বছরশেষে বিরোধী অভিযোগ উড়িয়ে আয়না দেখালেন রতন!!

 বছরশেষে বিরোধী অভিযোগ উড়িয়ে আয়না দেখালেন রতন!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-গ্রামেগঞ্জে গরিব মানুষের হাতে কাজ নেই। অভাব অনটনে ভুগছে গরিব অংশের জনগণ। এমজিএন রেগা প্রকল্পে কাজ নেই। সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের এজাতীয় অভিযোগ বছর শেষে ফুৎকারে উড়ালেন রাজ্য মন্ত্রিসভার বর্ষীয়ান সদস্য রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, বিরোধী দল পায়ের নীচে মাটি খুঁজে পাচ্ছে না। তাই জনগণকে বিভ্রান্ত করে রাজনৈতিক সুবিধা লাভের জন্য প্রকৃত তথ্য গোপন করে অসত্য বলছে। তাদের এই সব অভিযোগের কোনও ভিত্তিই নেই। এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী শ্রীনাথ বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধান লক্ষ্যই হচ্ছে গ্রাম- গরিব-কৃষক। গ্রামীণ অর্থনীতিকে মজবুত করাই সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার। এই ক্ষেত্রে কোনও ধরনের আপোশ নেই। গ্রাম গরিব কৃষক, এই তিন ক্ষেত্রকে সর্বাধিক প্রাধান্য দিয়ে সরকার যাবতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে চলেছে। বিগ্রামেগঞ্জে গরিব মানুষের হাতে কাজ নেই। অভাব অনটনে ভুগছে গরিব অংশের জনগণ। এমজিএন রেগা প্রকল্পে কাজ নেই। সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের এজাতীয় অভিযোগ বছর শেষে ফুৎকারে উড়ালেন রাজ্য মন্ত্রিসভার বর্ষীয়ান সদস্য রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, বিরোধী দল পায়ের নীচে মাটি খুঁজে পাচ্ছে না। তাই জনগণকে বিভ্রান্ত করে রাজনৈতিক সুবিধা লাভের জন্য প্রকৃত তথ্য গোপন করে অসত্য বলছে। তাদের এই সব অভিযোগের কোনও ভিত্তিই নেই। এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী শ্রীনাথ বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধান লক্ষ্যই হচ্ছে গ্রাম- গরিব-কৃষক। গ্রামীণ অর্থনীতিকে মজবুত করাই সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার। এই ক্ষেত্রে কোনও ধরনের আপোশ নেই। গ্রাম গরিব কৃষক,এই তিন ক্ষেত্রকে সর্বাধিক প্রাধান্য দিয়ে সরকার যাবতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে চলেছে।বিরোধীরাও সব জানে, কিন্তু রোধীরাও সব জানে, কিন্তু রাজনীতির জন্য অসত্য বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করাই এদের একমাত্র কাজ। যদিও রাজ্যের মানুষ এখন এদের (সিপিএম-কংগ্রেস) বিশ্বাস করে না। এদিন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী শ্রীনাথ একথাগুলো বলেন।
