ইন্ডিগো আরও একটি দিল্লীর বিমান চালু করছে!!
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারী থেকে এই রুটে ইন্ডিগোর ১৮০ আসনের একটি এয়ারবাস সপ্তাহে তিন দিন যাতায়াত করবে। সপ্তাহে মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার এই বিমান চলবে। দিল্লী থেকে ৬ই-৫০১ সকাল ৬টা ১০মিনিটে রওয়ানা হয়ে আগরতলায় পৌঁছবে সকাল ৮টা ৩৫মিনিটে। ফিরতি বিমানটি আগরতলা থেকে ৬ই- ৫০২২ নম্বর হয়ে দিল্লীর উদ্দেশে রওয়ানা হবে সকাল ৯টা ০৫ মিনিটে। বিমানটি দিল্লী পৌছবে বেলা ১২টা ১০ মিনিটে। ইন্ডিগো থেকে জানানো যে হয়েছে শুক্রবার থেকে এই বিমানের টিকিট বিক্রি তথা বুকিং শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে ইন্ডিগোর ১৮০ আসনের একটি এয়ারবাস চালু রয়েছে।প্রতিদিন এই বিমানটি এই রুটে যাতায়াত করছে। দিল্লী থেকে দুপুরের পর আগরতলা এমবিবি বিমানবন্দর এসে অবতরণ করে। আবার দিল্লীতে ফিরে যায়। দিল্লী পৌঁছতে রাত হয়ে যায়। এখন আগামী ৮ ফেব্রুয়ারী থেকে যে বিমানটি চালু হচ্ছে সেই বিমানটি আগরতলা থেকে রওয়ানা হয়ে দুপুরের মধ্যে দিল্লীতে পৌঁছে যাবে। তাতে যাত্রীদের সুবিধা হবে। আবার দিল্লী থেকেও খুব সকালে বিমানে আগরতলা এমবিবি বিমান বন্দরে পৌঁছতে পারবেন যাত্রীরা। ফলে এই রুটে যাতায়াতে আরও সুবিধা বাড়বে। এদিকে ইন্ডিগো দিল্লী রুটে আরও একটি বিমান বাড়ানোর চূড়ান্ত ঘোষণা দিলেও যে রুট থেকে বিমানগুলি গত এক-দেড় বছরের মধ্যে তুলে নিয়েছে সেই রুটগুলিতে পুনরায় বিমান চালু করার কোন ঘোষণা নেই। আগরতলা- শিলং রুটের উভয় দিকেও আগরতলা- আইজল রুটের উভয় দিক থেকে ইন্ডিগো এক-দেড় বছর আগে বিমান উড়ান গুটিয়ে নিলেও সেই রুটে ইন্ডিগোর বিমান পুনরায় চালু করায় কোন ঘোষণা নেই কোন উদ্যোগও শুধু তাই নয়, এক বছর আগে আগরতলা-ডিব্রুগড় রুটের উভয়দিক থেকেও ফ্লাইবিগ বিমান উড়ান গুটিয়ে নেয়। এই রুটেও পুনরায় বিমান পরিষেবা শুরু করার কোনও উদ্যোগ নেই বলে বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে। এই সব রুটে ইন্ডিগো ছাড়া অন্য কোন বিমান সংস্থার বিমান চালু করারও কোন উদ্যোগের খবর নেই বিমান বন্দরে। বিমান তুলে নেওয়ার পর এই সব রুটে বিমান পরিষেবা না থাকায় রাজ্যের মানুষের সেই সব জায়গায় যাতায়াতে প্রচণ্ড সমস্যায় ও দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার ক্ষমতায় থাকার পরও এই সব রুট থেকে আচমকা বিমান তুলে নেওয়ায় ও পরবর্তী সময়ে পুনরায় এখনও চালু না করায় রাজ্যবাসী বিস্মিতও ক্ষুব্ধ। রাজ্যে বিমান পরিষেবায় ও সুবিধালাভে ডবল ইঞ্জিন সরকারের কোন প্রভাব ও সুফল মিলছে না বলে রাজ্যবাসীর অভিযোগ। এদিকে ইন্ডিগো গত দু’বছর আগে আগরতলা- চেন্নাইয়ের মধ্যে সরাসরি যাতায়াতের জন্য ১৮০ আসনের এয়ারবাস তুলে নেয়। এই রুটে সরাসরি যাতায়াতে কোনও বিমান সংস্থার কোনও বিমান চালু নেই। কলকাতা বা গুয়াহাটি ভায়া বা অন্য বিমানে চেন্নাইয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। রাজ্য থেকে প্রতিদিন বহু রোগী উন্নত চিকিৎসার জন্য চেন্নাইয়ে যান। সরাসরি বিমান চালু না থাকায় সকলকেই প্রচণ্ড দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। আগরতলা-মুম্বাইয়ের মধ্যেও যাতায়াতে সরাসরি বিমান চালু নেই। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিমান সংস্থা অ্যালায়েন্স এয়ারের বিমানও আগরতলা সেক্টরে চালু নেই। অথচ ত্রিপুরা বাদে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব রাজ্যে অ্যালায়েন্স এয়ারের বিমান চালু রয়েছে। অ্যালায়েন্স এয়ারের যাত্রী ভাড়া সব সময়ই খুব কম নেওয়া হয়। রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার থাকা সত্বেও রাজ্যের মানুষ কম ভাড়ায় যাতায়াতের সেই সুবিধা পাচ্ছেন না। বঞ্চিত হয়ে রয়েছেন। এদিকে মণিপুর সরকার গত ১৫ জানুয়ারী কেন্দ্রীয় সরকারের বিমান অ্যালায়েন্স এয়ারের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। তাতে বলা হয়েছে ইম্ফল-কলকাতা, ইম্মল-গুয়াহাটি, ইম্মল-ডিমাপুর রুটে যাতায়তে যাত্রী ভাড়া ৫০০০ টাকার বেশি যাত্রীর কাছ থেকে নিতে পারবে না। ৫০০০ টাকার উপর ভাড়া দাঁড়ালে মণিপুর সরকার সেই ভাড়া সরকারী ভাবে ভর্তুকি দেবে বিমান সংস্থাকে। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী ও মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে গত ১৫ জানুয়ারী বিমান পরিষেবায় এই সুবিধা চালু করা হয়। অথচ ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষ সেই সুবিধা থেকেও বঞ্চিত। রাজ্যবাসীর দাবি কম টাকার যাত্রী ভাড়ার সুবিধাযুক্ত কেন্দ্রীয় সরকারের বিমান অ্যালায়েন্স এয়ারের বিমান আগরতলা সেক্টরে দ্রুত চালু করা হোক। এদিকে শুক্রবার আগরতলা-কলকাতা রুটের উভয়দিকে যাতায়াতের এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের ১৭৬ আসনের বোয়িং বিমানটির উড়ান দীর্ঘ সময় বিলম্বিত হয়েছে। বিকালের পরিবর্তে অনেক রাতে আগরতলায় আসবে। বিমানে দীর্ঘ সময় বিলম্বের জন্য যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।