জমি পতিত রাখা যাবে না: রতন আয় দ্বিগুণ করাই লক্ষ্য: সুশান্ত!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার জন্য বর্তমান কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সহায়ক মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে ২০১৮ সালে বিজেপি সরকারের প্রথম কেবিনেট বৈঠকেই।
বামেদের সময় কৃষিক্ষেত্রে বাজেট ছিলো ৩৩০ কোটি টাকা। এখন কৃষিক্ষেত্রে বাজেট ৫৩৯ কোটি টাকা। আগে কৃষকদের আয় ছিলো ৬ হাজার ৫৮০ টাকা, বর্তমানে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৫৯০ টাকায়।বৃহস্পতিবার মাধববাড়ি ট্রাক টার্মিনাসে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ভিত্তিক কৃষকদের কাছ থেকে স্বসহায়ক মূল্যে ধান ক্রয়ে
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথাগুলি বলেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী রতনলাল নাথ।তিনি বলেন,প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কৃষক, গরিব, মহিলা ও যুবক সবাইকে আত্মনির্ভর করার জন্য কাজ করে চলছেন।কৃষকরা হলো মানুষের অন্নদাতা।তাদের স্বনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্পে সহায়তা করা হচ্ছে।তিনি বলেন,কৃষকরা স্বনির্ভর হলে এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা যেমন গড়ে উঠবে তেমনি গড়ে উঠবে এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত। কৃষকদের কল্যাণে রাজ্য সরকার বছরে দুবার সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয়ের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে।২০১৮ সালে রাজ্য সরকার কৃষকদের কাছ থেকে কেজি প্রতি ১৭.৫০ টাকা দরে ধান ক্রয় শুরু করে।গত মরশুমে প্রতি কেজি ধান ক্রয় করা হয়েছিল ২১ টাকা ৮৩ পয়সা দরে।এ বছর রাজ্যে ২৩ টাকা সহায়ক মূল্যে২১,৩১৫ মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যে কৃষি সামগ্রীর উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিজ্ঞানসম্মত চাষাবাদের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।এজন্য কৃষকদের অত্যাধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতিও ভর্তুকি মূল্যে দেওয়া হচ্ছে। কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করার জন্য সরকার গুরুত্ব দিয়েছে। এজন্য রাজ্যের বিভিন্ন কৃষি মহকুমায় কৃষি বাজার গড়ে তোলা হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারের লক্ষ্য কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করা। সেজন্য কোনও জমি পতিত ফেলে রাখা যাবে না। সব জমিকেই চাষের আওতায় আনা হচ্ছে। সেচের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কৃষকদের সহায়তায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কৃষি গুদাম, হিমঘর, কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। রাজ্যের অর্থনৈতিক বিকাশে কৃষি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলির উপর সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, সম্প্রতি বন্যার ফলে কৃষকদের বিরাট ক্ষতি হয়েছে। তখন কৃষি দপ্তর কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ফলে এখন ধান ক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে। কৃষকদের অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করার জন্য আগে এরূপ কর্মসূচি ছিলো না। মূলত কৃষকদের আয়কে দ্বিগুণ করা এবং তাদের উৎপাদিত ফসলের সঠিক মূল্য প্রদান করে অর্থনৈতিক বুনিয়াদকে শক্তিশালী করে তুলতেই রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার ধারাবাহিকভাবে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী দিনেও সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় চালু রাখবে সরকার। তিনি বলেন, আজ থেকে সারা রাজ্যে ৫১টি জায়গায় কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় কর্মসূচির সূচনা হয়েছে। অনুষ্ঠানে ছয়জন কৃষককে পুষ্পস্তবক ও শালের চাদর দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন খাদ্য দপ্তরের অতিরিক্ত অধিকর্তা সুমিত লোধ। উপস্থিত ছিলেন কৃষি দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দু দাস, সমাজসেবী গৌরাঙ্গ ভৌমিক, জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান প্রীতম দেবনাথ, রাণীরবাজার পুর পরিষদের ভাইস চেয়ারপার্সন প্রবীর কুমার দাস, জিরানীয়া মহকুমার মহকুমাশাসক শান্তিরঞ্জন চাকমা, অধিকর্তা এগ্রি মার্কেটিং দীপককুমার দাস, সমাজসেবী পার্থ সারথি সাহা প্রমুখ। অনুষ্ঠানশেষে ২০ জন কৃষককে সরকারী ভর্তুকি মূল্যে বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদান করা হয়। তাছাড়া দুজন কৃষককে পুকুর খননের জন্য অনুমোদনপত্রও তুলে দেওয়া হয়। আজকের অনুষ্ঠানে ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন জিরানীয়া নগরপঞ্চায়েতের চেয়ারপার্সন রতনকুমার দাস।