স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী ও যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত: রতন!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা, গোটা বিশ্বে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এক বিরল দৃষ্টান্ত। নরেন্দ্র মোদি দেশের প্রধানমন্ত্রী বলেই এমন একটি যুগান্তকারী এবং ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছেন। সোমবার এমনটাই দাবি করলেন বর্তমান সরকারের বরিষ্ঠ সদস্য তথা রাজ্যের কৃষি ও বিদ্যুৎমন্ত্রী রতন লাল নাথ। আয়ুষ্মান ভারত- প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা সম্পর্কিত কিছু তথ্য জানতে চাইলে শ্রীনাথ এই কথাগুলি বলেন। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প শুধু ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্তই নয়, এটি বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্থ্য নিশ্চয়তা প্রকল্প। যার মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকার চিকিৎসা খরচ প্রদান করা হয়। মন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পের নিয়ম ও গাইডলাইন মোতাবেক আয়ুষ্মান কার্ড বিতরণে দেশের মধ্যে ত্রিপুরা অন্যতম প্রথম রাজ্য। ত্রিপুরা একশ শতাংশ সুবিধাভোগীদের আয়ুস্মান কার্ড বিতরন করতে সক্ষম হয়েছে। সারা দেশের সাথে রাজ্যেও এই প্রকল্প চালু হয়েছে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। ত্রিপুরায় প্রধানমন্ত্রী আয়ুষ্মান ভারত কার্ড বিতরণ করা হয়েছে ১৫ লক্ষ ৪১ হাজার সুবিধাভোগীকে। এই কার্ডের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৩ লক্ষ ৬৭ হাজার সুবিধাভোগী নানা রোগের চিকিৎসা পেয়েছেন। এর জন্য প্যানেলভুক্ত হাসপাতালগুলিকে প্রদান করা হয়েছে ১৯৭ কোটি টাকা। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে রাজ্যের ১৩৬ টি হাসপাতাল এবং দেশের প্রায় ৩০ হাজার হাসপাতাল প্যানেলভুক্ত রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার চায় রাজ্যের সমস্ত গরিব ও মধ্যবিত্ত জনগণের বিনামূল্যে চিকিৎসা হোক।তাই আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের বাইরে যারা ছিলেন, তাদের জন্য রাজ্য সরকার ২০২৩ সালে চালু করে মুখ্যমন্ত্রী জন – আরোেগ্য যোজনা। ২০২৪-এর ফেব্রুয়ারী থেকে কার্ড প্রদান শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪ লক্ষ ৭৭ হাজার সুবিধাভোগীকে মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা প্রকল্পে কার্ড প্রদান করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৮ হাজার ৫০০ রোগী চিকিৎসা পেয়েছেন। এরজন্য রাজ্য সরকারের ব্যয় হয়েছে ৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা।
মন্ত্রী আরও বলেন, শুধু প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা এবং মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনাই নয়, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে রাজ্যে আরও চারটি প্রকল্প চালু আছে। এর মাধ্যমেও গরিব ও মধ্যবিত্ত জনগণ বিনামূল্যে চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছেন। এই প্রকল্পগুলি হলো, বিল্ডিং এবং অন্যান্য নির্মাণ শ্রমিক
কল্যাণ প্রকল্পচ প্রধানমন্ত্রী জনমন প্রকল্প এটি গরিব জনজাতি অংশের জনগণের জন্য একটি চিকিৎসা প্রকল্প। কেন্দ্রীয় জনজাতি মন্ত্রক এর অর্থ প্রদান করে। সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সগুলির জন্য একটি স্বাস্থ্য প্রকল্প রয়েছে। এটি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে পরিচালিত হয়। এছাড়াও মোটর শ্রমিকদের জন্য একটি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রকল্প রয়েছে। মন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী যারা কার্ড পাওয়ার যোগ্য, আমাদের রাজ্যে একশ শতাংশ সুবিধাভোগীকে সেই কার্ড প্রদান করা হয়েছে। এটি একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। সারা বিশ্বে এমন কোনও প্রকল্প দ্বিতীয়টি আছে কিনা আমার জানা নেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আছেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ, কৃষি, জল, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান- এই ক্ষেত্রগুলিকে অগ্রাধিকারে রেখে যাবতীয় কাজ করে চলেছে। এই ক্ষেত্রে সরকার আপোনহীন ভাবে কাজ করছে। মানুষের কল্যাণ ও রাজ্যের সার্বিক উন্নয়ন- এটাই সরকারের মূল লক্ষ্য বলে দাবি করেন মন্ত্রী শ্রীনাথ।