এই প্রসঙ্গে তিনি তথ্য উল্লেখ করে আরও বলেন, বর্তমানে রাজ্যে জব কার্ডের সংখ্যা হচ্ছে ৬ লক্ষ ৭৯ হাজার ৩৯৮ টি। এর মধ্যে এসটি হচ্ছে ২ লক্ষ ৮৭ হাজার ৫০৮, এসসি ১ লক্ষ ১২ হাজার ৮৯৫ এবং সাধারণ ২ লক্ষ ৭৮ হাজার ৯৯৫টি। রেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে সারা দেশের মধ্যে ত্রিপুরা এখন গত বেশ কয়েক বছর ধরে তৃতীয় এবং চতুর্থস্থানে রয়েছে। গত ২০২১- ২২ অর্থ বছরে সারা ভারতে ত্রিপুরা তৃতীয় স্থানে ছিল। কাজ হয়েছিল গড়ে ৭২ দিন। ওই বছর প্রথম স্থানে ছিল মিজোরাম। কাজ হয়েছে ৯৫দিন। দ্বিতীয়স্থানে ছিল মেঘালয়। কাজ হয়েছে ৭৪ দিন।। চতুর্থ স্থানে ছিল বামশাসিত কেরালা। কাজ হয়েছে ৬৪ দিন।২০২২-২৩ অর্থবছরেও মিজোরাম প্রথম স্থানে ছিল।কাজ হয়েছে ৯৩ দিন।দ্বিতীয় কেরালা, কাজ হয়েছে ৬২ দিন।যুগ্মভাবে তৃতীয় স্থানে ছিল ত্রিপুরা ও মেঘালয়।কাজ হয়েছিল ৬০ দিন। ২৩-২৪ অর্থবছরেও প্রথম স্থানে ছিল মিজোরাম। কাজ হয়েছিল ৯৩ দিন। দ্বিতীয় কেরালা, কাজ হয়েছে ৬৮ দিন। তৃতীয় মেঘালয়,কাজ হয়েছে ৬৬ দিন। চতুর্থ ত্রিপুরা, কাজ হয়েছে ৬৩ দিন। চলতি বছরের এখনো তিন মাস বাকি আছে। সারা দেশের নিরিখে এখন পর্যন্ত কাজ হয়েছে মিজোরমে ৭৬ দিন, লাদাখে ৬০ দিন, দাদরা ও নগর হাবেলি ৫২দিন, ত্রিপুরা ৫০ দিন। রতনবাবু বলেন, আমরা আশা করছি এবছর গড়ে ৭০ দিনের উপরে কাজ হবে।মন্ত্রী বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজ্যে কাজ হয়েছিল ৬০দিন। ২০২৩- ২৪ অর্থবছরে ৬৩দিন। ২০২৪-২৫ (তিন মাস বাকি) এখন পর্যন্ত কাজ হয়েছে ৫০ দিন। মন্ত্রী বলেন, তথ্য মোতাবেক দেখা যাচ্ছে পাহাড় অর্থাৎ জনজাতি এলাকায় সব থেকে বেশি কাজ হচ্ছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে ছামনু ব্লক এলাকায় কাজ হয়েছে গড়ে ১২০ দিন। রইস্যাবাড়ি ব্লকে কাজ হয়েছে ১১৭.৮৪ দিন। ডম্বুরনগর ব্লকে কাজ হয়েছে গড়ে ১১২.৪৪ দিন। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে রইস্যাবাড়ি ব্লকে কাজ হয়েছে গড়ে ৯৬.০৩ দিন। ছামনু ব্লকে কাজ হয়েছে গড়ে ৯২.২৫ দিন এবং ডম্বুরনগর ব্লকে কাজ হয়েছে গড়ে ৯১.১৬ দিন।২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছামনু ব্লকে কাজ হয়েছে গড়ে ৯৭.১৮ দিন। মুঙ্গিয়াকামী ব্লকে ৯৬.৬৭ দিন, গঙ্গানগর ব্লকে ৯৩.৯৬ দিন। এবছর এখন পর্যন্ত ছামনু ব্লকে কাজ হয়েছে গড়ে ৯৬.০৩ দিন, মুঙ্গিয়াকামী ব্লকে ৮৮.২০ দিন এবং অম্পি ব্লকে ৭৮.৪৭ দিন। বামেদের আমলে সর্বশেষে ২০১৭- ১৮ সালে রেগার মজুরি ছিল ১৭৭ টাকা। বর্তমানে রাজ্যে রেগার মজুরি হচ্ছে ২৪২ টাকা। রেগা প্রকল্পে ২০২২-২৩ অর্থবছরে মানুষের হাতে টাকা গেছে ৬৭১ কোটি ৯৪ লক্ষ ৬২ হাজার। ২০২৩-২৪ সালে টাকা গেছে ৭২৪ কোটি ২৯ লক্ষ ৯৮ হাজার। ২০২৪-২৫ (তিন মাস বাকি) এখন পর্যন্ত জবকার্ড হোল্ডারদের হাতে টাকা গেছে ৬২৯ কোটি ৪৬ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা। এছাড়াও রাজ্যের ২৪ লক্ষ ৭৬ হাজার মানুষ প্রতিমাসে ৫ কেজি করে চাল বিনামূল্যে পায়। অন্ত্যোদয় যোজনা প্রকল্পেও বিনামূল্যে চাল পায়। এই সরকার ঘোড়ার গতিতে জনকল্যাণে কাজ করে চলেছে। ফলে বিরোধীদের এইসব অভিযোগের কোন সারবত্তা নেই বলে দাবি করেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.