপ্তানির।কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি।এই সীমান্ত পথে বাংলাদেশের সঙ্গে রপ্তানি শূন্যের ঘরে দাঁড়িয়ে আছে। এই বিষয়ে আগরতলার আমদানি-রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে এপারের রপ্তানিকারকরা পণ্যসামগ্রী পাঠাতে সাহস পাচ্ছেন না।
বাংলাদেশ এই সময়ে ডলার সংকটে ভুগছে।গ্যারান্টার ব্যাঙ্ককে বিশ্বাস করতে পারছেন না তারা।যে ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি দেবে সেই ব্যাঙ্ক যে কোন সময়ে পটল তুলতে পারে- এমন আশঙ্কায় রয়েছেন এপারের ব্যবসায়ীরা।বিশ্বাসের এই জায়গাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মারাত্মকভাবে।বাংলাদেশে পাঁচ আগষ্টের ঘটনার পর থেকেই এপারের ব্যবসায়ীরা
অর্থনৈতিক আস্থাহীনতায় ভুগছেন আগরতলা স্থলবন্দরের এপার ওপারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিশ্বাসহীনতার আর কোনও ঘটনা নেই।সাম্প্রতিককালের অস্থিরতা দুই পারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে কোনও দূরত্ব তৈরি করেনি এমন দাবিই তাদের।নভেম্বরে বাংলাদেশে চাল রপ্তানি করেছেন খোকন ভৌমিক। তিনি জানান,অনাস্থার জায়গা হলো ব্যাঙ্ক।যাদের মাধ্যমে ব্যবসা হবে তাদের অস্তিত্ব সম্পর্কে আমরা এখন সন্দিহান।চাল রপ্তানি হচ্ছে না মূলত এই কারণেই। ছোট কারণ আর একটি রয়েছে বটে, সে হলো বাংলাদেশ সরকারের স্থিরিকৃত দাম। তাও ব্যবসা হতে পারতো যদি ব্যাঙ্ক সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত হতে পারতাম।খোকনবাবু জানান,ওপারের ব্যবসায়ীদের যাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে- লেনদেন চলছে তাদের সঙ্গে বিশ্বাসের জায়গা আমাদের অটুট আছে। প্রতিদিনই একাধিকবার কথাবার্তা হয়। ব্যবসা আপাতত বন্ধ রয়েছে বটে কিন্তু সম্পর্ক ভেঙে যায়নি।
এদিকে শ্যামলী বাস কর্তৃপক্ষ চিন্তিত সপ্তাহে দুদিন বাস চালানো এভাবে কাঁহাতক সম্ভব হবে। যাদের মালটিপল ভিসা রয়েছে কেবল তারাই এখন এই বাসে যাত্রা করতে পারবেন। সাধারণ নাগরিক যেতে পারবেন না বেশিদিন আগরতলার ডেপুটি হাইকমিশনের অফিসটি খোলা না হলে।অন্যদিকে, বাংলাদেশ থেকেও হাতে গোনা লোকজন এসেছেন এই দিন।আগরতলায় যাদের আত্মীয় স্বজন রয়েছেন কেবল তারাই আসাতে পারছেন। চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, দিল্লীগামী যেসব বাংলাদেশি নাগরিক আগরতলা বিমানবন্দরে বিমান ধরতে আগরতলায় এসে থাকেন তারা কেউ নেই।ফলে রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীদের মতো আগরতলা স্থলবন্দরের অটোচালকরাও এখন সময় ফেরার অপেক্ষায় বসা।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.