কালাপানিয়া খালে বাংলাদেশের বাঁধ! বড় বিপদের মুখে রাজধানী!!

 কালাপানিয়া খালে বাংলাদেশের বাঁধ! বড় বিপদের মুখে রাজধানী!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :- একদিকে রাজধানী শহরে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ জনজীবন। অন্যদিকে শহরের জল নিকাশী ব্যবস্থার অন্যতম বড় মাধ্যম কালাপানিয়া খালে বাংলাদেশের বাঁধ নির্মাণ। এই দুই বড় সমস্যা নিরসনে বুধবার বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো আগরতলা পুর নিগমে। মেয়র দীপক মজুমদারের পৌরহিত্যে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনার ডা. শৈলেশ যাদব এবং পুর নিগমের সমস্ত কর্পোরেটর ও আধিকারিকরা। বৈঠকে রাজধানী শহরে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনার
পাশাপাশি, শহরে মশার উপদ্রব মোকাবিলা এবং কালাপানিয়া খালে জমে থাকা জল নিষ্কাশন নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।উল্লেখ্য, রাজধানীতে মশার উপদ্রব নিয়ে গত কদিন আগেই দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় তথ্যমূলক সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে। মশার উপদ্রব এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, দিনের বেলাতেও কোথাও বসা বা দাঁড়ানোর উপক্রম নেই। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতেই পরিস্থিতি ভয়ানক আকার ধারণ করে। মশা তাড়ানোর নানা পদ্ধতি অবলম্বন করেও মশার আক্রমণ থেকে রেহাই পাচ্ছে না শহরবাসী। এ দিন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শহরে মশার উপদ্রব বৃদ্ধির কথা নিজেই স্বীকার করেছেন মেয়র দীপক মজুমদার। তিনি বলেন, শহরে জলনিকাশী ড্রেনগুলো প্রতিনিয়ত পরিষ্কারের কাজ করে যাচ্ছে নিগমের কর্মীরা। তারপরও শহরের একাংশ নাগরিক এখনও ড্রেনগুলোতে বাড়ির ময়লা-আবর্জনা ফেলছে। এতে করে ড্রেনগুলোতে জলজমে মশার জন্ম হচ্ছে। শহরের একাংশ নাগরিক, সু-শিক্ষিত নাগরিকের ভূমিকা ও দায়িত্ব পালন করছে না। তারা রাতের অন্ধকারে বাড়ির ময়লা এনে ড্রেনে ফেলছে। অনেকে তো বাড়ি থেকেই প্লাস্টিকের ব্যাগে ময়লা-আবর্জনা ছুড়ে ফেলছে রাস্তায়। এতে ওই এলাকার পরিবেশ যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি নানা সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মশা। মেয়র শ্রী মজুমদার এ দিনও শহরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান, ময়লা-আবর্জনা জলনিকাশী ড্রেনে না ফেলতে। মশা নিধনে পুর নিগম প্রতিটি ওয়ার্ডে বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। প্রয়োজনে আরও বেশি লোক লাগিয়ে ড্রেনগুলো দ্রুত পরিষ্কার করা, ড্রেনগুলোতে মশা নিধনে স্প্রে করা, এমন বেশ কিছু কাজ শীঘ্রই শুরু করা হবে বলে জানান। মেয়র জানান, শহরে একাধিক এলাকায় পাকা ড্রেন এবং কাভার দেওয়ার কাজ চলছে। এতে করেও জল নিকাশী ব্যবস্থা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। কেননা জল আটকে রেখে কাজগুলি করতে হয়। ফলে এখানেও জমা জলে মশার সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা না গেলে, পরে বৃষ্টিতে এই কাজ করা যাবে না। এই ব্যাপারে মেয়র পুরবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন।
এ দিন মেয়র আরও জানান, বাংলাদেশে বর্তমান অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে কালাপানিয়া খালে বাঁধ নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ। ফলে কালাপানিয়া খালে জল আটকে আছে। এই জল ও ময়লা পরিষ্কার করা যাচ্চে না। মেয়র জানান, আগরতলা শহরের জলনিকাশী দুইটি খাল রয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে কালাপানিয়া। এই দুটি খালের জলই বাংলাদেশে যায়। কালাপানিয়া খালে বাংলাদেশের অংশে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে নতুন সমস্যা তৈরি হয়েছে। মেয়র জানান, বিষয়টি রাজ্য সরকারের নজরে নেওয় হয়েছে। বিষয়টি যেহেতু দুই দেশের, তাই সেইভাবেই সমস্যা নিরসনে উদ্যো নেওয়া হবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এখন বৃষ্টি নেই বলে হয়তো সমস্যা হচ্ছে না আগরতলায় ভারী বৃষ্টিপাত হলে কিংবা বর্ষাকালে আগরতলা শহরের পরিস্থিি কি হবে? কালাপানিয়া খালে বাংলাদেশে বাঁধ নির্মাণের ফলে এই জল যান কোথায়? জল না সরলে শহরের পরিস্থিতি কি হবে, তা আর বলার অপেশ রাখে না। কৈলাসহর সীমান্তেও বাংলাদেশ বিশাল উঁচু বাঁধ নির্মাণ করে ফেলেছে। অথচ সীমান্তরক্ষী বাহিনী ঘুমে। বরং উল্টো সুর গাইে রাজধানীতেও একই অবস্থা। শহরের অন্যতম প্রধান জল নিকাশী খাল বাংলাদেশ বাঁধ নির্মাণ করে ফেলেছে, অথচ বিএসএফ এবং সংশি কর্তৃপক্ষ ঘুমে! এই ব্যাপারে রাজ্য সরকরের জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেও দরকার বলে শহরবাসীর অভিমত।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.